বায়োস্কোপ রেক ইট র‌্যালফ

 ধরন: অ্যানিমেশন, অ্যাডভেঞ্চার, কমেডি
 প্রথম প্রকাশ: ২ নভেম্বর, ২০১২, যুক্তরাষ্ট্র
 ব্যাপ্তি: ১০৮ মিনিট  ভাষা: ইংরেজি
ভিডিও গেমসের ভিলেনের মনেও যে দুঃখ থাকে, সে কথা কে জানত! তবে হলিউডের পরিচালক-লেখক রিচ মুরের কল্যাণে সেটা আর অজানা থাকল না। রেক ইট র‌্যালফ অ্যানিমেশনে এমনই এক ভিলেনের দুঃখের কথা শুনিয়েছেন মুর। ফিক্স-ইট ফেলিক্স নামের জনপ্রিয় ভিডিও গেমসের ভিলেন র‌্যালফ। তার একমাত্র কাজ হাতের কাছের সবকিছু ভেঙে ফেলা। তার ভয়ে গেমসবাসী সবাই আতঙ্কিত। তবে ওই গেমসের নায়ক ফেলিক্স। ছোট্ট এক জাদুর হাতুড়ি দিয়েই সে ভাঙা সবকিছু ঠিক করে ফেলে। এভাবেই সারা দিন চলে ভিলেন র‌্যালফের ভাঙা আর নায়ক ফেলিক্সের গড়ার কাজ। রাতে সব গেমস খেলোয়াড় যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন একটু বিশ্রাম পায় গেমসের ভেতরের অধিবাসীরা। তবে এ সময় র‌্যালফ অবহেলিতের মতো পড়ে থাকে ফুটপাতে আর ওদিকে ফেলিক্সকে ঘিরে শুরু হয় উৎসব আর হইচই। ভিলেন হওয়ার কারণে সেখানে র‌্যালফের প্রবেশ নিষেধ। এভাবেই একা একা একঘেয়ে জীবন কাটছিল দুঃখী র‌্যালফের।
হঠাৎ একদিন ফেলিক্সের মতো মেডেলধারী নায়ক হতে চাইল র‌্যালফ। মেডেলের খোঁজে নিজের গেমস ছেড়ে সে হাজির হলো আরেক গেমসে। সেখানে রাতারাতি একটা মেডেলও জোগাড় করে ফেলল র‌্যালফ। কিন্তু সেটি নিয়ে নিজের জগতে ফিরতে গিয়েই বাধল বিপত্তি। পথ হারিয়ে সে চলে গেল চকলেটের রাজ্যের গেমস সুগার রাশে। কিছু বোঝার আগেই সেখানে ভেনিলোপ নামের এক দস্যি মেয়ে কেড়ে নিল তার মেডেল। মেডেলটির বিনিময়ে রোস্টার রেসে নিজের নাম লেখাল পিচ্চি মেয়েটি। মাথার চুল ছেঁড়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকল না র‌্যালফের। অবশ্য একটা উপায় আছে। সেটা হচ্ছে, যেভাবেই হোক ভেনিলোপকে এ রেসে জেতাতে পারলেই ফিরে পাওয়া যেতে পারে মেডেলটি। এই সম্ভাবনা মাথায় রেখে বাধ্য হয়ে দস্যি মেয়েটাকে সাহায্য করতে রাজি হলো র‌্যালফ। কিন্তু এখানেও পিছু পিছু এল হাজারো বাধা-বিপত্তি। এসব মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত মেডেলটি নিয়ে নায়কের বেশে নিজের জগতে কি র‌্যালফ ফিরতে পেরেছিল? সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। সে প্রশ্নের উত্তরটা না-হয় ছবিটা দেখে নিজেই খুঁজে নাও।

No comments

Powered by Blogger.