জামায়াতের নিবন্ধন থাকবে কি না খতিয়ে দেখা উচিতঃ তথ্যমন্ত্রী

সন্ত্রাসী দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন থাকবে কি না খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। শুক্রবার সকালে নগরীর সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘মার্কিন দূতাবাসের গাড়িতে হামলা, দায় স্বীকার ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে জামায়াত নিজেই প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী দল। একটি সন্ত্রাসী দলের নিবন্ধন থাকবে কি না খতিয়ে দেখা উচিত। দেশের ভেতরে জামায়াতের সহিংসতার দায়দায়িত্ব স্বীকার ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’
মন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘‘রোববার বিরোধীদলের পক্ষ থেকে গাড়ি বের না করার জন্য যে হুমকি দেওয়া হয়েছে তা বল প্রয়োগের শামিল। এর জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। হুমকি প্রত্যাহার করে সংলাপে বসুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ৫টি ত্রুটি আছে, অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’’

নীতিমালা গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সবার মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা করা হবে। অনলাইন নীতিমালা হচ্ছে। সপ্তম ওয়েজ বোর্ড সব সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকার তথ্য অধিকার আইন করেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা এ আইনকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে পারছে না। আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকাগুলো যেসব সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে তার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে সাংবাদিক নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।’’

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সবাই মেনে নিয়েছে। ট্রাইব্যুনাল যে রায় দেবেন জনগণ তা মেনে নেবেন। যারা মেনে নেবে না তারা আদালত অবমাননাকারী হিসেবে গণ্য হবে।’’

সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। সামনে এ মামলার আরো অগ্রগতি হবে।’’

মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন সিইউজের সভাপতি শহীদ উল আলম, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন শ্যামল ও সুপ্রভাত বাংলাদেশ’র নগর সম্পাদক এম নাসিরুল হক।

মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর হাতে সাংবাদিকদের পক্ষে ১০ দফা দাবিসহ স্মারকলিপি দেন সিইউজের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

এসব দাবির মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে সপ্তম ওয়েজবোর্ডের পূর্ণ, সরকার ঘোষিত মহার্ঘ্যভাতা ও সব পত্রিকায় কাজের যথার্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা, কর্মস্থলে যোগ্য পদায়ন ও নিয়োগপত্র, সম্পাদক পদে পেশাদার সাংবাদিকের নিযুক্তি, সব সাংবাদিক হত্যা, মিথ্যে মামলা, নির্যাতন নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা, আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা ও  ওয়েজবোর্ডবিষয়ক চুক্তি যেসব পত্রিকা মানছে না তাদের সরকারি ক্রোড়পত্র দেওয়া বন্ধ  করা ইত্যাদি।

No comments

Powered by Blogger.