পদ্মা সেতু-মেঘ কাটাতে হবে আমাদেরই by আহসান মনসুর

বাংলাদেশের জন্য পদ্মা সেতু একটি বিপুল সম্ভাবনার প্রকল্প। এর নির্মাণ কাজে বাংলাদেশের জন্য তহবিলের সংস্থান করা অপেক্ষাকৃত সহজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটেনি। ঋণ জোগানদাতা হিসেবে সবচেয়ে ভালো উৎস বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক_ এটা নিয়ে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ কম।


এ কারণে সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে_ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বসে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি শোনা এবং তদনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সমস্যা যদি কিছু হয়ে থাকে, সেটা হয়েছে আমাদের দিক থেকে। বিশ্বব্যাংক ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্প থামিয়ে রাখতে চায়, এমনটি ভাবার কারণ নেই। তাদের ঋণ নিয়ে সুদের হার হবে একেবারেই নামমাত্র। কিন্তু বাণিজ্যিক সুদের হারে ঋণ নিয়ে সেতু নির্মাণ করলে দেশের ক্ষতি হবে


বাংলাদেশে এসেছেন চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত লি জুন। তিনি অর্থমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সংবাদপত্র ও টেলিভিশনসহ গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন_ যাকে বলা হয় মিট দ্য প্রেস। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ আয়োজনে প্রশ্ন উঠেছিল, পদ্মা সেতুর অর্থ জোগান দিতে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তি হতে চলা চীনের আগ্রহ কতটা এবং তারা সেটা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে কি-না।
লি জুন যে উত্তর দেন তাকে বলতে পারি, দক্ষ ও ঝানু কূটনীতিকের কথার মায়াজাল। তিনি নিজের দেশের সম্ভাবনা ও সক্ষমতার কথা বলেছেন, বাংলাদেশের মতো বন্ধু দেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির বিদ্যমান বাস্তবতার প্রতিও সম্মান জানিয়েছেন। তার দেশের ক্ষমতার সীমা তিনি ভালো করেই জানেন, তাই আমাদের খুশি করার জন্য কিছু বলতে চাননি। কেউ বিষয়টিকে বলতে পারেন, এক ঢিলে অনেক পাখি মেরে ফেলা। রাষ্ট্রদূতের উত্তর থেকে যে যার মতো ব্যাখ্যাও করে নিতে পারেন।
লি জুন বলেন, বাংলাদেশ যদি অনুরোধ করে, তাহলে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ জোগানের বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ আশায় থাকতেই পারে। তবে তারও আগে বলটি ঠেলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের কোর্টে_ বাংলাদেশকেই অনুরোধ জানাতে হবে। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী কয়েকদিন আগেই এমন একটি অনুরোধ মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন। দেখা যাক, আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হয়নি কি-না।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে পদ্মা সেতুতে অর্থের জোগান ইস্যুতে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে, তাদের আশা যে শিগগিরই এর সুরাহা হবে এবং বিশ্বব্যাংক অর্থ জোগান দিতে এগিয়ে আসবে। চীন চাইছে যে, বিশ্ব্বব্যাংকের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলুক বাংলাদেশ এবং তাদের কাছ থেকেই ঋণ গ্রহণ করুক। এ উত্তর থেকে ধারণা করা যায়, তাদের অর্থায়নে নয়, বরং বিশ্বব্যাংকের অর্থেই গুরুত্বপূর্ণ এ অবকাঠামো প্রকল্প গড়ে উঠুক। তাদের প্রথম পছন্দ বিশ্বব্যাংক, এটা আমরা ধরে নিতে পারি।
পদ্মা সেতু নিয়ে ২৫ মার্চ আরেকটি খবর জেনেছি আমরা_ এশিয়ার নতুন অর্থনৈতিক শক্তি মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের এ প্রকল্পে বিনিয়োগ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জামালউদ্দিন জানান, শিগগিরই এ বিষয়ে চুক্তি হবে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় এটা হবে, শর্ত কী ধরনের হবে_ সেসব জানা নেই।
আরও কোনো কোনো দেশ এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে রাজি, এমন খবর দেখছি। এসব উৎসাহব্যঞ্জক খবর, তাতে সন্দেহ নেই।
বিশ্বব্যাংক গত বছরের ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর প্রায় ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। আমরা জেনেছিলাম, মালয়েশিয়ার সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারি সমঝোতা স্মারক সই হতে চলেছে। কিন্তু সেটা ঘটেনি। ইতিমধ্যে যোগাযোগমন্ত্রী পদে পরিবর্তন ঘটেছে। এ মন্ত্রণালয় ভেঙে দুটি মন্ত্রণালয় হয়েছে_ যোগাযোগ ও রেল। দুটি মন্ত্রণালয়ই সেতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, সেতুতে মোটর ও রেলগাড়ি চলবে। কিন্তু কবে শুরু হবে সেতুর নির্মাণ কাজ? অর্থমন্ত্রী মার্চের মাঝামাঝি ধারণা দিয়েছেন_ আগামী শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু হতে পারে। দেখা যাক, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে স্বপ্ন পূরণ হয় কি-না।
প্রকৃতই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের জন্য এ সেতু স্বপ্নের প্রকল্প। সেতুটি হবে বহুমুখী। এর অর্থনৈতিক যেমন, তেমনি সামাজিক গুরুত্বও রয়েছে। বহু দশক ধরে বরিশাল, খুলনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি ও বরগুনার মতো জেলার অধিবাসীদের মধ্যে বঞ্চনা ও অবহেলিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেতুটি হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে তাদের যোগাযোগে অনেক কম সময় প্রয়োজন পড়বে।
সেতুটি নির্মাণে ৩০০ কোটি ডলার প্রয়োজন পড়বে, এমন হিসাব করা হয়েছে। কিছুদিন আগ পর্যন্তও টাকা-মার্কিন ডলারের বিনিময়ে হার ছিল এখনকার তুলনায় ভিন্ন। এ ডলার ভাঙিয়ে পাওয়া যেত ৭০ টাকা এবং সে কারণে বলা হতো_ ২১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। এখন এক ডলারে পাওয়া যায় ৮০ টাকারও বেশি। এ কারণে বলতে পারি ২৪-২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ আমাদের সামনে। এ ধরনের বড় প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংকের মতো সংস্থা অর্থায়ন করতে পারে। তাদের সুদের হার হয়ে থাকে নামমাত্র এবং পরিশোধের জন্য লম্বা সময় দেওয়া হয়। সেতুর টোলের হার কী হবে, সেটা বিনিয়োগের পরিমাণ এবং সে জন্য কী শর্ত তার ওপর নির্ভর করবে কোনো প্রাইভেট বিনিয়োগকারী যদি এগিয়ে আসে, তাহলে হিসাব দাঁড়াবে অন্য রকম। যমুনায় যে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়েছে তাতে প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল যে, ৩৬ বছরে বিনিয়োগ উঠে আসবে। কিন্তু প্রাথমিক ধারণার চেয়ে বেশি গাড়ি চলায় এখন আরও কম সময়েই ব্যয় উঠে আসবে। এ সেতুতে ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল এবং এর মধ্যে ৬০ কোটি ডলার পাওয়া গিয়েছিল একেবারে নামমাত্র সুদে। প্রাইভেট বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে চাইবে বলে মনে হয় না। উন্নয়ন সহযোগী অনেক সংস্থা যেমন বিশ্বব্যাংক যখন এ ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ করে, তখন মুখ্য হয় আর্থ-সামাজিক সুবিধাদি। বাংলাদেশে দুই অংশ মহাকালের বিচ্ছিন্নতা ঝেড়ে ফেলবে, অভিন্ন সড়ক-রেল নেটওয়ার্কে চলে আসবে বাংলাদেশ_ এটাই তাদের কাছে মুখ্য হবে। তারা দেখবে, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দারিদ্র্য দূর করার প্রক্রিয়ায় কতটা প্রভাব ফেলবে। কিন্তু প্রাইভেট বিনিয়োগকারীর কাছে মুখ্য বিষয় হবে কত দ্রুত বিনিয়োগ তুলে নেওয়া যায়। চীনের রাষ্ট্রদূত যে বিনিয়োগের ব্যাপারে অতি উৎসাহ নিয়ে কোনো কথা বলেননি, তার কারণ বুঝতে সমস্যা হয় না। এ ধরনের অবকাঠামো প্রকল্পে অবশ্যই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়া উচিত। অর্থনীতিতে তারা দ্রুত এগিয়ে চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বড় ধরনের প্রকল্প সাহায্য কোনো উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশকে তারা দেয়নি। তারা বুড়িগঙ্গা সেতু বা এ ধরনের মাঝারি প্রকল্পে অর্থায়ন করে থাকে। শুধু চীন নয়, অন্য কোনো দেশের পক্ষে এ ধরনের একক প্রকল্পে অর্থের জোগান অচিন্তনীয়। এখানে শুধু অর্থ নয়, প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ। ভূরাজনৈতিক বা সামরিক কৌশলগত স্বার্থ থাকলে অবশ্য ভিন্ন কথা। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ইসরায়েলের ক্ষেত্রে। কিন্তু সেখানেও যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরায়েলের কোনো অবকাঠামো প্রকল্পে এত পরিমাণ ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে জানা নেই।
মালয়েশিয়া তিন-চার দশক আগেও বাংলাদেশের মতো 'গরিব দেশ' ছিল। এখন তাদের উন্নয়ন চোখ ধাঁধানো বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শ্রমিক সেখানে কাজ করে। তবে এ দেশটিরও একটি দেশে ৩০০ কোটি ডলারের আর্থ-সামাজিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষমতা রয়েছে বলে মনে হয় না। তবে বাণিজ্যিক স্বার্থ বিবেচনায় নেওয়া হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু প্রকৃতই যদি মালয়েশিয়া বা অন্য কোনো দেশ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে আসে এবং আমরা তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব গ্রহণ করি, সেটা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উভয় বিবেচনায় বিপজ্জনক হতে পারে। যেমন তারা বলতে পারে_ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ দুটি পদ্মা সেতু (একটি মাওয়া পয়েন্ট, আরেকটি আরিচায়) নির্মাণের যে পরিকল্পনা করছে সেটা বাতিল করতে হবে। মোটর গাড়ি দুই সেতু দিয়ে চললে তাদের আয় কমে যাবে। তারা বলতে পারে যে কেবল মোটর গাড়ি চলবে, রেল চলবে না। অথবা বলতে পারে যে, সেতুতে গ্যাস পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা যাবে না। তারা এমন ডিজাইন প্রণয়ন করতে চাইবে যাতে নির্মাণ ব্যয় কম পড়বে। বাণিজ্যিক উদ্যোগে এ ধরনের অনেক কাটছাঁটের ঘটনা ঘটে। এ ধরনের প্রস্তাব আসবেই, এমন বলা যায় না। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে এমন ধারণা করা যায়। আর এ কারণেই আমাদের নীতিনির্ধারকদের বলব যে, বিনিয়োগ প্রস্তাব চূড়ান্ত করার জন্য সর্বোচ্চ মাত্রায় সতর্কতা থাকা চাই। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা।
বাংলাদেশের জন্য পদ্মা সেতু একটি বিপুল সম্ভাবনার প্রকল্প। এর নির্মাণ কাজে বাংলাদেশের জন্য তহবিলের সংস্থান করা অপেক্ষাকৃত সহজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটেনি। ঋণ জোগানদাতা হিসেবে সবচেয়ে ভালো উৎস বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক_ এটা নিয়ে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ কম। এ কারণে সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে_ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বসে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি শোনা এবং তদনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সমস্যা যদি কিছু হয়ে থাকে, সেটা হয়েছে আমাদের দিক থেকে। বিশ্বব্যাংক ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্প থামিয়ে রাখতে চায়, এমনটি ভাবার কারণ নেই। তাদের ঋণ নিয়ে সুদের হার হবে একেবারেই নামমাত্র। কিন্তু বাণিজ্যিক সুদের হারে ঋণ নিয়ে সেতু নির্মাণ করলে দেশের ক্ষতি হবে। বিশ্বব্যাংক কিন্তু অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করতে পারে। বাংলাদেশ পারে না। তাছাড়া বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে নয়, কিংবা প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট নয়, পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে অনিয়মের আশঙ্কা রয়েছে, এটা বলেছে ইন্টিগ্রিটি শাখা। এদের আপত্তির বিষয়ে কারও কিছু করার থাকে না। তারা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিছক অনুমাননির্ভর হয়ে স্থগিত রেখেছে, এটা ভাবার কারণ নেই। তারা বিব্রত হওয়ার মতো কিছু জেনেছে বলেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের এখন দায়িত্ব হচ্ছে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং তাদের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। মেঘ কাটাতে আমাদেরই সচেষ্ট হতে হবে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পথে চলে লাভ নেই। যত দেরি হবে, সেতুর ব্যয় বাড়বে। আর বিলম্ব হতে থাকবে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। আমরা যদি তৎপর হয়ে সমস্যার সমাধান না করি, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক চুপচাপ বসে থাকবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবুন, দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থের কথা ভাবুন এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন, এটাই প্রত্যাশা থাকবে।

ড. আহসান মনসুর :আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা এবং নির্বাহী পরিচালক
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট

No comments

Powered by Blogger.