টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য-আশা করব, সব এমপির টনক নড়বে

টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য সাতক্ষীরার কলারোয়া-তালা এলাকার সাংসদ শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে সমকালের সরেজমিন অনুসন্ধানভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর টেলিফোনে প্রাপ্ত নাগরিক প্রতিক্রিয়া এখানে তুলে ধরা হলো


জয়নুল আবেদিন ফরহাদ
শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
মুজিব সরকারদলীয় এমপি। প্রধানমন্ত্রী যদি তার দুর্নীতির জন্য শাস্তি দেন তাহলে এ থেকে অন্য সাংসদরাও শিক্ষা পাবেন।

এম কে চায়লা মারমা
চাকরিজীবী, মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি
বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ ব্যর্থ। মন্ত্রিপরিষদের পরিবর্তন জরুরি। সরকারের সমর্থন সম্পর্কে জানতে সারাদেশে জরিপ করা হোক।


ইশতিয়াক আহমেদ রনি
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা
আমি মনে করি, সাংসদ মুজিবের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মামলা হওয়া উচিত।

হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী
একজন মুজিবুর রহমান যদি তার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে এসব সরিয়ে রাখেন তাহলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগগুলো উঠেছে সেগুলো রোধ করা যাবে।

ইমরান
ব্যবসায়ী, ভোলা
আশা করছি, ভোলার ব্যাপারেও আপনারা এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন। আপনাদের এ ধরনের প্রতিবেদন জনগণ পড়ে। জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এতে সরকারের জন্য ভালো হবে, দেশের জন্য ভালো হবে।

নিখেশ
জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ
এ ধরনের প্রতিবেদন আরও দেখতে চাই। আমাদের এলাকা নিয়েও এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করার অনুরোধ রইল।

আশরাফ
শিক্ষার্থী, দিনাজপুর
প্রতিবেদনে উলি্লখিত ঘটনাগুলোর মতো ঘটনা অহরহ ঘটছে। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনও কিছু করতে পারছে না, পুলিশও কিছু করতে পারছে না।

ইকবাল খন্দকার শান্ত
লেখক, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর
সাংসদের দুর্নীতি নিয়ে যে লেখাটি প্রকাশের জন্য সমকালকে ধন্যবাদ। এতে করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের টনক নড়বে এবং সামনে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার ফলে জনগণ তার ব্যাপারে অবহিত হয়েছে। সামনে ভোট দেওয়ার সময় নিশ্চয়ই জনগণ এসব বিষয় মাথায় রাখবে। এ ধরনের প্রতিবেদন মানুষকে সচেতন করবে এবং দুর্নীতি কমাতে সহায়তা করবে।

মোঃ শওকত হোসেন
ব্যবসায়ী, গৌরনদী, বরিশাল
সাংসদদের আমলনামা প্রকাশ প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সাংসদদের দুর্নীতির ব্যাপারে জনগণ জানতে পারছে। আমাদের দেশের সব দলের মধ্যেই দুর্নীতি রয়েছে। শুধু সাংসদ মুজিব নয়, অন্য রাঘববোয়ালদের দুর্নীতির বিষয়গুলোও তুলে ধরতে হবে।

মোঃ ইব্রাহীম
চাকরিজীবী, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ
সাংসদ মুজিবের দুর্নীতি বিষয়ক প্রতিবেদনটির জন্য ধন্যবাদ। আমাদের ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার সরকারদলীয় এমপির নামও মুজিব। তার সম্পর্কে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ জানাই।

সমীর কুমার বিশ্বাস
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
আইলাদুর্গত এলাকায় এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। সাংসদ মুজিবের ছেলে ও ভাতিজার অপকর্মের চরম শাস্তি হওয়া উচিত। সরকারের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে হলে সাংসদ মুজিব ও তার আত্মীয়-স্বজনের দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আবদুল আলীম শেখ
চাকরিজীবী, বাউখলা, সাতক্ষীরা
প্রতিবেদনটি ভালো হয়েছে, সত্য উঠে এসেছে।

জাহাঙ্গীর
আওয়ামী লীগ কর্মী, কেরানীগঞ্জ
আমাদের আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ নিয়মিত এলাকায় আসেন না। তিনি ব্যস্ত ঢাকা মহানগর নিয়ে। আশা করব, তার ব্যাপারেও প্রতিবেদন ছাপা হবে।

সোহেল
ব্যবসায়ী, কলারোয়া, সাতক্ষীরা
সাংসদ মুজিব যতই শক্তিশালী হোক প্রশাসন যদি শক্তিশালী অবস্থান নেয়, তাহলে তার অপকর্ম রুখে দেওয়া সম্ভব। কলারোয়ায় দুর্নীতি চলে, স্বজনপ্রীতি ও টেন্ডারবাজি চলে।

রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী
সাংবাদিকতা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা
কলারোয়ার দুর্নীতির আরও অনেক কাহিনী রয়েছে। সেগুলো আসা উচিত ছিল।

এমএ কালাম
চেয়ারম্যান ৪নং নাঙ্গলঝরা ইউনিয়ন পরিষদ
সাংসদ মুজিব রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। এটি দলীয় দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ।

মির্জা আতিয়ার রশিদ
ব্যবসায়ী, মধুখালী, ফরিদপুর
সাতক্ষীরার সাংসদ এমন একটি নাম দখল করে আছেন যে নামটি বাংলার মানুষের হৃদয়ে গাঁথা একটি নাম। সত্যি যদি সাংসদ অপকর্ম করে থাকেন বা তার পরিবার এর সঙ্গে জড়িত তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রমাণসাপেক্ষে অভিযোগ পেশ করা উচিত।

শেখ শাহজাহান
প্রভাষক, তালা, সাতক্ষীরা
শিক্ষক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। টাকা-পয়সার লেনদেনও হয়নি।

আবদুল হামিদ
সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা
আমরা মুজিবুর রহমানের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানি না। তার ছেলে একটা কাজের টেন্ডার নিতে পারবে না এমন তো আর নয়।

সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী
আহ্বায়ক, কলারোয়া আওয়ামী লীগ
কলারোয়ায় এমন দুর্নীতি ঘটার কোনো নজির নেই। মুজিব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন।

কাজী সোহেল
ব্যবসায়ী, তালা, সাতক্ষীরা
আমাদের এলাকা বন্যাকবলিত। অথচ পানি সরানোর ব্যাপারে এমপির কোনো পদক্ষেপ নেই। তিনি টেন্ডারবাজি করে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের কাজ নিয়েছেন। অথচ কাজ অর্ধসমাপ্ত রেখেই চলে গেছেন। ১ বছর ধরে কাজ হচ্ছে না। আমাদের এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ।

আবদুল্লাহ আল নোমান
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম
এসব অপকর্ম বিচার বিভাগের নম্রতা ও সরকারদলীয় হস্তক্ষেপের কারণে। যারা এসব অপকর্ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় এনে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এসব অপকর্ম করতে সাহস না পায়।

আকবর কবির
সভাপতি, শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ
সাংসদ মুজিবুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট। অথচ জেলা আওয়ামী লীগ নিয়ে তার কোনো কর্মকাণ্ড নেই। দলের জন্য তার কোনো সময় নেই, তিনি ব্যস্ত নিজের ব্যবসা নিয়ে। শ্যামনগর আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের স্থবির অবস্থা তার জন্য। তার কারণে স্থানীয় কর্মীরা রাজনীতি করতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। তিনি এলাকায় নিজের কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন না। তার জন্যই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা খারাপ। আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।

শেখ আবদুল্লাহ
শিক্ষক, মাগুরা, তালা, সাতক্ষীরা
চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। স্কুলে অর্থবাণিজ্যও হয়নি।

আবু জাফর মোহাম্মদ সায়েদ
চাকরি, উত্তরা
এমপিদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ করার উদ্যোগটি ভালো। এটা চলতে থাকলে তারা সাবধান হবেন, হয়তো এর থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করবেন।

ফিরোজ মোহাম্মদ স্বপন
যুগ্ম আহ্বায়ক, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা
গত তিন বছরের সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কাবিখা, টিআর প্রকল্পের অর্থ সাংসদের আত্মীয়-স্বজনরা তুলে খেয়েছে। পুলিশের ওসি বদলির সঙ্গে জড়িত ছিল সাংসদের আত্মীয়রা। তার ছেলে ও ভাতিজাকে টাকা না দিলে বদলি হয় না। সাংসদের কারণেই এর আগে ওসি এনামুল হক রাজত্ব তৈরি করেছিলেন। তার কাছ থেকে মাসে এক লাখ টাকা করে নিত সাংসদের আত্মীয়রা। সে সময় প্রায় ৩৩ আওয়ামী লীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। গত ৩ বছরে কলারোয়ায় কোনো মিটিং ডাকতে দেননি সাংসদ। তিনি যদি এরকম করতেই থাকেন, তাহলে এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মোঃ জামিল হোসেন
শিক্ষার্থী, তারাগঞ্জ, রংপুর
সাংসদ মুজিব যেভাবে নিজস্ব আত্মীয়-স্বজনকে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও অপকর্ম করছেন তা মহাজোট সরকারের ব্যর্থতা ফুটিয়ে তুলছে। এ ধরনের অবস্থা চললে সরকারের জনপ্রিয়তা থাকবে কীভাবে?

জহিরুল ইসলাম
ইমাম, মধুপুর, টাঙ্গাইল
শুধু সাংসদ মুজিব নয়, আরও অনেক এমপি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা আশা করব জনগণের সুবিধার্থে, শান্তি স্থাপনে দেশের দুই নেত্রী একত্রে বসে আমাদের জন্য কিছু করবেন। মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির ভুক্তভোগী আমরা সাধারণ জনগণ। লেখালেখির মাধ্যমে এসব তুলে ধরুন।

সবুজ রায়
ব্যবসায়ী, তালা, সাতক্ষীরা
বন্যার কারণে এলাকায় পানিবদ্ধতা রয়েছে। অথচ আমাদের এমপি পানিবদ্ধ মানুষদের দেখতে আসেননি। মহাসড়কের পানি সরানোর জন্য তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। মানুষ ঠিকমতো হাঁটতে পারছে না।

মনিরুল ইসলাম মনি
তালা, পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা
প্রতিবেদনটি বাস্তবসম্মত। সাংসদ আরও অনেক অনিয়ম করেছেন এবং সেগুলো তুলে ধরা উচিত।

মোঃ মিজানুর রহমান
ব্যবসায়ী, গুলশান-১, ঢাকা
প্রতিবেদককে ধন্যবাদ। আওয়ামী লীগের একজন এমপির কাছে এমন কর্মকাণ্ড প্রত্যাশিত নয়। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।

No comments

Powered by Blogger.