আসুন হামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামি
০ ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রম্নয়ারি পর্যনত্ম চলছে হাম বিরোধী ক্যাম্পেইন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যনত্ম। ০ হামের প্রকোপ শিশুদের মাঝেই বেশি।
বেশি জটিলতা ও মৃত্যুর হার। জটিলতা হতে পারে নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়া, অপুস্টি, এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব, বধিরতা ইত্যাদি অন্যতম।০ আমরা জানি ৯ মাস বয়সে হামের টিকা দিলে কার্যকারিতা শুধুমাত্র ৮৫%। প্রতি বছর ১০০টার মধ্যে ৩১টি শিশু হাম রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে দিন যাপন করছে। তাই ২০১০ সাল অবধি হাম বিরোধী এই মহাপরিকল্পনা।
০ ৯ মাস থেকে ৫ বছরের কমবয়সী সকল শিশুকে (পূর্বে হামের টিকা পেয়ে থাকলে অথবা হাম হলেও) হামের টিকা দেয়া হবে।
০ ০-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ২ ফোঁটা পোলিও টিকা খাওয়ানো হবে।
০ হামের টিকা খুবই নিরাপদ। হামের টিকা দেয়ার পর সাধারণত টিকার স্থানে সামান্য ব্যথা ও জ্বর হতে পারে। তবে খুবই অল্পসংখ্যক ৰেত্রে এর চেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া হতে পারে। টিকা প্রাপ্তির পর কোনো অসুবিধা হয় কিনা তা দেখার জন্য প্রতিটি শিশুকে কমপৰে আধাঘণ্টা টিকা কেন্দ্রে অপেৰা করতে হবে। পোলিও টিকার অতিরিক্ত ডোজ শিশুর শরীরে কোনো ৰতি করে না। মনে রাখবেন, যদি আপনার এলাকার একটি শিশুর পোলিও টিকা না খায় তবে তার পোলিও আক্রানত্মের সম্ভাবনা থেকেই যাবে।
০ প্রায়শই প্রশ্ন হয় হামের টিকা দিয়েছি আবার কেন দেব? এ ব্যাপারে হলিফ্যামিলি হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ইশতিয়াক হোসেন বলেন, যদি আপনি ৫ মাস বয়সে হামের টিকা দেন তবে কার্যকারিতা ৬০%, যদি ৯ মাসে দেন তবে ৮৫% আর যদি ১৫ মাসে আবার দেন তবে কার্যকারিতা প্রায় ১০০% হয়। এৰেত্রে শুধু ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে শিশুকে হাম ও পলিও টিকা দেয়া যেতে পারে। খুব বেশি জ্বর বা অসুস্থ না হলে সাধারণ অসুস্থতায় টিকা দিতে কোন বাধা নেই।
কিভাবে রোগের আক্রমণ থেকে দূরে থাকবেন
০ আপনার চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন : আপনার চারপাশের বায়ুদূষণ, ময়লা আবর্জনা আপনাকে প্রতিনিয়ত রোগের জীবাণুমুখী করে রাখে। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটা পরিবেশ আপনার সুস্থ জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক।
০ ভাল করে হাত ধুয়ে নিন : আপনার আসবাবপত্র, টেলিফোন অথবা দরজার হাতল যখন ধরছেন, তখন জীবাণুগুলো মূলত আপনার হাতে লেগে যাচ্ছে অথবা আপনি যখন কারও সাথে করমর্দন করছেন তখন তাদের হাতের জীবাণুগুলো আপনার হাতে এসে যাচ্ছে। ফলশ্রম্নতিতে আপনার হাত যখন আপনার শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গ যেমন নাক, চোখ, মুখে স্পর্শ করছে_তখন এ জীবাণুগুলো আপনার শরীরে প্রবেশ করছে। এ জন্য বলা হচ্ছে, প্রতিবার হাত কোন কিছুর স্পর্শের পর ১৫ সেকেন্ড ধরে সাবান দিযে ধুতে হবে।
যদি আমরা শুধু যধহফ ধিংয-এ যত্নবান হই তবে সংক্রামক ব্যাধি ৭০% কমে যাবে।
০ বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরে থাকুন
হাতে গস্নাবস পরম্নন, ময়লা ধুলো থেকে দূরে থাকুন। বিস্নচিং পাউডার, ওভেন কিনার খালি হাতে ধরবেন না।
আপনার থালাবাসন যেন ভালভাবে ধোয়া হয় সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যেন কোন রকমের ডিটারজেন্ট লেগে না থাকে।
০ ধূমপান করবেন না : ধূমপান আপনাকে এবং আপনার চারপাশের প্রতিজনকে রোগ আক্রমণের দিকে ঠেলে দেয়।
০ দুশ্চিনত্মা থেকে মুক্ত থাকুন, হাসিখুশি এবং শিথিল থাকুন:
দুশ্চিনত্মা আপনার শরীরের হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন আবার রোগ প্রতিরোধ মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ৰমতা এবং রোগ আরোগ্যের ৰমতা কমে যায়।
০ রীতিমতো ব্যায়াম করম্নন : ব্যায়াম আপনার জীবনের প্রতিদিনের রম্নটিনের একটি অংশ হোক। ব্যায়াম আপনার শরীরের ৰতিকারক বর্জ্য বের করে দেয়। ব্যায়াম শরীরের লিম্প ফ্যাটিক সিস্টেমকে উজ্জীবিত করে। হাল্কা খালি হাতে ব্যায়াম বা হাঁটা আপনার জন্য অত্যাবশ্যক।
আসুন হামের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধে নামিপর্যাপ্ত ঘুমান : শরীর তার পুর্বাবস্থায় ফিরে যায় ঘুমের মাঝে। ঘুমহীনতা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে।
ভাল খান, সুস্থ থাকুন
সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হলো ভাল খাওয়া, পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া। এখানে কিছু খাদ্য সম্পর্কে আলাচনায় যাওয়া যাক :
০ দুধ, দই, পনির, সয়াবিন এই খাদ্যগুলো অনত্মত একজন নিরামিষভোজী মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য গ্রহণের তালিকাতে থাকা উচিত। আমিষভোজীরা ডিমের সাদা অংশ, মাছ এবং সহজ প্রোটিন অনত্মত সপ্তাহে ৩ দিন তাদের খাদ্য তালিকাতে রাখবেন।
০ বেশি করে সবজি ও ফল খান। প্রচুর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে_যা কিনা ক্যান্সার ও প্রদাহের বিরম্নদ্ধে লড়ার শক্তি জোগাবে।
০ বাদাম জাতীয় খাদ্য বেশি করে খান। এতে বেশি বেশি ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্ক মিলবে।
০ যে সব খাদ্যে পেস্টিসাইড, খাদ্য সংরৰণের কেমিক্যাল ও রং বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলো পরিহার করম্নন।
০ ভাজাপোড়া খাদ্য কম খাবেন। কারণ তারা রক্তে মুক্ত উপাদান বেশি ছাড়ে।
০ চিনি পরিহার করম্নন, একেবারে পরিত্যাগ করতে পারেন। চিনি বেশি করে খেলে ১৫ ঘণ্টার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোগ ব্যবস্থা অৰম হয়ে উঠে।
০ চা, কপি এবং এ্যালকোহল কম খাবেন। কারণ এরা শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর অযথা চাপ ফেলে।
সূত্র : হেল্থ এন্ড নিউট্রিশন
No comments