শর্তসাপেক্ষে শর্ত মানবেন কারজাই
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই রোববার বলেছেন আমেরিকা আগে শান্তি ফিরিয়ে আনুক, পরে আমরা আফগান মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করব। যদি শান্তিই না থাকে তবে চুক্তি দিয়ে আফগানদের কি হবে? শান্তি চুক্তির পূর্বশর্ত। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তান মার্কিনিদের প্রতি বন্ধুত্ব প্রমাণ করেছে এবার মার্কিনিদের পালা আফগানদের ওপর তাদের বিশ্বস্তার প্রমাণ দেয়া। চলতি বছর আফগান-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে লয়া জিরগা বা গ্র্যান্ড অ্যাসেম্বলির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট কারজাই এ সিদ্ধান্ত জানান।
নিরাপত্তা চুক্তিটির অনুমোদনের জন্য গত চারদিন ধরে কাবুলে দুই হাজার ৫০০ জনেরও বেশি আফগান নেতা এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন। কিন্তু চুক্তিটির কয়েকটি দিক নিয়ে তীব্র বির্তকের সৃষ্টি হয়। বির্তকের একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট কারজাই ঘোষণা দেন, আগামী বছরের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর চুক্তির স্বাক্ষর করা হবে। তবে, আমেরিকা কারজাইয়ের এ সিদ্ধান্তকে অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করে। এ ব্যাপারে গত কয়েকদিন ধরে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে বেশ কয়েক দফা আলোচনা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। চুক্তির কয়েকটি বিতর্কিত বিষয় হচ্ছে- ২০১৪ সালের পর ঠিক কতজন মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে মোতায়েন থাকবে। মার্কিন সেনাদের কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা কোথায় হবে? মার্কিন আদালতে, নাকি আফগান আদালতে? মার্কিন সেনারা নিরাপত্তার স্বার্থে আফগান নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাতে পারবে কিনা। আফগান প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া কোনো অভিযান চালাতে পারবে না মার্কিন সেনারা। তবে, চুক্তির যে কোনো ধারা বা উপধারা সংশোধন করার ক্ষমতা থাকবে আফগানিস্তানের। বিবিসি ও রয়টার্স।
শান্তি চুক্তির পূর্বশর্ত মার্কিনিদের বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে চুক্তি স্বাক্ষর হবে
শান্তি চুক্তির পূর্বশর্ত মার্কিনিদের বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে চুক্তি স্বাক্ষর হবে
No comments