১২ খণ্ডে প্রকাশিত হলো ‘মুক্তিযুদ্ধ কোষ’

বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল এক অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। এর ইতিহাস নিয়ে নানা বিকৃতি ও বিভ্রান্তি দূর করার লক্ষ্যে প্রকাশিত হলো ১২ খণ্ডের মুক্তিযুদ্ধ কোষ। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন এর সম্পাদনা করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ কোষে আছে একাত্তরের রণাঙ্গনের যোদ্ধাদের বীরত্ব, হানাদার পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর গণহত্যা ও অত্যাচারের তথ্য। আছে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদের ভূমিকার কথা।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। আলোচনা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, শিল্পী হাশেম খান ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। সম্পাদক মুনতাসীর মামুন তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকাশক ফরিদ আহমেদ।
বক্তারা অভিমত দেন, দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, তখন এই কোষগ্রন্থের প্রকাশনা অত্যন্ত সময় উপযোগী। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে একটি মহাফেজখানা (আর্কাইভ) প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব দেন। যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারকাজ ও পরবর্তী অনেক গবেষণার ক্ষেত্রে এ বইয়ের তথ্য ব্যবহার করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।
মুক্তিযুদ্ধ কোষ প্রকাশিত হয়েছে ১২ খণ্ডে। এতে মোট ভুক্তির সংখ্যা ২০ হাজার ৩৯১। মোট পৃষ্ঠা আট হাজার ৩৪। দাম ১০ হাজার টাকা। ক্রেতারা পুরো সেটটি একসঙ্গে অথবা পছন্দমতো যেকোনো খণ্ড কিনতে পারবেন।
‘কায়া’য় ছাপচিত্রের কর্মশালা
লাল ইটের খোলা চত্বরে কয়েকজন যুবক ব্যস্ত ছাপচিত্রকর্ম তৈরির নানা উপাদান নিয়ে। কারও কণ্ঠে গান। গ্যালারির প্রবেশপথে একটি ঘণ্টা। ভেতরে দেয়ালে সাজানো নানা শিল্পকর্ম। এমন পরিবেশে উত্তরার গ্যালারি কায়ায় গত শুক্রবার শুরু হয়েছে ছাপচিত্র কর্মশালা ‘প্যাশন অ্যান্ড ইমপ্রেশন’। বাংলাদেশ ও ভারতের নয়জন শিল্পী অংশ নিচ্ছেন এই আয়োজনে।
কয়েক বছর ধরে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের গ্যালারি কায়া (সড়ক ১৬, বাড়ি ২০) শিল্পের বিচিত্র মাধ্যমগুলোর নানা উপাদান তুলে ধরছে। এ ধরনের সৃজনশীল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা আয়োজন করেছে ছাপচিত্রের এই কর্মশালা।
কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী রামেন্দ্র নাথ কস্তা, অতীন বসাক ও জয়ন্ত সরকার। বাংলাদেশের শিল্পীরা হলেন: আশরাফুল হাসান, নগরবাসী বর্মণ, রফি হক, শেখ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও সুজিত সরকার। গ্যালারি কায়ার পরিচালক গৌতম চক্রবর্তী জানালেন, এ কর্মশালার শিল্পকর্ম নিয়ে বড় পরিসরে প্রদর্শনীর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
কলকাতা বইমেলার আকর্ষণের কেন্দ্রে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন
কলকাতা প্রতিনিধি জানান, কলকাতা বইমেলায় এবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে উপচে পড়া ভিড়। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের আদলে তৈরি করা হয়েছে প্যাভিলিয়নটি। এতে নিজেদের প্রকাশনা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের ৩৪টি প্রকাশনা সংস্থা।
কলকাতা বইমেলা শুরু হয়েছে ২৬ জানুয়ারি থেকে। এবারের বইমেলার ‘থিম কান্ট্রি’ বাংলাদেশ। আর তাই বাংলাদেশকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে সেমিনারসহ নানা অনুষ্ঠানের। বইপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রেও বাংলাদেশ। তাঁরা লাইন দিয়ে ঢুকছেন বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে। কিনছেনও অনেক বই।

No comments

Powered by Blogger.