২৫ মার্চ কালরাত্রি স্মরণে নিষ্প্রদীপ কর্মসূচী

একাত্তরের ২৫ মার্চে পাকবাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদ ও সেই কালরাত্রি স্মরণে এক মিনিটের নিষ্প্রদীপ কর্মসূচী এবং স্বাধীনতার প্রথম প্রহর স্মরণে একই রাতে এক মিনিটের ব্যবধানে প্রদীপ প্রজ্বলন এবং নতুন প্রজন্মের হাতে মুক্তি ও প্রগতির এই প্রদীপ হস্তান্তরের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের মাঠে ফোরাম কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচী পালন করবে। এই কর্মসূচী পালন উপলৰে ২৫ মার্চ রাত ১০ টা থেকে ১২ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশব্যাপী পাড়া মহলস্না, বসতবাড়ি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কাব ও সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচী পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ফোরাম নেতৃবৃন্দ। শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ারভাইস মার্শাল (অব) একে খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ভারত-সোভিয়েত ছাড়া প্রভাবশালী অনেক রাষ্ট্রের বিরোধিতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বাধাবিপত্তি থাকলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। খুব শীঘ্রই এই বিচার শুরু হবে। সকল ধরনের প্রশ্নমুক্ত রাখতেই বিচারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) হারুন-অর-রশিদ, বীর প্রতীক। উপস্থিত ছিলের মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান সেনানায়ক বর্তমান সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ারভাইস মার্শাল (অব) একে খন্দকার, সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক সেনাপ্রধান (অব) জেনারেল শফিউলস্নাহ, মেজর জেনারেল (অব) সি আর দত্ত, কর্নেল (অব) আবু ওসমান চৌধুরী প্রমুখ।
২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার স্মরণে শিখা চিরনত্মনের পাশে ১১ টা ৫৯ মিনিট থেকে ১২ টা পর্যনত্ম এক মিনিট নিষ্প্র্রদীপ কর্মসূচী পালন করা হবে। আর রাত ১২টা থেকে ১২টা ১ মিনিটে প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধারা প্রদীপ প্রজ্ব্বলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার প্রথম প্রহর উদ্যাপন করা হবে। প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাদের জ্বেলে দেয়া এই প্রদীপ নতুন প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এভাবেই একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাত্রির সেই গণহত্যার প্রতিবাদ এবং স্বাধীনতার প্রথম প্রহর উদ্্যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের অগ্রসেনানী সেনানী সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম। শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের পৰ থেকে এই কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে একই সঙ্গে দেশব্যাপী এই কর্মসূচী পালনের জন্য তারা মুক্তিযোদ্ধা-জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরম্ন হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সন্দেহ সংশয়ের কোন অবকাশ নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একে খন্দকার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কবে শুরম্ন হচ্ছে তার দিন তারিখ এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে খুব শীঘ্রই বিচার শুরম্ন হবে। বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যাতে কোন প্রশ্নের সুযোগ না থাকে সেজন্য বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরম্নদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বাধাবিপত্তি থাকলেও আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ভারত-সোভিয়েত ছাড়া সেদিন প্রভাবশালী অনেক রাষ্ট্রের বিরোধিতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে এই অপশক্তির সমর্থক কারও-কারও নানা রকম ওজর-আপত্তি থাকতেই পারে। তাতে বিচার বন্ধ হবে না। চিহ্নিত এবং শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার খুব শীঘ্রই শুরম্ন হবে।

No comments

Powered by Blogger.