রেল খাতে দুর্নীতি by অলিউর রহমান ফিরোজ

দেশের রেল খাতে যে রকম অরাজকতা পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে অবাক হতে হয়। দেশের রেল খাতকে আরও গতিশীল করতে সরকার আবুল হোসেনকে সরিয়ে যাকে দিল সেই সরিষার মধ্যেইও ভূত থাকায় রেল খাত অবহেলিতই রয়ে গেল। বিএনপি এত দিন আওয়ামী লীগকে টাকা লুটপাটের অভিযোগ করে আসছিল,


এখন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়িতে এতগুলো টাকার সন্ধান পাওয়াতে এখন সে অভিযোগ আরও শক্ত হলো। এখানে রেলের রাঘববোয়াল এবং মন্ত্রী যদি জড়িত না থাকেন তাহলে কখনোই তা সম্ভব হবে না। বিএনপি আমলে বাবর একটি হত্যা মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার পর বড় ধরনের ঘুষ খাওয়ার কথা জাতি এখনও ভুলে যায়নি। এখন আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতার ওপর যে ঘুষের কথা শোনা গেল তাতে জাতি এখন আশাহত। তাহলে জাতি কার কাছে নির্ভর করবে। রাজনীতিতে যদি লোভমুক্ত কাউকে না পাওয়া যায়, তাহলে জাতি তার ভবিষ্যতের আশার আলো কার আছে অর্পণ করবে। সেই বিষয় নিয়েই এখন তার বড় চিন্তিত। মন্ত্রী বলছেন, তার এপিএস কোথায় কী করল সেটা দেখা তার দায়িত্বের মধ্যে বর্তায় না। তাহলে তার এপিএস টাকাসমেত ধরা পড়ার পর তার কি দরকার ছিল তাকে ছাড়িয়ে আনার। ঘটনাটিকে বর্তমান সরকারের দুর্নীতির একটি সূচক হিসেবেও দেখছেন অনেকে। টাকার রহস্য ও পুরো ঘটনার পেছনের কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করবেন রেল মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব। বর্তমানে রেলের তদন্ত কমিটি দেখে মনে হচ্ছে, যে সরিষা দিয়ে ভূত তাড়াবে এখন সেই তদন্ত কমিটির সরিষার মধ্যে ভূত বিরাজ করায় তদন্ত কমিটি লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়।
মানুষ শুধু টিআই রিপোর্টে জানতে পারে বাংলাদেশ একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। দুর্নীতি কোথায়, কীভাবে হয়, সে ব্যাপারে অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায় কমই। মন্ত্রীর এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পাওয়া যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করাই যেতে পারে যে, ওই টাকা দুর্নীতিলব্ধ। রেলমন্ত্রীর ভাবমূর্তিতে যে কলঙ্কের দাগ পড়েছে, সেই দাগ কীভাবে মোচন করা যাবে তা সরকারকে ভাবতে হবে। মন্ত্রীর এপিএসের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।
য় রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ

No comments

Powered by Blogger.