সুন্দর ও সুষ্ঠু হোক বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজন-উদ্বোধনের অপেক্ষায়

বহু প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামীকাল। দেশবাসী যেমন এই উৎসবের সহজ আনন্দে শামিল হতে উদ্গ্রীব, তেমনি অধীর বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমী কোটি কোটি মানুষ। এ উপলক্ষে ঢাকাকে উৎসবের আমেজে সাজানো হয়েছে, ঢাকা এখন বিদেশি পর্যটকদের সাদরে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত। আমরা এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।


কিন্তু এই আনন্দে সামান্য খুঁত হলো সরকারের একটি সিদ্ধান্ত অথবা সিদ্ধান্তহীনতা। প্রথমে বলা হলো, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন ঢাকা মহানগরের অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। এখন বলা হচ্ছে, অফিস চলবে অপরাহ্ন দুইটা পর্যন্ত। তাহলে আগে এত ঢাকঢোল পিটিয়ে ছুটির কথা বলা হলো কেন? ছুটির খবরে যাঁরা ঢাকার বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তাঁরা বিপদে পড়েছেন। আমরা যেকোনো অজুহাতে সরকারি অফিস ছুটি দেওয়ার পক্ষপাতী নই। কিন্তু সরকার আগেই বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারত। তবে সরকার মহানগরের যানজটের কথা চিন্তা করলে বিশ্বকাপ ক্রিকেট উদ্বোধনের দিন ছুটির ভাবনাটি অযৌক্তিক বলা যাবে না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। এর পাশেই সচিবালয় ও মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা। সে ক্ষেত্রে বেলা দুইটা পর্যন্ত অফিস খোলা রাখলেও কিছু যানজট সমস্যা থেকে যাবে। আধা বেলা অফিস বহাল রাখার পর এখন অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশের এলাকার যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কর্তৃপক্ষকে আরও সচেষ্ট থাকতে হবে।
ক্রিকেটের ছুটির বিষয়টির মতো একই রকম দোলাচল লক্ষ করা গেছে শেয়ারবাজার ব্যবস্থাপনা নিয়েও। কয়েক দিন আগে সরকার ২১টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার ছাড়তে ব্যর্থ হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু সোমবার তিনি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত আপাতত কার্যকর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। বাজারে যখন ক্রেতা নেই, তখন এ রকম একটি সিদ্ধান্ত নিতে গেল কেন সরকার? এসব বিষয়ে সরকারের উচিত আরও সতর্ক হওয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ দেশে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সব আয়োজনও সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে, এটাই প্রত্যাশিত। মনে রাখতে হবে, এর সঙ্গে কেবল ১৬ কোটি মানুষের আবেগ-ভালোবাসা নয়, বাংলাদেশের মান-সম্মানের বিষয়টিও জড়িত।

No comments

Powered by Blogger.