ঐতিহাসিক ৭ মার্চেই বিএনপির তারেক দিবস!

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। অথচ এই ৭ মার্চের দিনটিকে ভিন্ন কৌশলে পালন করতে হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
তারা এই দিনটিকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারাবন্দী দিবস হিসাবে পালনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে চারদিনের কর্মসূচীও নিয়েছে তারা। এ নিয়ে দলের মধ্যেই উঠেছে নানা কথা। দলের অনেকে মনে করেন কারাবন্দী দিবস পালন না করে কারামুক্তি দিবস পালন করা উচিত। কিন্তু এ ব্যাপারে দলের কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না।
অন্যদিকে ১৫ আগস্ট হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ধানম-ির ৩২ নম্বর বাসভবনে সেনাবাহিনীর একটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকারসহ আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দাবি করা হয়।
৭ মার্চ ঢাকা ছিল লাখো মানুষের শহর। বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ছুটে এসেছিল বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য। 'বীর বাঙালী অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো' সেস্নাগানে ঢাকা শহর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কখন ঘটবে বিস্ফোরণ এমন একটি পরিস্থিতি বিরাজ করে সারা শহরে। শেখ মুজিব নিজ মুখে স্বাধীনতার ঘোষণা করলে তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বানিয়ে নির্বিচারে বাঙালী নিধনের ঘৃণ্য পরিকল্পনা বাসত্মবায়নে ভারি অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রস্তুত ছিল পাকিসত্মানী সামরিক বাহিনী। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে সুযোগ দেননি হানাদারদের। টানটান উত্তেজনার মধ্যে রেসকোর্সে অনুষ্ঠিত হয় এই সমাবেশ।
বিচ্ছিন্নতাবাদীর দায় চাপিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে যাতে পাকিসত্মানী সামরিক জানত্মারা বিলম্বিত করতে না পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ একটি ভাষণ দেন। সরাসরি না দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরোৰভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। আর বঙ্গবন্ধুর বজ্রনির্ঘোষ কণ্ঠে এ নির্দেশ পেয়েই নিরস্ত্র বাঙালী জাতি সশস্ত্র হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকহানাদারদের বিরম্নদ্ধে। বাঙালীর দেশপ্রেমের অগি্নশিখায় পরাসত্ম করে প্রশিৰিত পাকিসত্মানী সামরিক বাহিনীকে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে মহামূল্যবান স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

No comments

Powered by Blogger.