টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে

প্রিয় পাঠক, আপনাদের মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার রাজধানীতে দিনদুপুরে ডাকাতি: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলো এখানে ছাপা হলো।

নজরুল ইসলাম, চাকরিজীবী চকবাজার, ঢাকা
যশোর, বাগেরহাট, বরিশালে নিয়মিত ডাকাতি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায়ও পর পর দুটি বড় ডাকাতি হলো। এ ছাড়া নিয়মিত ছোট ছোট ডাকাতি হচ্ছেই। ডাকাতদের প্রতিহত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আবুল কালাম আজাদ, সহকারী পরিচালক, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ধানমন্ডি, ঢাকা
আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, যার প্রমাণ পর পর দুটি ডাকাতি। আমি সরকারের কাছে আবেদন করব, খুব দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ব্যবস্থা নিন।
সন্ধানী আলী, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এসব ডাকাতকে মদদ দিচ্ছে বলে মনে হয়। তা না হলে দিনদুপুরে এভাবে বড় ডাকাতি সম্ভব নয়। এত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা থাকতে এসব কী হচ্ছে? কে বা কারা এসবের পেছনে? এর সুষুম তদন্ত হওয়া উচিত।
মো. রবিউল ইসলাম, টাঙ্গাইল
দিবালোকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক হাজার ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সোহেল রানা, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
এই দুটি ডাকাতি আইনশৃঙ্খলা অবনতির সুস্পষ্ট প্রমাণ। সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নিয়ে এ রহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে।
জিয়া, ব্যবসায়ী, ঢাকা
আমার মনে হয়, নিকটস্থ থানার গাফিলতি দায়ী এবং সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে।
মো. মিজানুর রহমান
চাকরিজীবী, মানিকগঞ্জ
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেছে তা বলা যাবে না। দিনদুপুরে ডাকাতি একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র। তবে বড় বড় বিপণিবিতানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো জরুরি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সন্ত্রাস দমনে আরও আন্তরিক হতে হবে।
জয় কুমার দে, শিক্ষার্থী, ময়মনসিংহ
নিজের সম্পদ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও আরও একটু সচেতন হওয়া উচিত।
বদিউজ্জামান, শিক্ষার্থী, নারায়ণগঞ্জ
রাজধানীতে দিনদুপুরে ডাকাতি কারা করছে? নিশ্চয়ই এর পেছনে বড় কোনো অপশক্তি কাজ করছে। যদি দলীয় নেতা-কর্মীরা এ কাজ করেন, আইন তাঁদের যেন সুষ্ঠু বিচার করে।
এস এম সাইফুল্লাহ খালেদ কক্সবাজার
বর্তমানে দেশে জোর যার, মুল্লুক তার—এই নীতির বাস্তবায়ন ঘটেছে। প্রকৃত সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে অপারগ হওয়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলার আরও অবনতি হতে পারে। আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অদক্ষতা দায়ী।
হানিফ শহীদ, চাকরিজীবী, ঢাকা
যুগে যুগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের মুখস্থ সংলাপ, দু-একটি ডাকাতি-রাহাজানি বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র। কবে এর অবসান হবে?
সাগর আহমেদ, ব্যবসায়ী নাখালপাড়া, ঢাকা
কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে অপরাধীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। নইলে সরকারি ব্যবস্থাই দায়ী থাকবে।
হারুন মিয়া, শিক্ষক, কুমিল্লা
আইনশৃঙ্খলা নেই বললেই চলে। দিনদুপুরে যেমন ডাকাতি হচ্ছে, তেমনি কোটি কোটি টাকার টেলিফোন বিল বকেয়া থাকাও ডাকাতি। আইন প্রণয়নকারীরাই যদি ডাকাতি করেন, তবে আইন রক্ষা করবে কে?
মাহাতাব হোসেন, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর
শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক। এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
আবুল মনসুর আহমেদ
সংগঠক, চট্টগ্রাম
সরকারের সব মন্ত্রণালয় সফল হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শক্ত হাতে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সরকার চরম ব্যর্থ বলে তরুণসমাজ অবহিত করবে।
সোহেল রানা, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
চোর যদি চুরি করে শাস্তি না পায়, তবে আবার চুরি করবেই। তারই প্রমাণ পর পর ডাকাতি। ডাকাতদের খুঁজে শাস্তি দিতে না পারলে আবার কোথাও হবে ডাকাতি।
দেলওয়ার হোসেন, চাকরিজীবী ঢাকা, গুলশান
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে রাজধানীতে দিনদুপুরে ডাকাতি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর ও সচেতন হতে হবে।
আহাদ মো. উলফাদ, শিক্ষার্থী সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা
দিনদুপুরে ডাকাতির জন্য প্রশাসনই দায়ী। শহরে ডাকাতি, তা-ও দিনদুপুরে, এটা ভয়াবহ।
মো. মেহেদী হাসান
শিক্ষার্থী, দিনাজপুর
রাজধানীতে ডাকাতি। মানুষ আতঙ্কিত ও হুমকির মুখে। ডাকাতদের চলার পথ রুদ্ধ না করা হলে জনগণ আরও হুমকির মুখে পড়বে।
বিশ্বজিৎ, শিক্ষার্থী, খুলনা
আইনশৃঙ্খলাসহ অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের কোনো আন্তরিকতা নেই। সরকার শুধু দলীয় স্বার্থ ছাড়া গঠনমূলক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এটা হতাশাব্যঞ্জক।
নয়ন খান, শিক্ষার্থী, মাগুরা
সব ইস্যু কিছুদিন পর পর আড়াল করে ফেলা সরকারের স্বভাব। আশা করব, ডাকাতির ইস্যুটি হারিয়ে যাবে না। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার করা হোক।
ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক রাজশাহী
দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় চুরি-ডাকাতির ঘটনা নিত্য ঘটছে। কিছু করতে পারছে না সরকার। কেন কেন কেন? সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাবে। এসব কি তারই নমুনা?
রথীন, শিক্ষার্থী, এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
দিনদুপুরে ডাকাতি দেশের আইনশৃঙ্খলার বেহাল অবস্থার বার্তা বহন করে। এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তার জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ, ব্যবসায়ী কাঁটাবন, ঢাকা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খুব অবনতি হয়েছে তা বলা যাবে না। তবে যে দুটি ঘটনা ঘটেছে তা উদ্বেগের বিষয়। শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করলেই হবে না, সদিচ্ছা, যৌথভাবে ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাবলয় তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সদয় থাকতে হবে।
সৈয়দ মুনার আহমেদ, চট্টগ্রাম
পুলিশের নাকের ডগায় দিনদুপুরে ডাকাতি হচ্ছে। প্রশাসন নীরব কেন?
বিশ্বজিৎ সেন, কবি, চট্টগ্রাম
রাজনৈতিক অস্থিরতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
সৈয়দ জাহিদ কাদরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
একটি দেশের রাজধানীতে দিনদুপুরে ডাকাতির মতো ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিরই প্রকাশ।
মো. নাসিম উদ্দিন, শিক্ষার্থী রাজশাহী কলেজ
রাজধানীতে ডাকাতির যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা হতবাক। এর পরও মন্ত্রীরা কি বলবেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক আছে?
শাহ মোহাম্মদ মোয়াজ্জম জালালাবাদ, সিলেট
ডাকাতির মতো ভয়ংকর কর্মকাণ্ড থেকে জনগণকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কঠোর পদক্ষেপ চাই। বেকারত্ব ঘোচানোর জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
সাফিন আহমেদ, চাকরিজীবী ধানমন্ডি, ঢাকা
এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, ডাকাতি বেড়েই চলেছে। এ জন্য কে দায়ী?
সৈয়দ অপু, শিক্ষার্থী, খিলগাঁও, ঢাকা
চোর-ডাকাতদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও র‌্যাবের আরও কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
জান্নাতুল ফেরদৌস
সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এটা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কিছুই চিন্তা করছে না।
হাসান আল সাহাব, শিক্ষার্থী, খুলনা
পুলিশ বাহিনীকে রাজধানীর জন্য বিভিন্ন উপকমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করে সে অনুযায়ী তাদের জবাবদিহি থাকলে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হতে পারে এবং ডাকাতি কমতে পারে।
আজিজুল হক, চাকরিজীবী
মিরপুর, ঢাকা
বর্তমানেডাকাতিতে দিনরাত সমান কথা। কারণ, দিনদুপুরে খুন করেও প্রকৃত খুনিরা খুনি প্রমাণিত হচ্ছে না, বরং ফেঁসে যাচ্ছে অন্যরা। তাই জনগণের পরম বন্ধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সচেতন, সক্রিয় হওয়া উচিত।
এমডি ইব্রাহিম উল্লাহ
টিকাটুলী, ঢাকা
বর্তমান সরকার সফল নাকি ব্যর্থ? তারা ক্ষমতায় এলে ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি বেড়ে যায়। তাদের কি করণীয় কিছুই নেই?
হাসনাত আনোয়ার, চিকিৎসক, ঢাকা
রাজধানীতে দিনদুপুরে ডাকাতি, এটা মোটেই কাম্য নয়। পুলিশ প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে এবং ডাকাতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সুজিত বণিক, উন্নয়নকর্মী কিশোরগঞ্জ
রাজধানীতে দিনদুপুরে ডাকাতি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারকে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জহির, ব্যবসায়ী, গুলিস্তান
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন মন্ত্রী, সভা বা অনুষ্ঠানে পাহারা দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকছে। তাই দিনদুপুরে রাজধানীতে ডাকাতি হতে পারছে। তারা যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তবে এ ধরনের ডাকাতি থেকে রাজধানী অব্যাহতি পাবে।
ওয়াহিদ মুরাদ, স্বরূপকাঠি পিরোজপুর
রাজধানীতে দুটি ডাকাতির ঘটনা আমাদের দারুণভাবে শঙ্কিত করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এভাবে নিম্নমুখী হলে অবশ্যই জনগণ চরমভাবে ভীত হবে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মাসুম খান, ক্রিকেটার
ধানমন্ডি, ঢাকা
ডাকাতি নতুন কিছু নয়। সব সরকারের আমলেই হয়, কিন্তু এ সরকারের আমলে একটু বেশি হয়। সরকারের উচিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া।
মো. আনিস হোসেন, লালবাগ, ঢাকা
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ডাকাতির সঠিক তথ্য বের করা হোক।

No comments

Powered by Blogger.