সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী-২০৩০ সালে ১১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। মহাপরিকল্পনা ২০১০ অনুযায়ী, দেশে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে খনিমুখে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।


জাতীয় সংসদে গতকাল বুধবার টেবিলে উত্থাপিত নির্ধারিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির প্রশ্ন ছিল, কয়লা উত্তোলন করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মুখে ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট স্থাপনের জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এই ইউনিট ২০১৫ সাল নাগাদ চালু হবে।
বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে স্পিকার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা জানান, পাহাড়ি-বাঙালি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে এবং পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণকারীদের পুনর্বাসন করাসহ পুলিশ এবং আনসারে ৬৮৫ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। তিনি জানান, চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে পর্যায়ক্রমে চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে। পাশাপাশি চুক্তি বাস্তবায়ন ও তদারক করার জন্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
মো. শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা নির্ধারণী মামলায় ইতিমধ্যে যাবতীয় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করা যায়, চলতি বছরের মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত রায় পাওয়া যাবে। তাজুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু এবং ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালসড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) পিপিপির ভিত্তিতে নির্মাণের জন্য প্রাকেযাগ্যতা দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জানান, ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত উড়ালসড়ক নির্মাণের জন্য রেলওয়ের ভূমি বিনিয়োগকারীদের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই এলাকায় ব্যক্তি-মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রথম পর্যায়ের জরিপকাজ শেষ হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং ইউটিলিটিস স্থানান্তরের জন্য তিন হাজার ২১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। পিপিপির ভিত্তিতে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিনিয়োগকারী নিয়োগে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ১১ মার্চ দরপত্র গ্রহণ করা হবে।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, এ জন্য ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পরামর্শক নিয়োগের বিষয়টি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.