সাঙ্গু গ্যাসৰেত্র বন্ধ হবার পথে- ৪২ কোটি টাকা গচ্চা

 মাত্র ছয় মাস আগে ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে কমপ্রেসার স্থাপন করেও সাঙ্গুকে বাঁচানো যাচ্ছে না। প্রায় দু'বছর আগেই সাগরপ্রানত্মিক এ গ্যাসত্রে বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
বন্ধের রীতিমত ণ গণনা শুরম্ন হয়েছে। সাঙ্গুতে উৎপাদন নেমে এসেছে মাত্র ৩০ মিলিয়ন ঘনফুটে। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে এ মাত্রায় উৎপাদন নেমে আসার কথা ছিল। এ ধরনের উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক। তাই গ্যাসত্রেটি ২০১২ সাল থেকে পরিত্যক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় দু'বছর বাকি থাকতে সাঙ্গু পরিত্যক্ত হওয়ার মুখে। সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩১ জুলাই সাঙ্গু গ্যাসেেত্র ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ভাড়ায় আনা কমপ্রেসার স্থাপন করে বিদেশী অপারেটর কেয়ার্ন এনার্জি। পেট্রোবাংলাকে তারা যুক্তি দেখিয়ে এ ব্যয় অনুমোদন করে। বিদেশী অপারেটরের যুক্তি ছিল দৈনিক ৩০ মিলিয়ন ঘনফুটের কমে গ্যাস উত্তোলন হলে দীর্ঘ ৪৮ কিলোমিটার সাগরগর্ভে গ্যাস পরিবহণের পর সিলিমপুর প্রসেসিং পস্ন্যান্টে শোধনের পর মেইন রিংয়ে গ্যাস সরবরাহ অলাভজনক। তাই সাঙ্গুকে বাঁচিয়ে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস উত্তোলন করতে হলে কমপ্রেসার স্থাপন আবশ্যক। সে সময় সাঙ্গুতে উৎপাদন অব্যাহত ছিল দৈনিক ৫০ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। ব্যয়বহুল দুটি কমপ্রেসার স্থাপনের পরও বাসত্মবের সঙ্গে মিল নেই। সাঙ্গুতে উৎপাদন নিম্নমুখিতা আর ঠেকানো যায়নি। ধীরে ধীরে কম অব্যাহত ছিল কমপ্রেসার বসানোর পরও। গত কয়েক মাস ধরে গ্যাস উত্তোলন কমতে কমতে ৩৩ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে আসে। মঙ্গলবার এেেত্র গ্যাস উত্তোলন নেমে আসে মাত্র ৩০ মিলিয়ন ঘনফুটে। অর্থাৎ যা বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক হওয়ার পথে। এর চেয়ে উৎপাদন কমলে সাঙ্গুতে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি। এ অবস্থায় যে কোন মুহূর্তেই পরিত্যক্ত হয়ে যেতে পারে গ্যাসত্রেটি। অথচ, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে এমনটি হওয়ার কথা ছিল। ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ের পরে এখন পেট্রোবাংলার আম-ছালা দুটিই যাবার পথে।

No comments

Powered by Blogger.