সরল গরল-সৌদি কর্মকর্তা খালাফের খুনি কে? by মিজানুর রহমান খান

বন্ধুপ্রতিম দেশ সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ বিন মোহাম্মদ সালেম আল-আলী হত্যারহস্যের জট যে এখনো খোলেনি, সেটা অবশ্যই পরিতাপের। তদন্তকারীরা আমাদের অন্ধকারে রাখছেন। কে খুনি? কেন এই খুন? এর কোনো ইঙ্গিতও মিলছে না।


তাই বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইটারে ইরানকে ইঙ্গিত করা মন্ত্যবটি নিয়ে আলোচনা প্রাসঙ্গিক মনে হলো। উপরন্তু ওয়াকিফহাল একজন কূটনীতিকের সঙ্গে আলোচনার পরে তিনি জানালেন, কুয়েত টাইমস-এও এমন একটি ইঙ্গিতপূর্ণ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। এমনকি কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী স্বয়ং সেই ইঙ্গিত করেছেন বলে পত্রিকাটির দাবি। বাংলাদেশি কূটনীতিকেরা এ বিষয়ে হয়তো সংগত কারণেই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। অবশ্য একজন কূটনীতিক বললেন, ‘এটা কোনো সাধারণ খুনের ঘটনা নয়, তুচ্ছ কারণে নয়।’
সফররত সৌদি প্রতিনিধিদল তদন্তের জন্য আসেনি বলে সরকারের প্রকাশ্য বিবৃতি দেওয়া যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য বা প্রয়োজনীয় ছিল বলে মনে হয় না। এটা বুঝতে কষ্ট হয় না যে তারা রুটিন সফরে আসেনি। পুরো বিষয়টি যাচাই করে তারা দেখবেই। তারা যেন আমাদের ফৌজদারি আমলাতন্ত্রের পাঁকে না পড়ে। এ ক্ষেত্রে অবহেলা বা গাফিলতির অভিযোগ কিংবা তা বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতীয়মান হলে তা সৌদি-প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনঃকষ্টের কারণ হবে। অর্ধডজন মন্ত্রীর খালাফের জানাজায় শামিল, বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গমন এবং রিয়াদে তাঁর বিশেষ সফর রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকদের গুরুত্ব প্রদান বোধগম্য।
সৌদি সরকার দুই দেশের সম্পর্কে এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে। তদুপরি ৪ এপ্রিল আরব নিউজ পত্রিকায় রিয়াদ ডেটলাইনে গজনফর আলী খানের একটি প্রতিবেদন বেশ অস্বস্তিকর। ৩৭ বছরের পুরোনো ইংরেজি ভাষার এই দৈনিক পত্রিকা দেখভাল করেন সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ছেলে প্রিন্স ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ। ‘ঢাকায় সৌদি কূটনীতিক হত্যাকাণ্ডে কোনো ক্লু মেলেনি’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনের শিরোনাম সঠিক। গুলশান থানার পুলিশ প্রাথমিক ও র‌্যাবের ছায়া তদন্তের পর ডিবি মূল তদন্ত করছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এর কোনো অগ্রগতি নেই। তবে অস্বস্তির বিষয়টি আগে বলে নিই। আরব নিউজ বলছে এবং এর আগেও সৌদিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেখেছি যে বাংলাদেশ এর তদন্তে ব্যর্থ হলে ঢাকা-রিয়াদ সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেবে।
কূটনীতিক খালাফ হত্যার ঘটনা যেদিন প্রথম আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল, তখন অস্বস্তির সঙ্গে লক্ষ করেছিলাম, বিবিসি, সিএনএন হত্যাকাণ্ডের পটভূমি হিসেবে ঢাকা-রিয়াদ সম্পর্কের টানাপোড়েন স্মরণ করে। এবং তারা সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের শিরশ্ছেদের ঘটনায় ঢাকার উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টি উল্লেখ করে। অবশ্য ৬ মার্চ এপি এ প্রসঙ্গে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার চেষ্টায় ইরানকে অভিযুক্ত করা, করাচিতে সৌদি কূটনীতিককে হত্যা, ভারত, থাইল্যান্ড ও জর্জিয়ায় ইসরায়েলি কূটনীতিকদের ওপর হামলার চেষ্টায় ইরানকে দোষারোপ এবং সিরীয় বিদ্রোহীদের অস্ত্র জোগাতে সৌদি পরিকল্পনায় ইরানের ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা তোলে।
তবে এর সবটাই ছাপিয়ে যায় বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালেদ বিন আহমেদ আল খলিফার মন্তব্যে। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘ঢাকায় সৌদি কূটনীতিককে হত্যা একটি উন্মুক্ত যুদ্ধের অংশ এবং অপরাধী চিহ্নিত।’ তিনি একজন পেশাদার কূটনীতিক। টেক্সাসের সেন্ট এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টারের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে যুক্ত হয়েছিলেন। সৌদি আরবের সঙ্গে তাঁর সখ্য নিবিড়। বাহরাইনেও আরব বসন্তের ছোঁয়া লেগেছিল। একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন ২০ ব্যক্তিকে হত্যার জন্য সরকারি বাহিনীকেই দায়ী করেছিল। বাহরাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক শিয়া। কিন্তু রাজতন্ত্র সুন্নি। এমনও খবর বেরিয়েছে যে সুন্নিদের সংখ্যা বাড়াতে বাহরাইন পাকিস্তান ও সিরিয়া থেকে লোকবল আমদানি করছে।
গত বছর করাচিতে সৌদি কূটনীতিককে হত্যার পর পাকিস্তানের পুলিশ বলেছিল, ‘হত্যাকারী জঙ্গিরা বাহরাইনে সৌদি সৈন্য পাঠানোর কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কাণ্ড ঘটায়। আল-কায়েদা ঘোষণা দিয়েছিল, ‘আমরা এর দায়িত্ব নিচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমেরিকা আল-কায়েদার পিছু না ছাড়ছে এবং বিমান হামলা বন্ধ না করছে, ততক্ষণ আমরা এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাব।’ দুজন মোটরসাইকেল আরোহী করাচিতে সৌদি কূটনীতিক হাসানকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, বাহরাইনের বসন্তে ইরানের মদদ ছিল বলে অভিযোগ করেছিল ক্ষমতাসীনেরা। বিরোধীদলীয় শিয়া নেতারা তা অস্বীকার করেন। ইরান মনে করে, ঐতিহাসিকভাবে বাহরাইন তাদের প্রদেশ। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশি রাজনীতিকদের মতো বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাগাড়ম্বর করেছেন কি না। কুয়েতের সঙ্গেও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো নয়। গত বছরও কুয়েত-ইরান পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে।
ইরান ও সৌদি আরবের মাঝখানে বাহরাইনে বসে আছে পঞ্চম নৌবহর, যার কাজ মূলত ইরানকে সামলানো। বাহরাইনে রক্তাক্ত বসন্তের পটভূমিতে গত বছরের মার্চে সৌদি আরব সে দেশে সৈন্য পাঠায়। ইরানের প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশে সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর অবস্থান কোনো গোপন বিষয় নয়। উইকিলিকস সূত্রে একটি বার্তা বিশেষভাবে রটেছে যে বাদশাহ আবদুল্লাহ ইরানকে ইঙ্গিত করে যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছেন, ‘সাপের মাথা অবশ্যই কেটে ফেলতে হবে।’
গত অক্টোবরে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইরান সরকারের দ্বারা ওই সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যার প্রচেষ্টা অনুমোদিত ও পরিচালিত হয়েছিল। দেড় মিলিয়ন ডলার দিয়ে মেক্সিকোর একটি মাদক মাফিয়া চক্রকে ঘাতক হিসেবে ভাড়া করা হয়েছিল।’ নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওই ষড়যন্ত্রের আওতায় ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাস এবং আর্জেন্টিনা ও সৌদি দূতাবাস বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ খাজায়ি এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ইরানের তরফেও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের তির যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে রয়েছে। গত জানুয়ারিতে একজন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানি তেহরানে এক গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হলে ইরান এর জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে।
ইরানি বংশোদ্ভূত মার্কিন কবি, লেখক ও সাংবাদিক মিজ রয় হাকাকিয়ান মনে করেন, বিদেশে বসবাসরত শত্রু খতম প্রচেষ্টায় ইরানের ইসলামি সরকারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯২ সালে বার্লিনের একটি রেস্তোঁরায় নিহত চার ইরানিকে নিয়ে লেখা তাঁর বইয়ের নাম অ্যাসাসিনস অব দ্য তারকুইজ প্যালেস। জার্মানির এক আদালত বলেছেন, ওই চারজনকে হত্যায় ইরান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদন ছিল। হাকাকিয়ানের আরও দাবি, বার্লিনে ওই চারজনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত বন্দুকধারীর বিরুদ্ধে সুইডেনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ছিল। সুতরাং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ধরনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষাপটে আমরা বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘উন্মুক্ত যুদ্ধ’কে অনুভব করতে পারি। কিন্তু আমরা সন্দেহের বশে অবশ্যই কোনো উপসংহারে পৌঁছাতে পারি না।
খালাফ হত্যার পর দেশি-বিদেশি মিডিয়ার হাবভাব কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। একটি কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, ঢাকার একটি ইসরায়েলভাবাপন্ন সাময়িকী খালাফ হত্যায় ইরানকে জড়িয়ে একটি খবর প্রচার করে। এতে নির্দিষ্ট কোনো সূত্রের উল্লেখ ছিল না। অথচ দেখলাম, সেই পত্রিকাটির বরাত দিয়ে প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেট-এর একটি ব্যানার হেডলাইন খবরের শেষ অংশে ওই ইরানি যোগসূত্রের বিষয়টি জুড়ে দেওয়া হয়। রক্ষণশীল দেশ হলেও সৌদি আরবে আরবি ভাষায় বহুসংখ্যক অনলাইন পত্রিকা বেরোচ্ছে। হয়তো সেগুলো স্বল্প পরিচিত। কিন্তু ওই বাংলাদেশ সাময়িকীর বরাত দিয়ে বিপুলসংখ্যক অনলাইন আরবি প্রকাশনা ফলাও করে কথিত ইরানি সম্পৃক্ততা প্রকাশ করে। তবে কোথাও এটা দেখিনি যে কেউ নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে ইরানের প্রতি ইঙ্গিত করেছে।
পঁচাত্তরের পরে ইরানের শাহের মাধ্যমে বাংলাদেশে মার্কিন অস্ত্র সংগ্রহে জিয়াউর রহমানের উদ্যোগ ছিল। ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে ঢাকার দূতিয়ালি ছিল। কিন্তু এসব সত্ত্বেও তেহরানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব আশাব্যঞ্জক নয়। সেখানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্য নয়। তবু তারা বন্ধু দেশ। আমাদের ডিবি যখন খালাফ খুনের মোটিভ সম্পর্কে একেবারেই অন্ধকারে, তখন বিষয়টি আমরা আলোচনায় এনেছি মাত্র। তবে এর উদ্দেশ্য এই নয় যে অহেতুক ইরান বা অন্য দেশকে সন্দেহ করা।
সর্বশেষ জানা গেল, নিহত খালাফের ব্যক্তিগতবিষয়ক বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তিনি খুন হতে পারেন—এমন বিশ্বাসে ভর করেও তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। গুলির ধরনটি চৌকস, নিপুণ, আততায়ী আত্মবিশ্বাসী, তাঁর নিশানা ছিল অব্যর্থ। প্রথম আলোর অপরাধবিষয়ক বিশেষ সংবাদদাতা কামরুল হাসানের বর্ণনায়, ‘গুলিটা সম্ভবত গাড়িতে বসা অবস্থায় তাঁকে করা হয়। কণ্ঠ-অস্থি ভেদ করে গুলিটা তাঁর কিডনিতে আটকা পড়ে। গুলিটা খাড়া ছিল। গুলির শব্দ ও গাড়ি চলে যাওয়া প্রায় একই সময়ে ঘটে। তা ছাড়া দীর্ঘদেহী খালাফকে দাঁড়ানো অবস্থায় ওই স্থানে গড় উচ্চতাসম্পন্ন কোনো বাংলাদেশির গুলি করা সম্ভবও নয়।’
৪ এপ্রিল আরব নিউজ যা লিখেছে, তা বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা নয়। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি কাজ করেন। সৌদি আরব বাংলাদেশের বৃহত্তম সাহায্যদাতা। বাংলাদেশে সৌদি কূটনীতিক হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার যদি সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে অপরাধী শনাক্ত করতে না পারে, তাহলে সৌদি আরবে কর্মরত ২০ লাখ শ্রমিককে কেন্দ্র করে প্রকৃত সংকট শুরুর আশঙ্কা দেখা দেবে।’ প্রতিবেদক অবশ্য এরপর বাংলাদেশ যে ক্রমশ অপরাধীদের অভয়াশ্রমে পরিণত হচ্ছে, নাগরিক নিরাপত্তা যে বিঘ্নিত, সে কথা বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু যেটা বোধগম্য নয় সেটা হলো, প্রতিবেদক কী করে ২০ লাখ কর্মরত শ্রমিকের বিষয়টি খালাফ হত্যাকাণ্ডের বিলম্বিত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত করলেন? এটা গ্রহণযোগ্য নয়। দুই দেশের সম্পর্ক তো শ্রম বিকিকিনি ও সৌদি অবকাঠোমো তথা তাদের অর্থনীতিতে আমাদের জনশক্তির ভূমিকা রাখার চেয়ে অনেক বেশি। প্রতিবছর আমাদের বিপুলসংখ্যক হজযাত্রীর পবিত্র গন্তব্য তো দুই দেশকে এক চিরকালীন অবিচ্ছেদ্য মেলবন্ধনে যুক্ত রেখেছে।
আমার সহকর্মী কামরুল হাসানের মন্তব্যের সঙ্গে আমি একমত যে খালাফ হত্যারহস্যের ন্যূনতম কোনো অগ্রগতি না হওয়াটা রহস্যজনক। ডিবির তদন্ত দলের কর্মদক্ষতা ও আন্তরিকতা প্রশ্নবিদ্ধ বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.