হরতালে ঢাকায় ২৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ৬ যানবাহনে আগুন, বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-পুলিশ-পিকেটার মুখোমুখি

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা দুই দিনের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের প্রথম দিন গতকাল রবিবার বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ আর ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটেছে। আগুন দেওয়া হয়েছে ছয়টি যানবাহনে। জোটের অন্য শরিক দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে নামার চেষ্টা করলেও পুলিশের ধাওয়ার মুখে নামতে পারেননি।


তবে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির ঝটিকা মিছিল করেছে।
হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে পুলিশ এবং হরতালের বিরোধিতা করে রাজপথে থাকা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক নেতা-কর্মী। রাজধানীতে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়া গেছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে ৪৫৫ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৫১২ জন আহত হওয়ার দাবি করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল হরতাল শেষে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে সোমবারও সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলবে। এর মধ্যে ইলিয়াসকে না পাওয়া গেলে আবার নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ফখরুল বলেন, রবিবারের হরতাল চলাকালে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলায় দলের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ৪৫৫ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৫১২ জনকে আহত করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
অন্য হরতালগুলোর মতোই গতকাল ভোর থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রাখে পুলিশ। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। মিছিল থেকে পুলিশ রিজভী, বাবুলসহ কয়েকজনকে প্রিজন ভ্যানে টেনে তুলে নেয়। আটক করা হয় ছাত্রদলের নেত্রী নিশীতা ও উর্মিকে। আধঘণ্টা পর তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। মিছিল শুরু হওয়ার পরপরই কার্যালয়ের সামনে তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অবশ্য কেউ হতাহত হয়নি। ৮টার দিকে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বিএনপি কার্যালয়ে এলে তাঁকেও আটক করে পুলিশ।
গতকালের হরতালে নগরীতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করলেই পুলিশ বাধা দেয়। কোথাও কোথাও লাঠিপেটা করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সকালের দিকে পিকেটিং করলেও বিকেলের দিকে মিছিল-পিকেটিং তেমন একটা ছিল না। সকাল থেকেই নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে র‌্যাব ও পুলিশ। কার্যালয়ের সামনে ও ভেতরে বসে থাকতে দেখা যায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল হরতাল চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নয়াপল্টন, মুগদা, মিরপুর, বংশাল, সায়েদাবাদ, সচিবালয়, আদালতপাড়া ও মালিবাগে এসব বিস্ফোরণ ঘটে। হরতালের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিংকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ কমপক্ষে ২৫ জনকে আটক করে। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হরতাল চলাকালে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৭ জন। ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে ১৪টি।
গতকাল ভোরে হরতালের শুরুতেই নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের পাশে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় হরতালের সমর্থনে মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মূল সড়কগুলোতে টহল দিতে থাকে রায়ট কার। মোতায়েন করা হয় জলকামান। নগরীর গলির মোড়ে মোড়ে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ, আনসার, র‌্যাব অবস্থান নেয়। টহল দিতে থাকেন ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। মিছিল নিয়ে তাঁরা সংসদ ভবন এলাকার বাইরে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে সংসদের দক্ষিণ প্লাজা দিয়ে সংসদ সদস্যরা টানেলের ভেতরে গিয়ে মিছিল করেন।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজ এলাকায় হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের একটি মিছিল বের হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করে মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ এবং ঘটনাস্থল থেকে তিন শিবিরকর্মীকে আটক করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সায়েদাবাদে তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। সকাল ৮টার দিকে মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে দারুসসালাম সড়কে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশ ধাওয়া করলে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকা থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়। ওই এলাকা থেকে পুলিশ অবিস্ফোরিত একটি ককটেল উদ্ধার করে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালীর শাহীন কমপ্লেঙ্রে সামনের রাস্তায় ছাত্রদল ঝটিকা মিছিল বের করলে পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
সকাল ৯টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পৌনে ১০টার দিকে মালিবাগ মোড়ে আরো তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। প্রায় একই সময় পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড়ে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জনসন রোডের আদালতপাড়ায় চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ একজনকে আটক করে। এ ছাড়া বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সচিবালয়ের ২ নম্বর ফটকের কাছে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম হরতালের সমর্থনে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় মিছিল করে। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে দুপুর পৌনে ১টার দিকে মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে মিছিল বের হলে পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এতে হামলা চালায়। হামলায় যুবদলের প্রায় ১৫ জন আহত হন।
মহাখালীতে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল মিছিল বের করে। এ সময় তারা পাঁচটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর ও কয়েকটি গাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়ে।
হরতালে গতকাল নগরীর মহাখালী, সায়েদাবাদ, গাবতলী টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। অভ্যন্তরীণ রুটে স্বল্পসংখ্যক বাস ও সিএনজি অটোরিকশা চলেছে। বড় বড় শপিং মল বন্ধ থাকলেও অলি-গলির দোকানপাট ও কাঁচাবাজার ছিল খোলা। সচিবালয়ের কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক। বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় পেছনের দরজা দিয়ে দাপ্তরিক কাজকর্ম চলেছে। চালু ছিল কিছু কিছু তৈরি পোশাক কারখানা। সদরঘাট থেকে দু-একটি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলে গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।
রাতে ৬ যানবাহনে আগুন : গতকাল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি বাস ও একটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও পুলিশ জানায়, রাত পৌনে ৮টার দিকে গুলিস্তানের আহাদ পুলিশ বঙ্রে সামনে একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো জ ১১-২১২২) আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েক যুবক। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ।
রাত ৯টার দিকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) কাছে ফ্যালকন হলের সামনে গুলশানগামী ৬ নম্বর রুটের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো জ ১১-২১০৯) আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ারের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় থানা পুলিশ সূত্র জানায়, রাত সোয়া ৯টার দিকে গণভবনের কাছে মিরপুর রোডে পার্কিং করা একটি বাসে আগুন দেয় কিছু যুবক। পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি। রাত ১০টার দিকে গুলশানের লিংক রোডে একটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় কয়েক যুবক।
অন্যদিকে রাত ৯টার দিকে পল্লবীতে পুরবী সিনেমা হলের সামনে দুর্বৃত্তরা শিখর পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। রাত ১০টার দিকে নটর ডেম কলেজের সামনে একটি বাসে আগুন দেয় কয়েক যুবক। তবে দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বাসের সিট ছাড়া কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
রাজধানীর মতো দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকালের হরতালে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে জেলা বিএনপি সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকারসহ বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। কুমিল্লার বরুড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে গুলি ও হামলা চালিয়েছে মিছিলকারীরা। চাঁদপুরে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে হরতালবিরোধীরা। নাটোরে আগুন দিয়েছে পিকেটাররা। বিস্তারিত কালের কণ্ঠের আঞ্চলিক অফিস, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে।
সিলেটে আওয়ামী লীগও মাঠে : হরতালে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকলেও পিকেটিংয়ে নামেননি। সকালে জেলা ও মহানগর বিএনপি মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলরোড থেকে বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। জামায়াতও নগরীর বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল করেছে। হরতালের বিরুদ্ধে নগরীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠন পৃথক মিছিল সমাবেশ করেছে।
বিশ্বনাথে বিএনপি মাঠছাড়া : হরতাল ইস্যুতে বিশ্বনাথের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত। গতকাল হরতাল চলাকালে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীই মাঠে ছিলেন না। তবে হরতালের বিপক্ষে সকাল থেকেই মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
রাজশাহীতে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, গ্রেপ্তার ২৩ : রাজশাহীতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সকালে জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফার নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে মিছিলকালে পুলিশ ধাওয়া করে। এদিকে হরতালের আগের রাতে কমপক্ষে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চট্টগ্রামে হরতালের বিরোধিতায় ১৪ দলে ঐক্য : গতকাল কাজির দেউড়িতে নাসিমন ভবনের সামনে সীমিত আকারে মিছিল-সমাবেশ করেছে বিএনপি। নগরের অন্য কোথাও হরতালের সমর্থনে পিকেটিং দেখা যায়নি। অন্যদিকে হরতালের বিরোধিতায় অনেকটা একজোট হয়ে চট্টগ্রামের রাজপথে ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা।
দীঘিনালা ও রাঙ্গুনিয়ায় আহত ৯ : খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পিকেটারদের হামলায় মাসুদ রানা নামের এক আনসার সদস্যসহ দুজন আহত হয়েছেন। এদিকে দুপুরে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা-রাজস্থলী সড়কে রাইখালী ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাত নেতা-কর্মী আহত হন।
বরিশালে দুই ভাগে বিএনপির মিছিল, আটক ২৬ : বরিশালে হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নগরীতে পৃথক হরতালবিরোধী মিছিল করেছে। হরতাল চলাকালে এবং এর আগের রাতে হরতাল সমর্থক ২৬ জনকে মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে পুলিশ।
খুলনায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, আটক ১২ : নগরীর পিটিআই মোড়, শেখপাড়া ও খালিশপুরে পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পুলিশ ১২ জনকে আটক করে। এ ছাড়া নগরীর আলিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে একটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.