বাচ্চু রাজাকার মামলার রায় ॥ ইতিহাসের অধিকার ফিরে পাওয়া by মুনতাসীর মামুন

মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য যখন ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়, তখন থেকে তাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সব পক্ষ থেকেই বিদ্যমান ফৌজদারি মামলার ধারণা দূর করতে সময় লেগেছ।
বিচার যতই এগিয়ে চলেছে ততই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপি সরাসরি যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী দল জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল বানচাল ও অভিযুক্তদের মুক্ত করার জন্য। ফৌজদারি আইনেও অপরাধীকে কেউ আশ্রয় দিলে সেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে। এখন আইন কর্তৃক স্বীকৃত ১৯৭১ সালের খুনীদের দল জামায়াতকে নিয়ে মানবতাবিরোধী বিচারের বিরোধিতা করলে তার বিচার হবে না কেন? এ প্রশ্নও জাগবে এ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বাতিল করলেন না কেন? হয়ত তিনি এর গুরুত্ব বোঝেননি, বা ভুলে গেছেন; বা ভেবেছেন, জামায়াতীরা তো এখন মুক্ত; সুতরাং, এর গুরুত্ব আর কী? অনেকে বলতেন এবং বিএনপির অনেকে এখনও বলেন, ঐ সব ব্যক্তির অপরাদের বিচার তো ফৌজদারি দ-বিধি অনুযায়ীই করা যায়। আমরা তখন এর বিরোধিতা করেছি। কারণ ঐ ধরনের বিচার হতো ইতিহাসকে অস্বীকার করা। সামগ্রিক অপরাধের বিচার তো হতো না এবং হয়েছিলও তাই। অনেকে মামলা করেছিলেন। কোন নিষ্পত্তি হয়নি। আরেকটি বিতর্ক উত্থাপন করা হয় এভাবে যে, এত বছর পর এ মামলা হবে কিভাবে? তামাদি কি হয়ে গেল না তা? বিবাদী পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল এ বলে যে, এই আইনে অপরাধ যথাযথভাবে সংজ্ঞায়িত হয়নি। ট্রাইব্যুনাল যথাযথভাবে রায়ে এসব প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছে। বিচারপতিরা বলেছেন, এ সব প্রশ্নের কোনটিই যথার্থ নয়, গণহত্যা কখনও পুরনো হয় না। আর এর বিচারের সময়ের সীমাবদ্ধতা নেই।
[In absence of any statutory limitation, as a procedural bar, only the delay itself does not preclude prosecutorial action to adjudicate the culpability of prepetrator of coreinternational crimes.]
এমনকি রোম চুক্তি স্ট্যাটুটও এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। রোম সনদের কথা তোলা হয় এ কারণে যে, বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। উল্লেখ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবাইকে বড় বড় উপদেশ দেয়। এই রায় হবার পরও বিএনপির মতো স্বচ্ছতা ও মানদণ্ডের কথা তুলেছে। তারা কিন্তু ঐ সনদে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছে। ট্রাইব্যুনাল পরিষ্কার ভাষায় এগুলো নাকচ করে দিয়েছে। The Rome Statute is not binding upon this tribunal for resolving the issue of elements requirement.
এবার আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর কথা বলি। যখন এটি আইনে পরিণত হয় তখন বলা হয়েছিল, নুরেমবার্গ বিচারের জন্য প্রণীত আইনের পর এত ভাল আইন আর তৈরি হয়নি। বঙ্গবন্ধু এই আইনের খসড়া করতে বলেন। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ ও ড. কামাল হোসেনকে এর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। খসড়া তৈরি করেছিলেন বিচারপতি মুনীম, এ্যাটর্নি জেনারেল ফকির শাহাবুদ্দিন, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ, ব্যারিস্টার হারুনুর রশীদ, মাহমুদুল ইসলাম প্রমখু। খসড়াটি প্রস্তুত হলে তা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয় আয়ান ম্যাকডরমাটকে, যিনি জেনেভার আন্তর্জাতিতক আইন বিশেষজ্ঞ কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। অধ্যাপক অটোফন ট্রিফটারারকেও খসড়া দেখানো হয়, যিনি নুরেমার্গ বিচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সংবিধানে এটি সুরক্ষা পায় কিভাবে? সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদে বলা হয় “এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোন সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফৌজদারিতে সোপর্দ কিংবা দ-দান করিবার বিধানসংবলিত কোন আইন বা আইনের বিধান এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য বা তাহার পরিপন্থী এই কারণে বাতিল বা বেআইনী বলিয়া গণ্য হইবে না কিংবা, কখনও বাতিল বা বেআইনী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না।”
৪৭ ক ধারায় এই আইনের সুরক্ষা দেয়া হয়েছে এইভাবে “ (১) যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের ৩১ দফায় বর্ণিত কোন আইন প্রযোজ্য হয়, সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ, ৩৫ অনুচ্ছেদের (১) ও (৩) দফা এবং ৪৪ অনুচ্ছেদের অধীন নিশ্চয়কৃত অধিকারসমূহ প্রযোজ্য হইবে না। (২) এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বর্ণিত কোন আইন প্রযোজ্য হয়, এই সংবিধানের অধীনে কোন প্রতিকারের জন্য সুপ্রীমকোর্টে আবেদন করিবার কোন অধিকার সেই ব্যক্তির থাকিবে না।”
পরবর্তীকালে যখন যুদ্ধাপরাধ বিচারে আন্তর্জাতিক আদালত প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তৈরি হয় তখন এই আইনের সহায়তা নেয়া হয়েছিল। অন্যান্য যুদ্ধাপরাধ বিচারের আইনে গণহত্যা আছে, কিন্তু আমাদের আইন আরো এক ধাপ এগিয়ে আছে। কারণ এখানে ধর্ষণকেও অপরাধের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং আইনটি রাতারাতি গজায়নি এবং এটি আন্তর্জাতিক মানের যে কোন আইনের সেরা একটি আইন। আসলে আমরা না জেনে কথা বলি এবং মূর্খদের কথাগুলোই সত্য বলে মনে করি।
আরো আছে। আমরা দিব্যি ভুলে গেছি, ১৯৭৩ সালের মার্চে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ২৯ অধিবেশনে বাংলাদেশের গণহত্যা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছিল; বিচারপতি গোলাম রাব্বানী এর সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করেছেন :
“যে হাজার হাজার বাঙালি নির্যাতন কক্ষে যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, নির্যাতনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের লক্ষ লক্ষ বিধবা ও এতিম সন্তান এবং যারা বেঁচে গেছেন তাদের এটা আশা করার অধিকার রয়েছে যে, যারা এসব ঘৃণ্য অপরাধের জন্য দায়ী, তারা যেন বিচার থেকে রেহাই না পায়।” এই অধিবেশন নিম্নোক্ত ঘোষণা দেয়
১. যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ যখন যেখানে সংঘটিত হবে, তার তদন্ত করতে হবে এবং সে অপরাধে কোন ব্যক্তি অভিযুক্ত হলে শাস্তি দেয়া যাবে।
২. উপরোক্ত অপরাধীদের বিচার যে দেশে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সে দেশে সে দেশের বিধানমতো হবে।
৩. উপরোক্ত নীতিদ্বয়ের প্রেক্ষিতে যেসব ব্যক্তি গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সুপরিকল্পিত হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগসহ মারাত্মক অপরাধ করেছে বলে প্রমাণ আছে তাদের বিচার করার অধিকার ও কর্তব্য বাংলাদেশের আছে।
সুতরাং এ বিষয় নিয়ে কারও কোন, এমনকি বিদেশী কোন রাষ্ট্রের কথা বলার অধিকার নেই। মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য ৪০ বছর আগে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে ম্যান্ডেট দিয়ে রেখেছে।
এই পূর্ব ইতিহাস বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল এই বিচার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, প্রচলিত আইন অমান্য করে যেসব অপরাধ করা হয়েছে তার বিচারের জন্য আইনগত প্রচেষ্টা সঠিক তো বটেই, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার প্রক্রিয়াও সাহসী এক প্রচেষ্টা।
[“In Bangladesh, the efforts initiated under a lawful legislation to prosecute, try and punish the prepetrators of crimes committed in violation of customary international law are an indicia of valid and courageous endeavour to come out from the culture of impunity”]
এই বিচার কেন এখন হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে, বিশেষ করে বিএনপি প্রেমিকরা। কয়েকদিন আগে এক টেলিভিশন আলোচনায় বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব প্রশ্ন করেছিলেন, আওয়ামী লীগ কেন আগে এ বিচার করল না। এখন কেন করছে? প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতটা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। বিএনপির তরিকুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি এজেন্ডা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
খন্দকার মাহবুবকে বলেছিলাম ১৯৭৩ সালে এই আইন করার জন্য পাকিস্তানপন্থীরা যার নেতৃত্ব দিয়েছেন জেনারেল জিয়া, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। না হলে বিচার হতো। কিন্তু এরপর দীর্ঘদিন বিএনপি শাসন করেছে। জিয়া আবার ‘মুক্তিযোদ্ধা’ ছিলেন, তো তিনি করলেন না কেন? এর উত্তর তিনি দিতে পারেননি। আর এই ইস্যু রাজনৈতিক কোন ইস্যু নয়। জাতিসংঘের ম্যান্ডেট কি রাজনৈতিক ইস্যু? এটি জাতীয় ইস্যু। আর এই জাতীয় ইস্যু সরকারকে এই শুভ প্রচেষ্টায় সমর্থন না জানিয়ে বিএনপি তার রাজনৈতিক এজেন্ডা কার্যকর করতে চাচ্ছে যা বাধা দেয়া সওয়াবের কাজ।
বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে জামায়াত সব সময় বিরোধিতা করেছে। ইতিহাসের সত্য অবলেপনের চেষ্টা করেছে। এ সত্য বহাল থাকলে তাদের অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়তে হয়। পাকিস্তানবাদ যেহেতু বিএনপিরও আদর্শ সে জন্য জামায়াতকে ত্যাগ করা তাদের পক্ষেও সম্ভব নয়। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে রাখার জন্য তারা খানিকটা সতর্কতা অবলম্বন করে, বলছে, তারা বিচার চায় তবে তা হতে হবে স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের। খন্দকার মাহবুব হোসেন সেই টিভি আলোচনায় বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, এখানে অন্য দেশের বিচারক নেই (মানে শ্বেতাঙ্গ)। তা’হলে এটি আন্তর্জাতিক হলো কিভাবে?
প্রথমে দেখা যাক ট্রাইব্যুনালের আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধসমূহ কিভাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে
(ক) বেসামরিক জনসমষ্টির যে কাহারো বিরুদ্ধে কৃত নরহত্যা, উচ্ছেদ, ক্রীতদাসতুল্য জবরদস্তি, বিতাড়ন, কয়েদ, অপহরণ, আটক, শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, কিংবা অপর মানবিক কার্যসমূহ কিংবা রাজনৈতিক, গোষ্ঠীগত, উপজাতিগত বা ধর্মীয় কারণে শাস্তি প্রদান যেখানে অপরাধ সংঘটন হইয়াছে তাহা সে স্থানে প্রচলিত আইন বিরুদ্ধ হোক কিংবা না হোক....
(খ) গণহত্যা : ইহার অর্থ ও ইহার অন্তর্ভুক্ত নিম্নবর্ণিত যে কোন কার্য করা যাহার উদ্দেশ্য একটি জাতি, উপজাতি, নরগোষ্ঠী, ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তি সমষ্টিকে সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক হত্যা করা। যেমন.....
(গ) আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যে কোন অপরাধসমূহ......”
১৯৪৮ সালের জেনেভা কনভেনশনের ধারা ৩৫, ৭০ ও ৭৫-এ, এইসব অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে বার বার যে আন্তর্জাতিক অপরাধের কথা বলা হয়েছে তা উল্লিখিত এইসব অপরাধ? এই অপরাধ কী? গণহত্যা, ধর্ষণ, প্রভৃতি। যেহেতু এগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ সে জন্য এগুলো বিচারের জন্য আইন করা হয়েছে যার নাম আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ আইন /ট্রাইব্যুনালস। এখানে আন্তর্জাতিক বিচারকের প্রশ্ন অবান্তর। সুপ্রীমকোর্টে শ্বেতাঙ্গ বিচারক দিলে বোধহয় মাহবুব হোসেনরা কৃতার্থ বোধ করবেন, কৃষাঙ্গ আইনবিদদের সম্মান বাড়বে। এমন হীনম্মন্যতাবোধ পৃথিবীতে বিরল।
আন্তর্জাতিক মানের কোন সংজ্ঞা প্রশ্নকারীরা দিতে পারেননি। ড. তুরিন আফরোজ লিখেছেন “যে কোন আইন সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক বিশ্বে গ্রহণযোগ্য কি না, নাকি ওই আইন আন্তর্জাতিক বিশ্বের মৌলিক ধ্যান ধারণা ও নৈতিকতার পরিপন্থী। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে, ১৯৭৩ সালের আইনটি মোটেও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মৌলিক ধ্যান-ধারণা বা নৈতিকতার পরিপন্থী নয়।
এছাড়া ১৯৪৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন, ইসরাইল, পোল্যান্ড, চেকোশ্লোভাকিয়া, ফ্রান্স নিজস্ব আইনে যুদ্ধাপরাধ বিচার করেছে। ফ্রান্স এবং ইসরাইল এখনও নিজস্ব আইনে করছে। সেসব দেশে তরিকুল বা ফখরুলরা আছে। কিন্তু তাদের নৈতিকতা বোধ আছে খানিকটা। তারা এ নিয়ে কখনও প্রশ্ন তোলেনি। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সেসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন রুয়ান্ডার অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক বলেছেন, কারণ বাংলাদেশ থেকে এডভোকেট টিএইচ খানকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রুয়ান্ডা বা কম্বোডিয়ায় বিচারক ছিলেন না, তাই তাদের নিতে হয়েছে। বাংলাদেশের সৌভাগ্য, এখানে ঘাটতি নেই। এবং নিশ্চিতভাবে বলা যায় এখানে কখনও কবি, রাজনীতিবিদ, এডভোকেটের ঘাটতি হবে না। আর স্বচ্ছতা?
পৃথিবীর কোন যুদ্ধাপরাধ/মানবতাবিরোধী আইনে জামিনের বন্দোবস্ত নেই। বাংলাদেশের আইনে আছে এবং মানবতাবিরোধী আব্দুল আলীম জামিনে আছে। গোলাম আযমের মতো লোককে ভিআইপি কেবিনে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সবাইকে জেলে তো নয়, মামার বাড়িতে রাখা হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশের আইনে আপিলের বন্দোবস্ত নেই। এখানে এক মাসের মধ্যে আপিলের বিধান আছে। এরপর স্বচ্ছতা চাইলে, ঐ বিষয়টি আমদানিযোগ্য পণ্য হলে আমদানি করতে হবে। (চলবে)

No comments

Powered by Blogger.