আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-অপরাধের প্রতিকার ও অভিযুক্তদের ন্যায্য বিচার by ডেভিড বার্গম্যান

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে তিনটার দিকে অন্তত একজন বাঙালিসহ একদল লোক দৈনিক ইত্তেফাক-এর নির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দিন হোসেনের মোহাম্মদপুরের পারিবারিক আবাসের দরজায় টোকা দেয়। এদের একজন সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনের কাছে তাঁর নাম জানতে চাইলে তিনি তা বলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তারা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।


সেই সকালেরই আরও কিছু পরে, দিনের আলো ফোটার সময় দৈনিক পূর্বদেশ-এর প্রতিবেদক গোলাম মোস্তফার বাড়িতে হানা দেয় একদল সশস্ত্র লোক। তিনি তখন ঢাকার রায়েরবাজারে বাস করতেন। সে সময় মোস্তফা অনিদ্রার শিকার শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে বাড়ির বাইরে পায়চারি করছিলেন। তারা জানতে চায়, ‘আপনিই কি এ এন এম গোলাম মোস্তফা?’ তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন তারা বলে, ‘বাচ্চাটিকে কিছুক্ষণের জন্য রেখে আমাদের সঙ্গে আসুন। আপনাকে আমাদের দপ্তরে যেতে হবে।’
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর সিরাজুদ্দিন হোসেন ও গোলাম মোস্তফার পরিবারের সদস্যরা বেপরোয়াভাবে তাঁদের অপহূত স্বজনদের খোঁজখবর চালান। সেই দিনগুলোতে ধরে নিয়ে যাওয়া অন্য বুদ্ধিজীবীদের গলিত শবদেহ পাওয়া যাচ্ছিল গণকবরগুলোতে, কিন্তু নিজেদের ভালোবাসার মানুষের দেহগুলো তাঁরা পেলেন না।
এসব বিষয় আমি জানতে পারি এই দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে বেশ কজন বুদ্ধিজীবীর হত্যার জন্য কারা দায়ী সে ব্যাপারে একটা অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র নির্মাণের সময়, ১৯৯৪ সালে। ওই বছরের অনেকটা সময় আমি এই কাজে একদল তরুণ বাংলাদেশি সাংবাদিক, গবেষক এবং ব্রিটিশ টেলিভিশনের কর্মীদের সঙ্গে ব্যয় করি। আমার ধারণা, এসব ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমরা যতটা বিশদ মাত্রায় কাজ করেছি, এর আগে কিংবা আজ পর্যন্ত আর কেউ তা করেনি। এরই ফল হলো ব্রিটিশ টেলিভিশনের চ্যানেল ফোর-এর জন্য জন্য ওয়ার ক্রাইমস ফাইল নামের একটি পুরস্কৃত চলচ্চিত্র নির্মাণ।
এই চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন—এটি সে সময় সারা দেশে ব্যাপকভাবে দেখানোও হয়। এটির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছিল প্রজন্ম একাত্তর (একাত্তরের যুদ্ধে নিহতদের সন্তানদের নিয়ে গঠিত সংগঠন) এবং পরে বেশ কয়েকবার এটা বাংলাদেশ টেলিভিশনেও প্রচারিত হয়। চলচ্চিত্রটি মূলত ইংরেজিভাষী দর্শকদের জন্য বানানো হলেও, আরও বেশি বাংলাদেশিকে দেখানোর জন্য প্রখ্যাত টেলিভিশন প্রযোজক ম হামিদ এর একটি বাংলা সংস্করণও তৈরি করেন এবং তা ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়।
চলচ্চিত্রের প্রধান অভিযোগ ছিল ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠনের একজন সদস্যের বিরুদ্ধে। তিনি বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং যুদ্ধের পরপরই লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন। দুজন জামায়াতকর্মীর সিলেটে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের আরও কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও উপস্থাপন করা হয়েছিল সেখানে।
যাঁরা একাত্তর সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি সামনে আনতে চাইছিলেন এবং চাইছিলেন এসবের হোতাদের জবাবদিহির জরুরত তুলে ধরতে, প্রচারিত হওয়ার পর চলচ্চিত্রটি তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠল।
চলচ্চিত্রটি প্রকাশের পরপরই বেশ কিছু সময় আমাকে চলচ্চিত্রটির প্রচারক চ্যানেল ফোর টেলিভিশনকে মানহানির মামলা থেকে বাঁচাতে হলফনামা সংগ্রহে ব্যস্ত থাকতে হয়। পাশাপাশি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তার জন্যও চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম।
যুদ্ধাপরাধের শিকার এবং নির্যাতিত মানুষের পক্ষে সুবিচারের জন্য যাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলনে সক্রিয়, এ সবকিছুই তাঁদের জানা থাকার কথা। তার পরও আমি এসব লিপিবদ্ধ করছি সবার কাছে পরিষ্কার করার জন্য যে, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের ব্যাপারে আমি সজ্ঞান। বহুদিন হলো পাশ্চাত্যে এ ব্যাপারটি বিস্মৃত হলেও আমি এসব অভিযোগের প্রকৃতি বিষয়ে সচেতন এবং ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবির প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সক্রিয়। ১৯৭১ সালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার দাবি করা সত্ত্বেও আমি ২০১০ সালের মার্চে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের স্বাধীন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিত করার দাবির সোচ্চার সমর্থক। এই দুই অবস্থানের মধ্যে আমি কোনো স্ববিরোধ দেখি না।
বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যে হলেও, এই অবস্থান বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। কয়েকজন মন্ত্রী বারবার বলেছেন, এই ট্রাইব্যুনাল কেবল সর্বোচ্চ জাতীয় মানই নয়, ‘আন্তর্জাতিক মানে’র অনুরূপ হবে। ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) স্বয়ং বলেছেন, ট্রাইব্যুনাল ‘বিশ্বজনীনভাবে স্বীকৃত মান’-এর সঙ্গে মানানসই হবে।
সংগত কারণেই যেকোনো অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন—কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্যই নয়। এবং এই ট্রাইব্যুনালের ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য যেখানে সহজেই সবার দৃষ্টি এর দিকে নিবদ্ধ রাখবে, সেখানে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অন্য বিচারগুলোর কথা না ভোলাটাও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সেগুলোও অভিযুক্ত ও শিকার উভয় ব্যক্তির জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।
কিন্তু, একই সঙ্গে আরও কিছু বাড়তি ব্যাপার আছে যার জন্য এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালটির উচ্চ মান অর্জন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রথমত, যথাযথ মান অর্জন মানে, উপযুক্ত পদ্ধতিতে সাক্ষ্যপ্রমাণগুলোর ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তির ৪০ বছর আগে করা অপরাধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারা।
বাংলাদেশে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধানের কাজে কিছু সময় ব্যয় করেছি বলে আমি সরাসরি জানি, কে যুদ্ধাপরাধ করেছে সে ব্যাপারে যৌথ স্মৃতি ও বিশ্বাস থাকলেও এর প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও প্রামাণিক দলিলপত্র জোগাড় করা কঠিন। এমনকি আপনি একজন প্রত্যক্ষদর্শী পেলেও, সেখানে সব সময় যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যতা পাবেন কি না, সন্দেহ। আর যেখানে বিচার্য অপরাধটি ঘটেছে এত দীর্ঘ সময় আগে, সেখানে প্রায়ই সাক্ষীদের মধ্যে অসংগতি লক্ষ করা যায়।
তার মানে এই নয়, অভিযোগ প্রমাণকারী সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যাবে না। এখানে দেখার বিষয় এটাই, যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত যুক্তিগ্রাহ্য সন্দেহ খণ্ডন করে ন্যায্যতার মাধ্যমে প্রমাণ করবেন, কোন ব্যক্তি গণহত্যার অপরাধ অথবা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, ঘটনার ৪০ বছর পর তেমন সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করা সহজসাধ্য কাজ নয়।
দ্বিতীয়ত, স্বচ্ছ বিচার বিচারকদের সরকারের অথবা সমাজের চাপ থেকেও রক্ষা করতে পারে। যুদ্ধাপরাধ যে দেশে ঘটেছে—বিশেষত ১৯৭১ সালে যে মাত্রায় অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে—সেই দেশেই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনে বিশেষ রকমের কিছু সমস্যার জন্ম হয়।
একাত্তরের অপরাধ কিংবা অপরাধ সংঘটনকারীদের বিষয়ে বাংলাদেশে শক্তিশালী আবেগ বিরাজমান। নিশ্চিতভাবে এই আবেগের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা ট্রাইব্যুনালের জন্য একটা পরিষ্কার চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে বিচারকদের জন্যও এটা চ্যালেঞ্জের বিষয়, কারণ তাঁরাও বাংলাদেশি। একাত্তরে যা ঘটেছে, সে ব্যাপারে হয়তো ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁদেরও শক্ত বিবেচনা রয়েছে, সেটাও বোধগম্য। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের মধ্যে এসব যাতে কোনো ভূমিকা না রাখে, সেটা নিশ্চিত করাও আরেক চ্যালেঞ্জ। আত্মপক্ষ সমর্থনের স্পষ্ট সুরক্ষাসহ সঠিক পদ্ধতিগত কাঠামো অনুসরণ করা হলে তা দেশজুড়ে জনগণের মধ্যে এবং বিদেশেও আস্থা প্রতিষ্ঠা করবে যে, এই হলো মামলা এবং মামলার বিচারটি নিরপেক্ষ।
তৃতীয়ত, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ’ বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের বাইরের একই ধরনের অপরাধের বেলায় আন্তর্জাতিক জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ার ওপরও প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রাখে। বাংলাদেশ ট্রাইব্যুনাল হলো যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে অন্যতম প্রথম জাতীয় ট্রাইব্যুনাল (যেখানে জাতিসংঘের বিচারক অথবা জাতিসংঘের সহযোগিতা নেই)। সুতরাং এই বিচার সুষ্ঠুভাবে হওয়া মানে তা আইনি দৃষ্টান্ত হিসেবে যেমন, তেমনি যুদ্ধাপরাধের বিচারের অভিজ্ঞতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে। তাতে জাতিসংঘ-সমর্থিত অতি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ার বদলে জাতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার সমর্থনে নতুন ধারাও সূচিত হবে।
তাহলেও, এই ট্রাইব্যুনাল স্বীকৃত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণে ব্যর্থ হলে জাতীয় ট্রাইব্যুনালগুলো যে নিজেদের বিচারিক এখতিয়ারের মধ্যে ঘটা আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার জবাবদিহির সঙ্গে করতে সক্ষম, এই দাবি বহুদিনের জন্য পিছু হটতে বাধ্য হবে।
চতুর্থত, বাংলাদেশের বাইরে এমন দুনিয়ার মানুষ আছে, যারা ১৯৭১ সালে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে খুব সামান্যই জানে। এই ট্রাইব্যুনালের ফলে নয় মাসের সেই যুদ্ধের কথা দুনিয়াকে জানানোর সুযোগ পেয়েছে দেশটি। সন্দেহ নেই, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও একটা মাত্রায় এই ইতিহাসকে তুলে ধরবে। ট্রাইব্যুনালের উচ্চ মান নিশ্চিত করার অর্থ, গণমাধ্যমের দৃষ্টি দুর্বল অভিযোগগুলো থেকে সরিয়ে ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপিত শক্তিশালী প্রমাণগুলোয় প্রতিফলিত ইতিহাসের দিকে নিবদ্ধ হওয়া নিশ্চিত করা।
পঞ্চমত, যথাযথ মান নিশ্চিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সমর্থনের উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনালের সমালোচনায় ব্যস্ত রাজনৈতিক গোষ্ঠীসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনজীবীদের অভিযোগের পালের হাওয়া না লাগা। আটক সবাইই বর্তমানের বিরোধী দলের সদস্য হওয়ায় এটা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আটকের পর তদন্ত না হয়ে খুবই ভালো হতো যদি এদের আটকাদেশ তদন্তপূর্বক হতো। তাহলে জনগণের গোচরে থাকা তথ্যগুলোই প্রমাণ করত যে আটক সাতজনই সঠিক লোক, যাদের ওপর ট্রাইব্যুনালের মনোযোগ নিবদ্ধ থাকা দরকার।
তাছাড়া, আটক সবাই বিরোধী দলের হওয়ায় অনিবার্যভাবে দাবি উঠবে, সরকার এই ট্রাইব্যুনাল ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধি করছে। বিচারের মান সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চিত করাই হচ্ছে এর সবচেয়ে ভালো জবাব।
চূড়ান্তভাবে, জামায়াতে ইসলামী এবং অভিযুক্তদের সমর্থকদের তরফে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অন্যায্য প্রক্রিয়ার শিকার হিসেবে দেখানো ঠেকানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বিচারের উচ্চ মান নিশ্চিত করা। যে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপিকে সাধারণভাবে যথাযথ প্রক্রিয়া ও নিরপেক্ষ বিচারের বিষয়ে আগ্রহী দেখা যায়নি, ক্ষমতায় থাকার সময় যারা অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়ার সংস্কারের ব্যাপারে মোটেই উৎসাহী ছিল না, তাদেরই এখন সরবে নিরপেক্ষতার ধুয়ো তোলা দেখতে পাওয়া তিক্ত ব্যাপার। (এর মানে এটা বলা হচ্ছে না যে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে কিংবা ক্ষমতাসীন থাকার সময় এ বিষয়ে সদিচ্ছার প্রমাণ রেখেছে)।
যুদ্ধাপরাধীদের দায়মুক্তির অবসান ঘটিয়ে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার পথে অপরাধীদের বিচার এবং বেঁচে যাওয়া মানুষের বঞ্চনার প্রতিকারের জন্য যাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, এসব কারণেই তাঁদের উচিত ট্রাইব্যুনালের উচ্চ মান দাবি করা। বিচার এবং মান নিশ্চিতের এই দুই অবস্থানের মধ্যে তাই কোনো স্ববিরোধিতা নেই।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অথবা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সম্মানিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিপ্রেক্ষিত থেকেই একদিকে যুদ্ধাপরাধের বিচারের শক্তিশালী সমর্থক, অন্যদিকে বিচারের প্রাসঙ্গিক মান বিষয়ে উৎসুক।
যাঁরা চান সত্যিকার অপরাধীদেরই শাস্তি হোক, সুষ্ঠু বিচারের উচ্চ মান এবং আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের যথাযথ বন্দোবস্ত তাঁদের জন্য কোনো হুমকি নয়।
ইংরেজি থেকে অনূদিত।
ডেভিড বার্গম্যান: নিউ এজ পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সম্পাদক।
এ বিষয়ে আগে প্রকাশিত তাঁর একটি রচনার জন্য তাঁকে এবং পত্রিকাটির সম্পাদককে ২৭ নভেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগে আদালতে তলব করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.