অর্থ দ্রুত ছাড় করুন- উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ॥ এডিবির ৩শ' কোটি ডলার দেয়ার ঘোষণা

বাংলাদেশকে অধিক সাহায্য প্রদানের ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক সোমবার ঢাকায় শুরম্ন হয়েছে। বৈঠকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে সরকার দাতাদের প্রতি অধিক সাহায্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে।
উন্নয়নসহযোগীরা সরকারের এ আহ্বানের প্রতি সাড়া দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে সরকারকে চারটি চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলো_ দুর্নীতি দমন, সুশান প্রতিষ্ঠা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর দ্রম্নত বাসত্মবায়ন। এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা গেলে বাংলাদেশ কাঙ্ৰিত ল্য অর্জন করতে সম হবে। সাহায্য প্রদানের েেত্র অন্যান্য দাতারা ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এক ধাপ এগিয়ে গেছে। তারা আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে তিন শ' কোটি মার্কিন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি জ্বালানি খাতের দতা বৃদ্ধি করতে তেল ও বিদু্যতের দাম সমন্বয় তথা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে দুই দিনের এই বৈঠকের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি জলবায়ু তি মোকাবেলায় অঙ্গীকার পূরণে দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এসব উদ্যোগ এগিয়ে নেয়ার জন্য কোপেনহেগেনে যে তহবিল গঠনের অঙ্গীকার করা হয়েছে, তার দ্রম্নত ছাড় প্রয়োজন। সবচেয়ে সংবেদনশীল, স্বল্পোন্নত এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী নিচু ও ুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জন্য এটা খুবই জরম্নরী।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের দু'দিনের বৈঠক শুরম্ন হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ ৩২টি দাতা দেশ ও সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছে। বৈঠকের প্রথম দিনে সুশাসন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন, জ্বালানি খাত, খাদ্য ও কৃষি খাতের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের বৈঠকে সরকার দাতাদের কাছে রূপকল্প ২০২১ এবং দ্বিতীয় দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে। উন্নয়নসহযোগীরা এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তাদের সুপারিশ প্রদান করে। অতীতের মতো সমালোচনায় না গিয়ে এবার দাতারা ইতিবাচক হিসেবে সরকারের পদপেগুলোর ওপর আলোচনায় অংশ নেয়।
বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ডক্টর আতিউর রহমান বলেন, এবারের উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে দাতারা খুবই নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পদপেকে তারা ইতিবাচক হিসেবে উলেস্নখ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন বৈঠকের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নসহযোগীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ভয়াবহ দিকটি বিবেচনা করে 'ব্রাসেলস প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন'-এর আওতায় তাদের জাতীয় আয়ের দশমিক সাত শতাংশ উন্নয়নশীল দেশের জন্য এবং দশমিক দুই শতাংশ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য প্রদানের যে অঙ্গীকার করেছেন তার দ্রম্নত বাসত্মবায়ন প্রয়োজন। আমি আশা করি, এই ফোরাম অবশ্যই আমাদের উন্নয়নসম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিসত্মারিত আলোচনা করবে। এখান থেকে যে সুপারিশ বেরিয়ে আসবে তা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কৌশল বাসত্মবায়নে গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে দেখতে চাই। অর্জন করতে চাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ল্য। এ ল্য পূরণে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ জন্য আমরা তথ্য-প্রযুক্তি ও ই-গভর্নেন্স কার্যক্রমকে জনপ্রিয় করার পদপে গ্রহণ করেছি। সারাদেশে স্কুলগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ ও কম্পিউটার প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দা সত্ত্বেও আমরা দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সম হয়েছি। এ সময় রফতানি খাত, জ্বালানি এবং সার ও বীজের জন্য ৫০ কোটি ডলার ভর্তুকি প্রদান করেছি। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ২৪০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন একটি বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আমরা নিজস্ব কর্মসূচী গ্রহণ করেছি। এগুলোর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে- নদী ড্রেজিং, জমি উদ্ধার, উদ্ধারকৃত উঁচু জমিতে ছিন্নমূল মানুষের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি, আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খায় এমন ফসলের জাত উদ্ভাবন এবং জীববৈচিত্র্য রা করা। আমরা ১৩৪টি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মসূচী অনুমোদন করেছি। এজন্য ১০ কোটি ডলারের জলবায়ু ফান্ড গঠন করেছি। দাতাদের সহায়তায় আরও ১৫ কোটি ডলারের তহবিল গঠন করা হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলের আওতায় আমরা দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য ুদ্র ঋণ কার্যক্রম জোরদার করেছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিশ্বব্যাংক দণি এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসাবেল গুরেরো, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের দণি এশীয় অঞ্চলের মহাপরিচালক সুলতান হাফিজ রহমান, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন বু্যরোর মহাপরিচালক কাজু সুনাগা, ডিএফআইডির কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস অস্টিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া। উন্নয়ন ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরার জন্য এবার প্রথম উন্নয়ন ফোরাম চলাকালে ৪০টি স্টলের মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
তেল ও বিদু্যতের দাম বৃদ্ধির পরামর্শ জ্বালানি তেল ও বিদু্যতের দাম সমন্বয় করার তাগিদ দিয়েছে দাতারা। সোমবার বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সভায় বিভিন্ন আনত্মর্জাতিক সংস্থা এবং দেশের প েএই তাগিদ দেয়া হয়। সভায় বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান পদপে ও প্রকল্পগুলোর বাসত্মবায়ন সম্পর্কে দাতাদের কাছে দলিল পেশ করার পর দাতারা তাদের মতামত দেন।
উন্নয়ন ফোরামের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করা হয় বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদু্যতের ওপর। এতে বর্তমান সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে দাতারা বলেন, সরকার যে সব পদপে ও প্রকল্প হাতে নিয়েছে তা বাসত্মবায়িত হলে সরকারের জ্বালানি ও বিদু্যত উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়বে। ফলে বিদু্যত ও জ্বালানির দাম সমন্বয় করার প্রয়োজন হবে। দেশের দারিদ্র্যবিমোচনে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটা গুরম্নত্বপূর্ণ।
জ্বালানি ও বিদু্যতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি সরকারকে বলেন, এই খাতে বিনিয়োগের জন্য একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ও জ্বালানি খাতের দতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এেেত্র কারিগরি সহায়তা এবং বিশেষ অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান করার েেত্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারকে সহায়তা দিতে পারে। জ্বালানি খাতের বাংলাদেশের সম্ভাবনার পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো জ্বালানি শক্তির উৎস অনুসন্ধান ও উত্তোলন এবং বিকল্প জ্বালানি শক্তি উদ্ভাবন করা। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের কাছে বিদু্যত ও জ্বালানি পেঁৗছে দেয়াও সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের এখনও ৭০ ভাগ মানুষ বিদু্যতের বাইরে। জ্বালানি খাতে সরকারের একটি সঠিক নীতি থাকা প্রয়োজন।
জ্বালানি ও বিদু্যত নিয়ে উন্নয়নসহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে জ্বালানি ও বিদু্যত উপদেষ্টা ডক্টর তৌফিক এলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেই ছিল বিদু্যত ও জ্বালানি উৎপাদন বাড়াতে প্রকল্প বাসত্মবায়ন করা। মতা গ্রহণের পর পরই সরকার এ ব্যাপারে দীর্ঘ পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনা দাতাদের কাছে তুলে ধরা হলে তারা সনত্মোষ প্রকাশ করে এবং সরকারকে স্বাগত জানায়। তবে তারা আমাদের আরও গভীরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। জ্বালানি সাশ্রয়, দতা বৃদ্ধি এবং জ্বালানি ও বিদু্যতের দাম সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়েছে। দাম সমন্বয় হলে এই খাতের উন্নয়ন টেকসই হবে। বিদু্যত প্রকল্পগুলোকে দাতারা সমর্থন জানিয়েছে। এই খাতের বিরাজমান সমস্যাগুলো মোকাবেলার েেত্র তারা আমাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। ডক্টর তৌফিক এলাহী চৌধুরী বলেন, বিদু্যত ও জ্বালানি খাতে যে সব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে তা বাসত্মবায়নের জন্য সরকারের ৯৫০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে। তবে দাতাদের কাছে এই অর্থ চাওয়া হয়নি, কারণ এই ফোরামে অর্থ নিয়ে কোন কথা হয়নি। তবে তারা বলেছে ,সরকারের সামগ্রিক পদপেকে স্বাগত জানিয়েছে। দাতারা বলেছে, সরকারের নীতি এবং ল্যের মধ্যে যৌক্তিকতা থাকা প্রয়োজন। সরকার সেটা নিশ্চিত করেছে। জ্বালানি ও বিদু্যত খাতের উন্নয়নে একটি তহবিল করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তিনি বলেন, বিগত সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে আমরা অনেক সমস্যাই চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে সরকার এ ব্যাপারে সচেষ্ট আছে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব নয় নিয়ন্ত্রণহীন জনসংখ্যা নিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নয়নসহযোগী দাতাসংস্থাগুলো সীমিত আকারে জনসংখ্যা রাখার উদ্যোগের পরামর্শ দিয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পানি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক বৈঠকে এ পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী ও খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক যৌথ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি খাতে উন্নয়নসহযোগী সংস্থাগুলোর কাছে শর্তহীন সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ফসল উৎপাদন নিজেরাই করব। এ জন্য পানির সৎ ব্যবহার দরকার। ভূগর্ভস্থ পানির সত্মর নিচে চলে যাচ্ছে। আগামীতে এর পরিমাণ ভয়াবহ হবে। এই পানি ব্যবস্থা থেকে সরে আসতে হবে। তিনি বলেন, একদিকে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে, অন্যদিকে মুখ বাড়ছে। এ অবস্থায় ভাল উদ্যোগ নেয়া হলেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। বৈঠকে সকলে এজন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সকল উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষি খাত উন্নয়নে টেকনিক্যাল খাতে উন্নয়নসহায়ক সংস্থাগুলোর কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বৈঠকে এজেন্ডায় না থাকলেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। বর্তমান সরকারের এক বছরের কর্মকা-, ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের অগ্রগতি সম্পর্কে উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে জানানো হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পদপে_ এেেত্র কি ধরনের সহায়তা দরকার, তাও বলা হয়েছে। ৪০ শতাংশ গরিব লোকের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী বৃদ্ধি করার চিত্র বৈঠকে তুলে ধরা হয়। তবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উৎপাদন বৃদ্ধির েেত্র দাতাসংস্থাগুলোর কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বৈঠকে তারা আমাদের দুর্বল পানি ব্যবস্থাপনার কথা বলেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছে। বলা হয়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে; না হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
শর্তহীন সহায়তা চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইতোপূর্বে কৃষি খাতে সহায়তার বিপরীতে একাধিক শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এমনকি বিএডিসিকে ভেঙ্গে দেয়ার প্রসত্মাব আসে। তাই বলেছি, কোন শর্ত ছাড়াই সহায়তা করতে হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের প থেকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, পানি ব্যবস্থাপনা ও কৃষি খাতের ওপর একটি পেপার উপস্থাপন করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.