রাঙ্গামাটিতে ৭৫ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন- বিডিআরের মামলা

 রাঙ্গামাটিতে স্থাপিত বিডিআর বিদ্রোহের বিচারের বিশেষ আদালত -৪ এ মারিশ্যা ৯ ব্যাটালিয়নে বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত ২ নং মামলার ৭৫ আসামিকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়েছে।
মামলার প্রসিকিউটর লে. কর্নেল শামিমুর রহমান তাদের বিরম্নদ্ধে আনিত অভিযোগ আদালতে উত্থাপন করেন । আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। এই মামলা দায়ের করার সময় ৬১ সার সা্য দেয়ার কথা ছিল। প্রসিকিউটর সোমবার আরও ২৪ সাীর সা্য গ্রহণ করার জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে। এ নিয়ে আদালতে এই মামলার সাীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫ জন। এই মামলার বাদী নায়েক সুবেদার রেজাউর রহমান আদালতে প্রথম সা্য প্রদান করেন। প্রথম দিন এক নম্বর সাী দীর্ঘ লিখিত বক্তব্য সমাপ্ত না হওয়ায় আদালত মঙ্গলবার বিকেল ১টা পর্যনত্ম মুলতবি ঘোষণা করা হয়। ওই দিন আদালতে পুনরায় সা্য গ্রহণ শুরম্ন হবে।
চার্জ গঠনের পর আদালতে হাজির করা ৭৫ আসামির প্রত্যেকে বিচারক নাম ধরে তাদের বিরম্নদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেন কি-না, জানতে চান । এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে প্রত্যেক আসামি তাদের বিরম্নদ্ধে আনীত অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন। এই সময় আদালতে হেদায়তুল ইসলাম নামে এক আসামি কাঠগড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালত তাকে বিডিআর-এর চিকিৎসাকেন্দ্র নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেয়। আদালত মুলতবি শেষে মামলার প্রসিকিউটর আদালত প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিং দেন । এ সময় তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুসারে প্রত্যেক আসামিকে তার বিরম্নদ্ধে আনীত অভিযোগের কপি, সাীদের তালিকা ও উলেস্নখযোগ্য সাগিণের বক্তব্যের সারসংেেপর কপি ইতোমধ্যে আসামিদের নিকট সরবরাহ করা হয়েছে বলে তিনি উপস্থিত সংবাদিকদের জানান।
রাঙ্গামাটিতে স্থাপিত বিশেষ আদালত ৪- এ যথারীতি বিডিআর আইন অনুযায়ী বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যবিশিষ্ট বিচারিক প্যানেল আদালত পরিচালনা করেন। আদালতের অপর দুই বিচারক_ লে. কর্নেল আব্দুর রউফ এবং মেজর গোলাম মুসত্মাফা আল মামুন । এছাড়া এ্যাটর্নি জেনারেলের মনোনীত প্রতিনিধি ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল সোহরাওয়র্াদী তাকে সহায়তা করেন। সরকার পরে বিশেষ পিপি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল ও আইনজীবী মহিউদ্দিন দেওয়ান। এ সময় আদালতে আসামিদের প েসুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী আবদুর রউফ ও বশির আহমদ উপস্থিত ছিলেন। বিডিআর-এর প থেকে আসামিদের জন্য ফ্রেড অব দি এ্যাকুইজড হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডিআর- ৪ ব্যাটালিয়নের মেজর এনামুল করিম। উলেস্ন-খ্য, বিগত বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রম্নয়ারি বিডিআর সদর দফতরে বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। এ বিদ্রোহের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিডিআর সেক্টরের বিডিআর জওয়ান একাত্মতা প্রকাশ করে। বিদ্রোহের ঘটনার পর বিদ্রোহের অভিযোগে অন্যান্য সেক্টরের মতো রাঙ্গামাটি সেক্টরের ৫টি ইউনিটের ৮৪ জওয়ানের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতে আজ ১৬ ফেব্রম্নয়ারি রাজনগর ক্যাম্পের অভিযুক্ত ৯ আসামির বিরম্নদ্ধে আনীত অভিযোগের ওপর যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। এদের বিরম্নদ্ধে ইতোমধ্যে ১২ সাীর সা্য গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তিতর্ক শেষে প্রথম মামলার রায় প্রদান করা হবে। এই েেত্র আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে। আদালত যথানিয়মে সকাল সাড়ে ৯টায় বসে পৌনে ৫টা পর্যনত্ম চলে । এর মধ্যে দুপুরের খাবার ও চা চক্রের জন্য ৩বার আদালত মুলতবি হয়।
আদালতের নির্দেশে কোর্ট শেষে অভিযুক্তদের রাঙ্গামাটি জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ১ নং মামলায় অভিযুক্ত ৯ জনের বিরম্নদ্ধে আনীত অভিযোগের ওপর যুক্তিতর্ক পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে। ৯ অভিযুক্তরা_ হাবিলদার মোঃ শামছুল হক, সিগন্যালম্যান মোঃ আব্দুর রহমান, সিপাহী আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার মোঃ সোহরাব হোসেন, হাবিলদার মোঃ শিবি্বর আহমেদ, সিপাহী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, সিপাহী মোঃ রাসেল কবির, সিপাহী মোঃ জহির উদ্দিন এবং সিপাহী মোঃ সরওয়ার কামাল।

No comments

Powered by Blogger.