মতিঝিলে জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষ

পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে সোমবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিকেলে সাড়ে চারটায় পূর্ব ঘোষিত ৯ দিনের কর্মসূচি পা্লনের প্রথম দিনেই বেকায়দায় পড়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক নেতাদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা  জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে জমায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি  জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে লাঠিপেটা ও টিয়ার শেল ছোড়ে।

এ সময় নেতা-কর্মীরা আত্মরক্ষার জন্য আশপাশের গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছোড়েন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের ছয় থেকে সাত জন ও জামায়াত শিবিরের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। অন্যদিকে সংঘর্ষে চলাকালে জামায়াত শিবিরের ১৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রফতার হয়।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হায়াতুজ্জামান, নায়েক আব্দুল লতিফ,  কনস্টেবল সোহরাব, আরিফ, নাজমুল, খাদেমুল, মোহাম্মদ দোলন এবং জালাল ।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার নূরুল ইসলাম কমিশনার বলেন, পুলিশকে বেকায়দায় ফেলতে অনুমতি ছাড়াই জামায়াত-শিবির হঠাৎ করে মিছিলের চেষ্টা করে। নিষেধ করলে জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।

অন্যদিকে এই সংঘর্ষের জন্য পুলিশকে দায়ী করেছে জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা মহানগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ জানান, তাদের মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা চালায়।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ তাদের অন্তত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং পুলিশের লাঠিপেটায় প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে।

এছাড়াও একই দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশসহ অন্তত ৩৫৩ জন আহত হয়েছে। সাতক্ষিরায় ৬৩ জন, নোয়াখালীতে পাঁচজন বরগুনায় চারজন বগুড়া ও ফেনীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১১৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.