রাজনীতি-ক্ষমতাকেন্দ্র দখলের শঙ্কা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ by আনোয়ার হোসেন

বিরোধীদের আলটিমেটামের সময়সীমা তিন মাস হাতে রেখে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়টি উভয়ের জন্যই প্রয়োজন ছিল। রাজনীতির খেলায় উভয়ে আপাতত সহনীয় অবস্থানে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিরোধীরা সংসদে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে কার্যকর কোনো ফর্মুলা তুলে ধরে,

যা সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনের ভিত্তিতে গৃহীত হতে পারে_ তাকে সবাই স্বাগত জানাবে

বিএনপি এবং তার মিত্র দলগুলোর ১২ মার্চের সমাবেশকে ঘিরে জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল_ কী জানি কী ঘটে। কয়েকদিন ধরে অস্বাভাবিক এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং এর দায় কেউ কেউ উভয় পক্ষের ওপর চাপাতে চান।
বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী জোট গত কয়েক মাস ধরে দেশের নানা প্রান্তে যেসব রোডমার্চ ও সভা-সমাবেশ আয়োজন করেছে, তাতে লোকসমাগম ভালো ছিল। আমাদের মতো সমস্যাপ্রবণ দেশে বিরোধী দলের ডাকে লোকজন হাজির হয়, এটাই রেওয়াজ। জনগণ কষ্ট লাঘবের পথ খোঁজে। এ পরিস্থিতি দেখে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী মনে করতে থাকে যে, সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পতন ঘটানো যাবে। এভাবেই 'চলো চলো ঢাকা চলো' স্লোগান সামনে আসে। কিন্তু রাজধানী ঢাকা হচ্ছে ক্ষমতার কেন্দ্র। বিএনপি এবং তার মিত্রদের স্লোগানের অর্থ দাঁড়ায় ক্ষমতা কেন্দ্র দখল করে নেওয়া। জানুয়ারির প্রথমদিকে চট্টগ্রাম পলো গ্রাউন্ডের সমাবেশে তাদের এ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। পরবর্তী এক মাসের হাঁকডাকেও তা ছিল স্পষ্ট। এ কারণে সরকারি দলও 'ঢাকা চলো' স্লোগানকে হালকাভাবে নিতে পারেনি। এর আরেকটি কারণ সম্ভবত চারদলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় উপস্থিতি। এ দলটি সংগঠিত, তাদের জঙ্গি শাখা আছে। হরকাতুল জিহাদ, জেমএমবির মতো বিভিন্ন সংগঠনও জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত। এদের ক্যাডাররা এক সময়ে ইসলামী ছাত্রশিবির করেছে। প্রকৃতপক্ষে জামায়াতে ইসলামী একাত্তরে যেমন, এখনও তেমনই মনোভাব পোষণ করে। তারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই কর্মীদের ঢাকায় জড়ো করতে থাকে। অতীতে সর্বহারা দলের নেতা সিরাজ সিকদার এটা করেছেন। জামায়াতে ইসলামী বিএনপির কাঁধে বন্দুক রেখে অন্তর্ঘাত চালাতে পারে, এ আশঙ্কা অমূলক ছিল না। এ দলটি জনগণনির্ভর নয়। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে তাদের শীর্ষ নেতারা এখন কারাগারে। গোলাম আযমের গ্রেফতার তাদের জন্য ছিল বড় ধরনের ঝাঁকুনি। এখন দলটি যে কৌশল নিয়ে চলেছে তাতে বিদেশি শক্তিরও প্ররোচনা থাকতে পারে। তিনি যাতে গ্রেফতার এড়াতে পারেন, সে জন্য সৌদি আরব ও পশ্চিমা শক্তির চাপ ছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে এবং বিচার শুরু হয়েছে।
এটা মনে রাখতে হবে যে, জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা_ যেমন, মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী প্রমুখের সঙ্গে গোলাম আযমকে এক করে দেখা যায় না। তারা হত্যা, অগি্নসংযোগ ও লুটপাট করেছে এবং তার সাক্ষী আছে। কিন্তু গোলাম আযম একাত্তরে দলটির শীর্ষ নেতা ছিলেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও লে. জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন এবং এখানে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী সংগঠন রাজাকার ও আলবদর বাহিনী গঠন করা হয়েছে। এসবের মূল হোতা তিনি। তার বিরুদ্ধে হত্যা-লুটপাটের অভিযোগ আনার প্রয়োজন নেই। অপরাধের প্রমাণ রয়েছে সংবাদপত্রে ও টিভি ফুটেজে। এ ধরনের অপরাধের চূড়ান্ত শাস্তি কী হতে পারে, সেটা জামায়াত নেতারা জানে। এ কারণে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, একটি প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এই অপশক্তিকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। গোলাম আযমকে জিয়াউর রহমান দেশে ফিরে আসতে দিয়েছেন, খালেদা জিয়া নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। আরও দুর্ভাগ্য যে, তাদের মুক্তি দাবি করছেন তিনি। বিএনপির থিঙ্কট্যাঙ্কের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদকে তিনি বলেছেন, গোলাম আযমের নিগ্রহ মেনে নেওয়া যায় না। বর্তমানে দেশের যা অবস্থা সেটা জানা থাকলে জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিত না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অর্থাৎ এত রক্ত, এত আত্মত্যাগ নিয়েই বিএনপির প্রশ্ন। এভাবে জামায়াতের সুরে বিএনপির কথায় বিপদের শঙ্কা থাকেই। আওয়ামী লীগ তাই 'ঢাকা চলো' কর্মসূচিকে হালকাভাবে নিতে পারেনি। কেউ কেউ সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাকে বাড়াবাড়ি মনে করেছেন। 'হরতালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি' এবং ঢাকাকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা অপ্রয়োজনীয় বলেও অভিমত রয়েছে। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে, জনগণকে রক্ষা করতে অনেক সময় জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। যে সরকারকে বিপুল ভোটে জনগণ ক্ষমতাসীন করেছে, যে সরকার সীমাবদ্ধতা সত্ত্ব্বেও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছে, যে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, যে সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে, যে সরকার জনগণের বিচার পাওয়া নয়, এমনকি বিচার চাওয়ার হারিয়ে ফেলা অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে_ জামায়াতে ইসলামী-বিএনপির হাতে তাদের পতন ঘটলে বাংলাদেশের জনগণকে ফের অন্ধকার সময়ে ফিরে যেতে হবে। তারা দেশকে ঠেলে দেবে নৈরাজ্যকর সময়ে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার যদি নিশ্চিত হয় যে, বিরোধীরা এমন ধরনের তৎপরতায় লিপ্ত, যাতে নির্বাচন নয় বরং ষড়যন্ত্র করে সরকারের পতন ঘটানোর জন্য চেষ্টা চলছে এবং এর মূল লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেওয়া, জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির মামলাগুলো চলছে সেসব বন্ধ করে দেওয়া, তাহলে ১২ মার্চের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার বিরোধিতা করা যায় না। তবে এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থা যদি জননিরাপত্তা নিশ্চিত করায় তাদের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তাহলে হয়তো জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হতো না। মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কথাবার্তাতেও সংযত হওয়া প্রয়োজন ছিল। টেলিভিশনে দেখেছি যে, সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন লাঠি ও অস্ত্র হাতে ঢাকা শহরে তাদের জঙ্গি উপস্থিতি জাহির করেছে। এর কোনো প্রয়োজনই ছিল না। জনগণকে রক্ষার দায়িত্ব ছাত্রদের নয়, রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা সর্বোপরি সরকারের। পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র ছাত্রদের দেখে জনগণ তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত হয়নি, বরং শঙ্কা বেড়েছে তাদের।
১২ মার্চ সমাবেশ চলাকালে সরকার একাধিক টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল বলেও জানতে পেরেছি। এখন তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগ। ঢাকায় প্রচার বন্ধ করলেও বহির্বিশ্বে তা বন্ধ করা যায় না। ইন্টারনেট-মোবাইল ফোনে যে কোনো খবর সচিত্রভাবে দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যায়। সরকার ভাবতে পারে, ১২ মার্চের মহাসমাবেশের ভাষণ তো আর একাত্তরের ৭ মার্চে রেসকোর্সের ভাষণ নয়। আমরা জানি যে, বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের লক্ষ্য ছিল একটি জাতির বিজয়ী আবির্ভাব_ স্বাধীন মাতৃভূমির জন্মের বার্তা, যে ভাষণ শোনার জন্য সাড়ে সাত কোটি মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে তার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশের তুলনা চলে না। বরং শঙ্কা ছিল, ১২ মার্চ উস্কানি আসতে পারে। চট্টগ্রামে খালেদা জিয়া সরাসরি সেনাবাহিনীকে উত্তেজিত করার জন্য উস্কানি দিয়েছেন। যদি এমন আশঙ্কা থেকে গোয়েন্দা সংস্থা সরাসরি সম্প্রচার যাতে না হয় তার জন্য টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিতে উদ্যোগী হয়েছিল, তাহলেও বলব যে এটা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নয়। এর পরিবর্তে জনগণকে জানতে দেওয়া উচিত ছিল, বিরোধীরা প্রকৃতপক্ষে কী করতে চায়। যদি তাদের সমাবেশ থেকে ধ্বংসাত্মক বার্তা দেওয়া হতো তাহলে সেটা রুখতে গণতান্ত্রিক শক্তি ও জনগণকে আহ্বান জানানো যেত। সরকার এ পথে না গিয়ে টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়ে বরং সমাবেশের প্রতি কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় গণতান্ত্রিক শক্তির খুব একটা লাভ হয় না। এসব বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার ওপর নির্ভর করা ক্ষমতাসীনদের জন্য আদৌ সুফল বয়ে আনে না। এটা মনে করার সঙ্গত কারণ রয়েছে যে, ষড়যন্ত্রকারী শক্তি, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর সম্প্রসারিত বিস্তার রয়েছে প্রশাসনের ভেতরে। এমনকি খোদ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভ্যন্তরেও তাদের ষড়যন্ত্র বিস্তৃত। সাম্প্রতিক একটি ষড়যন্ত্রমূলক ক্যুদেতার চেষ্টার পেছনের কারণ খুঁজে পেতে আমাদের অসুবিধা হয় না। এটা ব্যর্থ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া কোনো কল্পনাপ্রসূত বিষয় নয়। আমরা বলতে পারি যে, দেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং তা মোকাবেলা করার জন্য জনবিচ্ছিন্ন আমলাতন্ত্র বা গোয়েন্দা সংস্থার ওপর নির্ভরতা কার্যকর পন্থা নয়। সরকারের প্রধান শক্তির আধার হচ্ছে জনগণ। সর্ববিষয়ে তাদের অবহিত রেখে ও আস্থা এনেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। রাজনৈতিক শক্তি যখনই এ দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করতে পেরেছে তখনই অর্থবহ বিজয় অর্জিত হয়েছে। আশা করব যে, সরকার এবং সরকারি দল ও জোট এ বিষয়ে মনোযোগী হবে।
১২ মার্চের কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে। বিরোধী দল তাদের কাঙ্ক্ষিত সমাবেশ করতে পেরেছে। অন্যদিকে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সংঘটিত করা যায়নি। এর আলামত আমরা দেখেছিলাম ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের নামে।
খালেদা জিয়া সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য ১০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। ২৯ মার্চ ডাকা হয়েছে হরতাল। যে কোনো আন্দোলন পরিণত রূপ নিলে হরতাল আহ্বান করা হয়_ এমনটিই অতীতে দেখেছি। কিন্তু হাল আমলে হরতাল জনগণ না চাইলেও ডাকা হয়। বিরোধীদের আলটিমেটামের সময়সীমা তিন মাস হাতে রেখে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়টি উভয়ের জন্যই প্রয়োজন ছিল। রাজনীতির খেলায় উভয়ে আপাতত সহনীয় অবস্থানে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিরোধীরা সংসদে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে কার্যকর কোনো ফর্মুলা তুলে ধরে, যা সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনের ভিত্তিতে গৃহীত হতে পারে_ তাকে সবাই স্বাগত জানাবে। তারা নিশ্চয়ই বিস্মৃত হননি যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের দাবি হলেও শেষ পর্যন্ত সংসদে এ সংক্রান্ত বিল এনেছিল বিএনপি এবং সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো সদস্য ছিল না। এ সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে আইনের ফাঁক গলিয়ে দেশে বিশেষ ধরনের সরকার কায়েমের ফলে দীর্ঘস্থায়ী সেনাশাসনের যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি বিরোধী দল চাইতে পারে না। শুধু মহাজোট নয়, সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এমন একটি ব্যবস্থার উদ্ভাবন করা হোক, যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সুযোগে কোনো অসাংবিধানিক শক্তি পুনরায় ক্ষমতা দখল করতে না পারে।
আমাদের এ ভূখণ্ডে অনেক যুগ আগে সেই পাল আমলে গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি চালু হয়েছিল, অনেক আগেই বাঙালি সম্পর্কে বলা হয়েছে_ তারা আজ যা চিন্তা করে ভারতবর্ষের বাকি অংশ সেটা ভাবে আগামীকাল, সেই বাঙালির দেশ বাংলাদেশে আরও উচ্চতর গণতন্ত্র আসুক সেটা মানুষ আশা করে। এর সুফলও তারা পেতে চায়। আমাদের শাসক দল ও বিরোধী দল জনগণের এ প্রত্যাশাকে সম্মান জানাবে, সেটাই চাইব। এ ক্ষেত্রে বিএনপির প্রতি আহ্বান থাকবে_ অনতিবিলম্বে স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক যেন ছিন্ন করে তারা। স্বাধীনতার সুফল জনগণের কাছে পেঁৗছে দিতে এর প্রয়োজন রয়েছে।

ড. আনোয়ার হোসেন :মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.