বেআইনি পোস্টার-ব্যানার-আদালতকেই হস্তক্ষেপ করতে হলো

ডি সিসি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বেআইনি পোস্টার, ব্যানার, তোরণ, দেয়াল লিখনসহ প্রচারের অন্যান্য উপকরণ অপসারণের আদেশ শেষ পর্যন্ত আদালতকেই দিতে হয়েছে। অথচ এহেন বেআইনি কর্ম যাদের আটকানো উচিত ছিল সেই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন কিন্তু এতদিন নির্বিকার থেকেছে।

তারা নগরীকে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন করার জন্য দায়ী কাউকেই আইনের হাতে সোপর্দ করার প্রয়োজনও অনুভব করেনি। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির তরফে জনস্বার্থে রিটটির ওপর ভিত্তি করে আদালত আদেশ দেওয়ায় এখন ঢাকার পুলিশ প্রশাসনকে নড়েচড়ে বসতে হচ্ছে। যিনি বা যারা নিজের নাম প্রচারের জন্য নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরুর অনেক আগে থেকেই নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের সমান অপরাধ সংঘটন করে আসছেন, তাদের টিকিটিও হয়তোবা প্রশাসন এ মুহূর্তে স্পর্শ করতে চাইবে না। প্রচারের নমুনা দেখে মনে হয় প্রার্থীরা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের নামে কার্যত নিজেদের অর্থ, ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তিকেই বেশি করে জাহির করতে চান। এ ধরনের আগাম প্রচারের উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার চালানোর জন্য ব্যয়িত অর্থের সীমিত হিসাবকে ঠিক রেখে লাগামহীন ব্যয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের চাইতে প্রচারে এগিয়ে থাকার উদ্দেশ্যতাড়িত। তাছাড়া নগরীকে অসুন্দর করতে পারে তেমন পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচনী উপকরণ ব্যবহারের মওকা পাওয়া যাবে না বলেও আগেভাগে হরেক কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আগাম নির্বাচনী প্রচারের কৌশলটি প্রয়োগ করা হয়। প্রশাসনের উচিত ছিল শুরুতেই কঠোর হয়ে এ ধরনের আগাম নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করা। উচ্চ আদালত আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরী থেকে বেআইনি নির্বাচনী প্রচারের উপকরণ সরিয়ে নেওয়ার জন্য আদেশ দিয়ে নাগরিক জীবনকে বাড়তি উপদ্রব থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। আদালতের আদেশ পরিপূর্ণভাবে পালন করার মাধ্যমে প্রশাসন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে_ এটাই আমরা আশা করি।

No comments

Powered by Blogger.