টাঙ্গাইল-৩ উপনির্বাচন- মার্কা যেখানে গুরুত্ব পায়নি by এম সাখাওয়াত হোসেন

গত ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হলো টাঙ্গাইল-৩ নির্বাচনী এলাকার জাতীয় সংসদের ১৩২ নম্বর আসনের উপনির্বাচন। ১২টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও একটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড নিয়ে গঠিত দুই লাখ ৬০ হাজার ৪৭৬ ভোটারের এই সংসদীয় আসনের নির্বাচন নিয়ে বিশেষ আগ্রহ ছিল।
এ আসনে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
মোট ৯৬টি ভোটকেন্দ্রে প্রায় তিন হাজার নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপকমিশনার খুরশিদ আলমকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং টাঙ্গাইলের জেলা কর্মকর্তা আলিমুজ্জামানকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা নজরদারি ও মাঠপর্যায়ে এসব কর্মকর্তার কর্মতৎপরতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন যথেষ্ট ভালো হয়েছে। সে জন্য নির্বাচন কমিশন ধন্যবাদ পাওয়ার দাবিদার।
বিরোধী দলবিহীন এই নির্বাচন ছিল অনেকটা নিরুত্তাপ। বিরোধী দলের অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন কোনো উদ্যোগ নিয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি। যদিও উপনির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপক তফাত, তবু বিগত দুটি উপনির্বাচনে বিরোধী দলের অনুপস্থিতি আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের শর্ত পূরণ না হলে উপস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি করে। উপনির্বাচন বিরোধী দলের উপস্থিতি ছাড়া করলেও এর গ্রহণযোগ্যতা বা বৈধতার প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দলের অনুপস্থিতি নির্বাচনকে সংকটের মধ্য ফেলবে। এমন সংকট থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হলে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস নিতে হবে। যদি সে প্রয়াসও কার্যকর না হয়, ওই সময়েই নির্বাচন কমিশনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কীভাবে একটি বৃহৎ দলের অনুপস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে। আমি মনে করি, বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে এই উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহী করতে সচেষ্ট হওয়া উচিত ছিল। মনে রাখা ভালো, অন্য যেকোনো স্থানীয় নির্বাচন দলীয় নির্বাচন নয় বিধায় বিরোধী দলের স্থানীয় সদস্যদের ওই সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিধিবহির্ভূত নয়। কাজেই, ওই সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আত্মতৃপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনকে অবশ্য এসব বিষয়ে আরও বেশি স্বচ্ছ হতে হবে, যা জনগণ গত দুই আসনের উপনির্বাচনে প্রত্যক্ষ করেনি।
টাঙ্গাইল-৩ আসনের উপনির্বাচনে মোট তিনজন প্রার্থী থাকলেও প্রথম থেকেই নির্বাচনে যে দুই ব্যক্তিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন, তাতে কেউই সংশয় প্রকাশ করেননি। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে সরকারি দল আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছিল শহিদুল ইসলামকে। আওয়ামী লীগের অপর স্থানীয় নেতা আমানুর রহমান খান মনোনয়ন পাওয়ার আশা রাখলেও তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তৃতীয় প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে মনোনীত হওয়ার কারণে শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক এবং আওয়ামী লীগেরই আরেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে অবতীর্ণ হন। প্রতীয়মান ছিল যে, আওয়ামী লীগের দুই নেতার মধ্যে আমানুর রহমান খানকে তৃণমূলের কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা শহিদুল ইসলামের তুলনায় বহুগুণ বেশি সমর্থন করেন। তার পরও অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে শুধু সরকারদলীয় দুজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর সুপারিশে দল এমন একজনকে মনোনয়ন দেয়, যাঁর গ্রহণযোগ্যতা তেমনভাবে যাচাই করা হয়নি বা হলেও আমলে নেওয়া হয়নি। এমনও তথ্য পাওয়া যায় যে প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূলের অনুরোধ ও সুপারিশ সবই অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ফলে টাঙ্গাইল-৩-এর ফলাফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রার্থী থেকে দ্বিগুণ ভোটে জয়ী হয়েছেন। আরেক দলের প্রার্থী লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের মুখ দেখেছেন। এর সরল ব্যাখ্যা হলো, এই উপনির্বাচনে দলীয় প্রতীক তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি, যেমনটা অতীতে মনে করা হতো।
ওপরে বর্ণিত ঘটনাপ্রবাহ এবং এই উপনির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে প্রতিটি দলই হয়তো বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ চিন্তার খোরাক পেতে পারে। আমি বিগত কিছু নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে পরিবর্তনের যে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছি, তারই আঙ্গিকে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে চাই। এই বিশ্লেষণের মূল উপাত্ত বিগত নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছরের নির্বাচন-প্রক্রিয়া অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ থেকে লব্ধ।
নির্বাচন কমিশনের বিগত নেতৃত্ব নির্বাচনী প্রক্রিয়ার যে সংস্কার সম্পন্ন করেছে, তার অন্যতম প্রধান উপাদান ছিল নির্বাচন-প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচনী আইনে আমূল পরিবর্তন আনা। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিকবার আলোচনার মাধ্যমে এসব পরিবর্তন সম্পন্ন করা হয়েছিল, যা নবম সংসদের প্রথম বৈঠকেই আইনে রূপান্তরিত হয়। দলের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ায় আরও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ওই আইনে একটি ধারা নতুনভাবে সংযুক্ত করা হয়েছিল। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনে (আরপিও) স্পষ্ট বলা হয়েছে, সংসদীয় এলাকার তৃণমূল পর্যায় থেকে, অর্থাৎ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা বা জেলা কমিটির সদস্যরা প্রার্থী মনোনয়নের জন্য একাধিক নাম সুপারিশ করবেন, তারপর সেসব নামের মধ্য থেকে দলের কেন্দ্রীয় সংসদীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে একজনকে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে। ২০০৮ সালে এই আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শুধু বর্তমান সরকারি দলই এ উদ্দেশ্য সাধনে কিছুটা পদক্ষেপ নিয়েছে, অন্যান্য দল বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময়ের স্পর্শকাতরতার বিবেচনায় নির্বাচন কমিশনও আইনের এই ধারা প্রয়োগে কঠোরতা অবলম্বন করেনি।
উল্লিখিত ধারা আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে বিগত নির্বাচন কমিশন আইনে আরও স্বচ্ছতা আনার জন্য কিছু সুপারিশও করেছিল, কিন্তু সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। জানা যায়, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মতামত চাওয়া হলে আজ পর্যন্ত তাদের কোনো মতামত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। তবু উল্লেখ করতে হয়, এই ধারাটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না। অপরদিকে তৃণমূলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে ওই পর্যায় থেকে সুপারিশ করা ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে টাঙ্গাইল-৩ আসনের ফল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে এত বিব্রতকর অবস্থায় হয়তো পড়তে হতো না। সব রাজনৈতিক দলের উচিত আগামী নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৩ আসনের উপনির্বাচন থেকে শিক্ষা নেওয়া। আর আইনের উল্লিখিত ধারাটি সফলভাবে প্রয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যে সুপারিশকৃত আইনি পরিবর্তন দ্রুত কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে হবে।
আমার দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণ: ২০০৭ সালের পর থেকে এ দেশের ভোটারদের মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, তার কিছু প্রতিফলন ঘটেছে সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে। কোনো ব্যক্তি দলের সক্রিয় সমর্থনে প্রার্থী হলেও ভোটাররা তাঁকে অন্ধভাবে ভোট দেননি। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলই এর উদাহরণ। আরও বড় উদাহরণ চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এ দেশে ভোটারদের মানসিকতা পরিবর্তনের সবচেয়ে দৃশ্যমান মাপকাঠি হতে পারে। ওই নির্বাচনের পরপরই কুমিল্লার সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও একই মানসিকতা প্রতিফলিত হয়েছিল।
আমার মনে হয়, কোনো রাজনৈতিক দলই ভোটারদের এই পরিবর্তন তেমনভাবে লক্ষ করছে না, বা লক্ষ করলেও আমলে নিচ্ছে না। ভোটাররা এখন প্রার্থীর প্রতি দলের সমর্থন বা প্রতীককে যতটা গুরুত্ব দেন, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন নিজের ভোটের মূল্য, সেই মূল্যের সদ্ব্যবহার। তাই তুলনামূলকভাবে ভালো ও জনপ্রিয় প্রার্থী থাকলে ভোটাররা সেদিকেই ঝুঁকছেন। ভোটারদের মনমানসিকতার এই পরিবর্তন গণতন্ত্রের জন্য সুখবর এবং এর ফলে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এক নতুন ধারা যুক্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচনী পরিবেশকে ভোটারবান্ধব করতে পারে, তাহলে ভোটাররা সঠিক প্রার্থীকেই নির্বাচিত করবেন।
টাঙ্গাইল-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৫৭ দশমিক ২৮ শতাংশ; মোট ভোটার সংখ্যার অর্ধেকের সামান্য বেশি। এর মধ্যে সিংহভাগ বর্তমান শাসক দল আওয়ামী লীগেরই সমর্থক ভোটার হওয়ার কথা। বাদবাকি অন্যান্য দলের সমর্থক ভোটার, এমনকি বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে তাদের সমর্থক ভোটারও হতে পারেন। কাজেই, বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হবে যে, সিংহভাগ সরকারি দলের সমর্থক ভোটার ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে টাঙ্গাইল-৩ আসনের মনোনয়নের প্রক্রিয়ার এবং মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন। এ বিষয়টি আগামী সংসদ নির্বাচনে আরও প্রকট হতে পারে। ভবিষ্যতে মনোনয়নে তৃণমূলের সুপারিশ উপেক্ষা করলে প্রতিটি দলকেই এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। যা হোক, উল্লিখিত বিশ্লেষণের উপসংহারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রতীয়মান হয়, তা হলো মনোনয়নে সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করা এবং তৃণমূল পর্যায়ের মতামতের বা সুপারিশকে প্রাধিকার দেওয়া, যেমনটা আরপিওতে উল্লিখিত রয়েছে। আরপিওর প্রতিটি ধারা সব রাজনৈতিক দলের সম্মতিতেই সংস্কার, সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে। কাজেই, ওই আইন অনুসরণ করতে সব নিবন্ধিত দল বাধ্য। অন্যথায় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হবে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা। এই আইনটি রাজনৈতিক দলের সহায়ক হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছিল। কাজেই আমি আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো স্বীয় স্বার্থেই এ ধারা প্রয়োগে মনোযোগী হবে।
টাঙ্গাইল-৩ আসনের নির্বাচনের ফলাফল সরকারি দলের জনপ্রিয়তা হ্রাসের মানদণ্ড হতে পারে না, যেমনটা অনেকেই মনে করেন। কারণ, শুধু প্রদত্ত ভোটের মাত্র ১২ হাজার ভোট পেয়েছেন অন্য দলের প্রার্থী। এই নির্বাচনে মূল বিরোধীদলীয় প্রার্থী না থাকায় এ ধরনের উপসংহার টানা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত নয়। সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য বিরোধী দলের উচিত ছিল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। উপনির্বাচন সব সময়েই দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। অতীতে হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। কাজেই, উপনির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে এক করে দেখা সঠিক হতে পারে না। এখানে যা ঘটেছে, তা এক দলের মধ্যেই বিভাজন, যার মূলে ছিল মনোনয়নে তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করা। এই নির্বাচন এবং উদ্ধৃত অন্যান্য নির্বাচন সব দলের জন্যই এই বার্তাই বহন করে।
পরিশেষে আবারও উল্লেখ করতে চাই, কয়েক বছর ধরে ভোটারদের মানসিকতায় যে পরিবর্তন লক্ষণীয়, তা গণতন্ত্রের জন্য সুখবর। রাজনৈতিক দলগুলো এ পরিবর্তন আমলে নিয়ে ভবিষ্যতে প্রার্থী মনোনয়নে আরও স্বচ্ছতা এবং তৃণমূলের ইচ্ছার সমন্বয় ঘটাবে বলে আশা রাখি। আশা করি, সব দলই আরপিওর ধারাগুলোর প্রতি যত্নবান হবে। অন্যথায় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হবে আইনের ও সংশ্লিষ্ট ধারার প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
এম সাখাওয়াত হোসেন: কলাম লেখক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার।

No comments

Powered by Blogger.