সামনে অস্থির রাজনীতি-আ.লীগ পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে by জাহাঙ্গীর আলম

রাজপথ ছাড়বে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলের কর্মসূচির বিপরীতে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে দলটি। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে এ অবস্থানের কথা জানা গেছে। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল নিয়ে বিরোধী দল মাঠ গরম করতে চাইলে যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচারের দাবিতে দল ও জোটগত কর্মসূচি দেওয়া হবে।


এরই মধ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি ১৪ দলের পক্ষ থেকে ঢাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি দেওয়া আছে। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় পর্যায়ে ১৪ দলের উদ্যোগে মহাসমাবেশ করার চিন্তা আছে। এ ছাড়া রাজধানীতে ওয়ার্ড ও থানায় থানায় মহানগর আওয়ামী লীগের মিছিল-সমাবেশ চলবে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রকাশ ও বিকাশ। বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়েছে, তাই জনগণকে সতর্ক ও সজাগ করতে আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে।
গত রোববার বিএনপির গণমিছিলের দিন হঠাৎ আওয়ামী লীগের পাল্টা সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়ায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে সমালোচনা হলেও দলীয় নীতিনির্ধারকেরা তা সঠিক বলেই মনে করেন। দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ-উত্তেজনা ছড়ানোর ঘটনায় বিরোধী দলকেই তাঁরা দায়ী করেন। রাজনৈতিক অস্তিত্বের স্বার্থে আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে নেতারা জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একজন নীতিনির্ধারক বলেন, একশ্রেণীর লোক সবকিছুতেই আওয়ামী লীগের দোষ খোঁজে। তারা চায়, আওয়ামী লীগ ঘরে বসে থাকুক। অথচ, একই দিনে দুই দলের গণমিছিল ও জনসভা থাকলেও কোনো সংঘাত হয়নি।
দলীয় নেতারা জানান, বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার জন্যই পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া হবে। গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা থাকলে একই দিনে পৃথক স্থানে কর্মসূচি হলেও কোনো সংঘাত হবে না বলে তাঁরা মনে করেন। এ ক্ষেত্রে সোমবার দুই দলের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার কথা নেতারা উল্লেখ করেন।
জানতে চাইলে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিরোধী দল কর্মসূচির নামে অরাজকতা চালিয়ে যাবে, আর আমরা বসে থাকব, তা হবে না। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।’
সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাপ ও সহিংসতা বিরোধী দলের পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড। রোববারের কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া না হলে আরও বেশি প্রাণহানি হতো।

No comments

Powered by Blogger.