নগরজুড়ে মেজবান by হামিদ উল্লাহ

মহাজোটের মহাসমাবেশকে ঘিরে গতকাল নগরজুড়েই ছিল মেজবানের আয়োজন। নেতা-কর্মীদের দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয় বেশির ভাগ কমিউনিটি সেন্টারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ড ও মহল্লাপর্যায়েও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অনেক নেতা নিজের বাড়ির ছাদেও খাবারের আয়োজন করেন।
জানা গেছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডপর্যায়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও তা নগরের শীর্ষ নেতাদের নামে ভাগ হয়ে যায়। নেতাদের অনুসারীরাই নিজ নিজ কর্মীদের জন্য খাবারের আয়োজন করেন। এসব নেতার মধ্যে রয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন, সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি ও আ জ ম নাছির উদ্দিন। তবে এর বাইরে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং কক্সবাজার থেকে আসা নেতা-কর্মীদের জন্য আলাদাভাবে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
কক্সবাজার সদর আসনে বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সোনালী ব্যাংকের পরিচালক সাইমুম সরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজার জেলা থেকে মহাসমাবেশ উপলক্ষে আসা লোকজনকে দুপুরে খাওয়ানোর জন্য নগরের নাসিরাবাদের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয় মেজবান। তা ছাড়া যাঁরা দেরিতে আসেন তাঁদের জন্যও বাসে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
জানা যায়, সকালে কক্সবাজার থেকে এসে জনসভায় পৌঁছা যাবে না—এ আশঙ্কা থেকে রাতেই অন্তত ৪০টি বাস নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রামে চলে আসেন।
তবে গতকাল বুধবার সকালেও আসেন কিছু নেতা-কর্মী। গাড়িতেই তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানা গেছে।
নগরের বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে বেলা ১১টা থেকেই খাবার শুরু হয়। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি। ওয়ার্ডপর্যায়ের নেতারা নিজেদের মতো করে নেতা-কর্মীদের খাওয়াচ্ছেন। তবে কোতোয়ালি এলাকার সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসির ব্যক্তিগত সহকারী নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘কোতোয়ালি সংসদীয় আসনের ১৪ ওয়ার্ডেই ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করা হয়।’
নগর আওয়ামী লীগের অপর নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘পুরো শহরেই আমাদের নেতা-কর্মীরা মহাসমাবেশে আসা লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন। দুপুরের আগেই খাবার সেরে তাঁরা সমাবেশে রওনা হন।’
আ জ ম নাছিরের অনুসারী নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য হাসান মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আলকরণ এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার ও বাইরে দুই হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা করি।’ তবে জেলা থেকে আসা বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর হাতে একটি খাবারের প্যাকেট ও একটি পানির বোতল ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম বলেন, দুপুরের খাবার খেয়ে সমাবেশে যাওয়া সম্ভব নয়। তাঁদের জন্য আখনি বিরিয়ানির প্যাকেট ও পানির বোতলের ব্যবস্থা করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.