মিসরে বিক্ষোভ অব্যাহত-পরিস্থিতি সম্পর্কে 'অন্ধকারে' যুক্তরাষ্ট্র

মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির জারি করা অধ্যাদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সাত দিন ধরে চলা এ বিক্ষোভে তিনজন নিহত এবং শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গতকাল বুধবারও রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
বিরোধীরা মুরসির অধ্যাদেশকে নিজের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার চেষ্টা হিসেবে দেখছে। আগামীকাল শুক্রবার আরো বড় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিরোধীরা।
এদিকে মিসরের পরিস্থিতির ওপর যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। তিনি বলেন, 'যা ঘটছে তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা আমার জানা নেই। তবে অনেকেই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা ফেরার আশঙ্কা করছেন।'
মুরসি ক্ষমতা একচ্ছত্র করার ঘোষণা দিয়ে গত সপ্তাহে ওই অধ্যাদেশ জারি করেন। এতে বলা হয়, দেশের কোনো আদালত, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি তাঁর নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ বা আইন চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। মুরসি জানিয়েছেন, এ অধ্যাদেশ সাময়িকভাবে জারি করা হয়েছে। তবে অধ্যাদেশ বাতিলে বিরোধীদের দাবিও মেনে নেননি তিনি।
গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেয় মুরসিবিরোধীরা। গতকাল সকাল পর্যন্ত তাহরির স্কয়ারে এ বিক্ষোভ চলে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে দফায় দফায় টিয়ার শেল ছোড়ে। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা জানায়, এসব সংঘর্ষে গত মঙ্গলবার একজন নিহত হয়। আহত হয় শতাধিক। এ নিয়ে গত কয়েক দিনের বিক্ষোভে তিনজন নিহত হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। বিরোধীরা আগামীকাল শুক্রবার আরো বড় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
তাহরির স্কয়ারে অবস্থানকারী ৩২ বছরের আহমেদ হুসেইনি জানান, 'আমরা আবার স্বৈরাচারী সরকারের শাসন চাই না। মুবারক স্বৈরশাসক ছিলেন। তাঁকে হটিয়ে ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার জন্য আমরা বিপ্লব করেছি।' বিরোধীদের দাবি, এ বিপ্লবের ফলই কেড়ে নিতে চাইছে ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুড।
তবে ক্ষমতাসীন দলের দাবি, বিপ্লবের অর্জন ধরে রাখতেই এই অধ্যাদেশের প্রয়োজন ছিল।
কেননা মিসরের বিচার বিভাগে এখনো মুবারক আমলের বিচারকদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে গতকাল মন্ত্রিপরিষদের সভা ডাকেন মুরসি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত জানা যায়নি। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.