চরাচর-আম নামতা by ফখরে আলম

বাংলাদেশে কয়েক শ জাতের আম রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এসব আমের নাম ভিন্ন। গৃহস্থবাড়ির আঙিনায় যে দেশীয় গুটি আম ধরছে, তারও ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। কবে কে এই নাম দিয়েছিল তা জানা না গেলেও নামের কারণেই নির্দিষ্ট গাছটি, বাড়িটি গ্রামের মধ্যে পরিচিতি পেয়েছে।


গুণ-মানের কারণেও আমের নাম হয়েছে; যেমন_রসগোল্লা, রাজভোগ, মিশ্রিদানা, কালোপাহাড়, হাজারি, গুটুলে, বুলবুলি, রসখাজা, মনোহরা, বিশ্বনাথ, গৌরজিত, কুয়াপাহাড়ি, সাটিয়ারপরা, সিঁদুরে, বউভুলানি, বেলখাস, কমলাভোগ, তিলে বোম্বাই, সাহেবখাস, রসা, আলতাবানু, স্বর্ণলতা, কালীদাস বাবু খাই, গোবিন্দভোগ, চুষনি, ডাব, ময়ূরপঙ্খি, মনোয়ারাখাস ও কোহিতুর। অঞ্চলভিত্তিক আমের আরো নাম রয়েছে। এ ছাড়া দেশে উন্নত জাতের যেসব আমের চাষ হয়, তারও নামের বাহার আছে। এসব আম গুণে-মানে নামের সঙ্গে যথেষ্ট সংগতিপূর্ণ। আমাদের দেশের জনপ্রিয় আমগুলো হচ্ছে ফজলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, বোম্বাই, সুরাট বোম্বাই, গোলাপজাম, কৃষাণভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস, ক্ষীরশাপাত, আশ্বিনা, ছাটিয়াকরা, সূর্যপুরি, মোহনভোগ, কুয়াপাহাড়ি, বৃন্দাবনী, লতা বোম্বাই, ফনিয়া, কাঁচমিঠা, নীলাম্বরী, রানীপছন্দ ও হাঁড়িভাঙা। এসব আম ছাড়াও নতুন উদ্ভাবিত আম্রপালি, মলি্লকা, সিন্ধু, রত্না, পুপিতো, মহানন্দা, আলফানসো, চৌষা ইত্যাদি দেশি-বিদেশি আমেরও এখন চাষ হচ্ছে। পাকিস্তান থেকে এসেছে আনোয়ার আতাউল, ফিলিপাইন থেকে এসেছে সুপার সুইট, থাইল্যান্ড থেকে এসেছে বারোমাসি কাঁচমিঠা, মিয়ানমার থেকে এসেছে রাঙ্গু আই। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্র যে জাতগুলো উদ্ভাবন করেছে, সেগুলো বারি-১ থেকে বারি-৮ নামে পরিচিত।
ফখরে আলম

No comments

Powered by Blogger.