বরগুনা সদর সড়ক- অর্থাভাবে দুই লেনের কাজ থেমে গেছে মাঝপথে

অর্থ বরাদ্দের অভাবে বরগুনা শহরের সদর রোডকে দুই লেনে উন্নীতকরণের কাজ মাঝপথে থেমে আছে। এতে শহরে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি মারাত্মক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরিফ অ্যান্ড আসিফ কনস্ট্রাকশনের মালিক আবুল হোসেন খান বলেন, ‘রাস্তাটি এভাবে ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে, এটা ঠিক। কিন্তু আমরা এই রাস্তার কাজ করাতে গিয়ে পথে বসেছি। কারণ, এরই মধ্যে রাস্তার ৫০ থেকে ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করে একটি টাকাও বিল পাইনি। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ধরনা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। এখন বরাদ্দ না পেলে আমাদের পক্ষে আর কাজ করানো সম্ভব না।’
বরগুনা পৌরসভার মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘শহরের সৌন্দর্যবর্ধন ও যানজট নিরসনে সদর রোডকে দুই লেনে উন্নীত করার জন্য আমি তবদির করে এই প্রকল্প অনুমোদনে সহায়তা করেছি। এমনকি দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তা বর্ধিতকরণের জন্য দুই পাশের জমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তরসহ যাবতীয় সহায়তা দিয়েছি। এরই মধ্যে ডিভাইডারে আধুনিক বাতি ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছ রোপণ করা হয়েছে। কিন্তু মাঝপথে এই কাজ ফেলে রাখায় বর্তমানে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দ্রুত এই রাস্তার নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হলে শহরবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছবে।’
সওজ ও ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে, সদর রোডকে দুই লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার সড়কের কাজ গত আগস্টের প্রথম দিকে শুরু হয়। সওজ বিভাগের অর্থায়নে প্রায় চার কোটি টাকার এই কাজ পায় মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ, এফএইচ এন্টারপ্রাইজ, নিজাম উদ্দীন এন্টারপ্রাইজ ও আরিফ অ্যান্ড আসিফ কনস্ট্রাকশন নামের চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শহরের টাউন হল বাসস্ট্যান্ড থেকে ক্রোক সেতু পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙে দুই পাশ চার দশমিক ৬০ মিটার প্রশস্তকরণ ও ডিভাইডার নির্মাণের কাজ শুরু করেন তাঁরা। এরই মধ্যে ডিভাইডার নির্মাণ ও বর্ধিতকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু রাস্তার পুরো অংশ পিচ ঢালাই করার জন্য ভেঙে ফেলায় বেশির ভাগ অংশ যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই ব্যস্ত রাস্তাটি ভেঙেচুরে ফেলে রাখায় শহরবাসীকে পথ চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ধুলাবালু ও কাদাজলে নাকাল হতে হচ্ছে। এ ছাড়া খানাখন্দের কারণে প্রায়ই অনেক যানবাহনে দুর্ঘটনা ঘটছে।
সওজের বরগুনা জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মহিবুল হক বলেন, ‘শহরের ব্যস্ততম এই সড়কের কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ হচ্ছে। ঠিকাদারেরা ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় তাঁদের কোনো বিল দিতে পারিনি।’

No comments

Powered by Blogger.