ভারতের পানি আগ্রাসনে বাংলাদেশ মরুভূমি হবে by শাহজাহান মিয়া

আমাদের সমাজব্যবস্থায় সব মানুষেরই একটি সাধারণ প্রত্যাশা থাকে যে ধনাঢ্য ও বিত্তবৈভবের অধিকারী এবং প্রভাবশালী প্রতিবেশী অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল বা কম বিত্তশালী পড়শি বা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর গ্রহণযোগ্য আচরণ করবেন। একটি পরিবারের বেলায়ও কথাটি সমভাবেই প্রযোজ্য।


বড় ভাই বিত্তবান ও প্রভাব-প্রতিপত্তিশালী হলে ধন-জনে কিছুটা দুর্বল ছোট ভাইয়ের প্রতি সুদৃষ্টি রাখবে- এটাই আশপাশের মানুষের পরম প্রত্যাশা। সে যা-ই হোক, ভাগ্যক্রমে ও দুর্ভাগ্যক্রমে শত কোটির অধিক অধিবাসী অধ্যুষিত ২৪ গুণেরও বেশি আয়তনের বিশাল প্রতিবেশী ভারত দ্বারা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি প্রায় চারদিক বেষ্টিত। ভাগ্যিস, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও পূর্বে মিয়ানমারের সঙ্গে প্রায় ২০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। তা না হলে, নেপাল ও ভুটানের মতো বাংলাদেশও একটি ল্যান্ড-লক্ড কান্ট্রি হয়ে যেত। আমাদের দেশের ২৩০টি নদীর মধ্যে (যদিও বেশ কিছু এরই মধ্যে হারিয়ে গেছে) ৫৭টি নদীর পানির উৎসই উজানের দেশ বিশাল ভারতে। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, এ দেশের মানুষের মনে ধারণাটি আস্তে আস্তে বদ্ধমূল হয়ে যাচ্ছে যে প্রবল পরাক্রমশালী ও আণবিক শক্তির অধিকারী ভারত পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি নিয়ে ভাটির দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে আগ্রাসী আচরণ করে দেশটিকে তার ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে গঙ্গার পানি ভাগাভাগির চুক্তি করলেও চুক্তি মোতাবেক যে পানি পাচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের বিজ্ঞ ও জ্ঞানীগুণী ভদ্রলোক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উগ্রমেজাজি ও সংকীর্ণমনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মর্জির কাছে একেবারেই জিম্মিই হয়ে গেলেন। বাংলাদেশের সুহৃদ বলে পরিচিত ভারতের প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জিও মমতার মন গলিয়ে কিছু করতে পারলেন না। বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হলে টিপাইমুখ বাঁধ দেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দেওয়ার পরও ওই প্রকল্পটির কাজ থেমে নেই। উপরন্তু, ভারত সরকার অনেক নদীতে বাঁধ দিয়ে ও ড্যাম নির্মাণ করে পানি আটকে বা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে তার ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে নানাভাবে মারাত্মকরূপে বঞ্চিত করছে। বহুবার বলেছি, আবারও বিশেষভাবে বলতে চাই যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রক্তের আখরে লেখা। রক্তের রাখিবন্ধনে উদ্ভাসিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের সমর্থন এ দেশের জনগণ কৃতজ্ঞচিত্তে সব সময়ই স্মরণ করে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ অকৃতজ্ঞ নয়। প্রসঙ্গক্রমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের সক্রিয় সামরিক সমর্থনসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের একটি সাম্প্রতিক মন্তব্য এখানে অবশ্যই উল্লেখ করতে চাই না। তবে আমি অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, আমাদের প্রয়োজনেই তখনকার ভারতীয় নেতৃত্ব তাদের হৃদয়ের সব মহানুভবতা নিয়ে এগিয়ে এসেছিল। সে সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এ দেশের কিছু পাকিস্তানি মানসিকতার লোক অবশ্য অনেক কিছুই বলতে পারেন। তাই অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়েই বলতে হয়, ভারত আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করছে কেন? বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে ভারতের চেয়ে দুর্বল বলে? হয়তো সে কারণেই এ দেশটিকে ঘোর অন্ধকারে রেখে ভারত সব সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে নিয়ে নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেকও তারা তা করতে পারে না। তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশে যে নিদারুণ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, এর কোনোরূপ তোয়াক্কা তারা করছে না। এখন তাদের নতুন খেলা আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প। ভারতের আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে ব্রহ্মপুত্র নদের প্রায় ৬০ শতাংশ পানিই তুলে নেওয়া হবে। চুক্তি অনুযায়ী গঙ্গার পানি তো বাংলাদেশ ঠিকমতো পাচ্ছেই না, এর পরও এ নদীর পানি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে চালান করা হবে। ফলে যমুনাও নাব্যতা হারাবে। নদীবেষ্টিত দেশ বলে পরিচিত বাংলাদেশের চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নদী ও সংলগ্ন জলাভূমিগুলোর অবস্থা বিপদাপন্ন হয়ে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়বে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন শুধু তার অনুপম ও মোহনীয় সৌন্দর্যই হারাবে না, একেবারে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। মিঠা পানির প্রচণ্ড অভাব দেখা দেবে। ভয়াবহভাবে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়ে তা গোয়ালন্দ, মধুমতী, ধলেশ্বরী ও ভৈরব পর্যন্ত বিস্তার লাভ করবে। আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যসহ পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার নিয়ে মহাশক্তিধর প্রতিবেশী দেশটির ৯টি রাজ্যের পরিবেশ বিপর্যয়ও ঘটাবে। রাজ্যগুলোর লাখ লাখ মানুষ উচ্ছেদের শিকার হবে। ২০১১ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশ অববাহিকাভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০১০ সালের মার্চে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত যৌথ নদী কমিশনের ৩৭তম বৈঠকে বাংলাদেশকে না জানিয়ে ভারত তাদের আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন বাংলাদেশকে না জানিয়ে তাদের হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের ছলছুতায় তারা প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগ এবং ঢাকার বেশির ভাগ এলাকা এর শিকার হবে। বাংলাদেশের নদীব্যবস্থা তছনছ হয়ে যাবে। বর্ষা মৌসুমে তিস্তা, মহানন্দা, ধরলা ও দুধকুমার নদ শুকিয়ে যাবে। ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ পানির চাহিদা মেটায়। এ প্রকল্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নাব্যতা হারিয়ে ফেলবে। এ ছাড়া গড়াই, মধুমতী, নবগঙ্গা, ইছামতি, মাথাভাঙ্গা, আড়িয়াল খাঁ, কপোতাক্ষ, সুরমা, কুশিয়ারা, পুরনো ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, শীতালক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গার প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাবে।
ভারতের আন্তনদী সংযোগ প্রকল্পটি পুরনো। ইতিমধ্যে ভারত তার নিজস্ব নদীগুলোর মধ্যে আন্তসংযোগ করে ওই প্রকল্পের কিছু অংশ বাস্তবায়নও করেছে। পরে প্রতিবাদের মুখে কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ভারতের আন্তনদী সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে দেশবাসীর কাছে এর সুফল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেন। রায় ঘোষণার পর বিতর্কিত প্রকল্পটি আবার আলোচনায় চলে আসে। ভারতের একতরফা ও একরোখা পদক্ষেপের ফলে প্রতিবেশী বাংলাদেশের যে কত বড় ক্ষতি হতে পারে তা কোনোরূপ আমলে না নিয়ে ভারতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এ দেশকে মহাসংকটের দিকে ঠেলে দেবে। পানি ব্যবস্থাপনায় শুধু আন্তর্জাতিক আইন অমান্যই নয়, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে দেওয়া নানা প্রতিশ্রুতি রক্ষায়ও চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হচ্ছে। একদিকে মমতার ক্ষমতার ঠেলায় তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির সলিল সমাধি ঘটার আশঙ্কা, অন্যদিকে শীর্ষ পর্যায় থেকে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণকাজ থেমে যায়নি। এখন আবার নব-উদ্যমে নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে আন্তনদী সংযোগ প্রকল্পের কাজ। ফলে বাংলাদেশের উজানে ভারত থেকে আসা আন্তর্জাতিক নদীগুলোর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বিরূপ প্রভাব পড়বে নিম্ন অববাহিকায় অবস্থিত বাংলাদেশের পরিবেশ ও কৃষির ওপর। এ দেশে সৃষ্টি হবে তীব্র পানি সংকটের। ভারত ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তনেও প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করে দিয়েছে। আন্তনদী সংযোগ প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে আসামের গুয়াহাটি এলাকা থেকে ফারাক্কা বাঁধের সামান্য ওপর পর্যন্ত একটি সংযোগ খাল খনন করে পানি সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে জরিপকাজ শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গুয়াহাটির জগিঘোপা থেকে গঙ্গা পর্যন্ত ৪৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খনন করা হবে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্রের উপনদী মানসে একটি ড্যাম ও আরেকটি উপনদী সংকোশে ড্যাম এবং বাঁধও নির্মাণ করা হবে। ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশটির পানিসম্পদ উন্নয়নে ১৯৮০ সালে জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা (এনপিপি) প্রণয়ন করে। জাতীয়ভাবে প্রণীত এই পরিকল্পনায়ই বিভিন্ন নদ-নদী থেকে 'বাড়তি' পানি সরিয়ে কম পানির নদ-নদীতে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এনপিপির প্রস্তাবের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দিক ও প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ১৯৮২ সালে জাতীয় পানি উন্নয়ন সংস্থা (এনডাব্লিউডিএ) গঠন করা হয়। হিমালয়ের নিচে অবস্থিত ১৪টি ও উপদ্বীপীয় এলাকায় ১৬টি সংযোগ খাল খননের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০২ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি আন্তনদী সংযোগ প্রকল্পের ঘোষণা দেন। এর পরই দুই প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিতর্ক শুরু হলে প্রকল্পের কাজ দৃশ্যত বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে সিলেটের জৈন্তা-গোয়াইনঘাট দিয়ে প্রবাহিত সারি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে ১২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার তিনটি ইউনিটের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করছে ভারত। একটি ইউনিটে ইতিমধ্যে উৎপাদন শুরু হয়েছে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে বাকি দুটি ইউনিট উৎপাদনে যাবে। সারি নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণের আগে ভারত বাংলাদেশের কোনো মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। ভারত খালের মাধ্যমে তিস্তার পানি সরিয়ে নিতে শুরু করে দিয়েছে, যার প্রভাবও ইতিমধ্যে বাংলাদেশে পড়েছে। নদীটি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। সেচকার্য প্রায় বন্ধ। কিন্তু চীন যখন ব্রহ্মপুত্রে নদে বাঁধ দিতে চায়, তখন ভারত তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করে। এদিকে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারায় নদীর বুকজুড়ে শুধু চর আর চর। একসময় প্রবল খরস্রোতা নদী দুটি এখন স্রোতহীন। বর্ষা মৌসুম ছাড়া পানি থাকে না। চলতে পারে না ডিঙি নৌকাও। অথচ বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, ভারত নদীতীরে শক্তিশালী পাম্প মেশিন বসিয়ে বাংলাদেশের ফেনী নদীর পানি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ফেনী নদীর উৎস খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার আচালং এলাকায়। এ নদীটি আমাদের নিজস্ব।
সুতরাং ভারতকে কোনো ছাড় দিয়ে লাভ নেই। তারা শুধু নিতেই চায়, দিতে চায় না। দেয় শুধু আশ্বাস। আর সেই আশ্বাসের বাণী শুনতে শুনতে নিশ্চয়ই এত দিনে এ দেশের মানুষের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই আর কোনো আশ্বাসের ওপর ভরসা নেই। ট্রানজিটসহ অন্য কোনো সুবিধা নিতে হলে আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতকে এ অঞ্চলের অভিন্ন নদ-নদীগুলোর ন্যায্য পানির হিস্যা ফোঁটায় ফোঁটায় বাংলাদেশকে দিয়েই তা পেতে হবে। অন্যথায় নয়। এ কথাটি হৃদয়ের গভীরে ধারণ করেই সরকারের শীর্ষ নেতাদের ভারতের সঙ্গে বিরাজমান সব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.