সত্যিই কি সেরার তালিকায় নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় by ড. সৌমিত্র শেখর

সাংবাদিক আতাউস সামাদ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকদের একজন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। কিন্তু তাঁর নাম আমি জানি আমার বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন, অর্থাৎ গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশক থেকেই। বিশেষ করে জানি, ভারতের রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্ক এবং স্থাপনা ধ্বংসের কারণ ও প্রতিক্রিয়ায় এ দেশে যখন মন্দির ধ্বংসের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়, সেই সময়।


ওই সময় আমাদের কাছে দুই ভ্রাতৃযুগল খুব আলোচনায় ছিলেন। তাঁরা হলেন গিয়াস কামাল চৌধুরী ও বেলাল চৌধুরী এবং আতিকুস সামাদ ও আতাউস সামাদ। এই ভ্রাতাদের চিন্তার বৈপরীত্যই কি সেদিন আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল? আজ তা মনে নেই। কিন্তু সাংবাদিকরা যে অ-নে-ক শক্তিশালী, এর প্রমাণ সেদিন পাওয়া গিয়েছিল তাঁদেরই কারো কারো কাছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের রামমন্দির-বাবরি মসজিদ-সংক্রান্ত বিতর্কিত স্থাপনা ধ্বংসের পর আনন্দে নাকি ঢাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল_এ ধরনের সংবাদ ভয়েস অব আমেরিকায় (ভোয়া) প্রচার হওয়া মাত্রই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দলন, নির্যাতন ও দখল বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণে। দৈনিক ইনকিলাব ভোয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বড় বড় করে কথিত মিষ্টি বিতরণের সংবাদ ছেপেছিল প্রথম পাতায়। সেদিনকার আতঙ্ক আমি আজও ভুলতে পারি না। তাই সাংবাদিকদের কথায় ও কলমে যখন কোনো বিষয়কে অতি গুরুত্ব দিতে দেখি, তখন কিছু ক্ষেত্রে আমার সন্দেহ জাগে, আতঙ্কিতও হই। যেমন আতঙ্কিত হয়েছি গত ৫ ফেব্রুয়ারির কালের কণ্ঠে আতাউস সামাদের 'সেরার তালিকায় নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' শিরোনামের লেখাটি পড়ে। বলে রাখি, লেখাটির শিরোনাম পড়ে যতটা আতঙ্কিত হয়েছি, লেখা পড়ে ভাবিত হয়েছি তার তুলনায় কমই। কিন্তু পুরো লেখা পড়বেন কয়জন পাঠক? শিরোনাম পাঠক নিশ্চয়ই এর চেয়ে বহু গুণ বেশি।
আতাউস সামাদের লেখার চাবিতত্ত্ব পাওয়া যাবে তাঁর এই কয়েকটি বাক্যে : 'দিন কয়েক আগে আরটিভির খবরে শুনলাম, পাশ্চাত্যের একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এশিয়ার প্রথম ২০০টির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। আর বিশ্বের সেরা ৫০০টির মধ্যেও আসছে না আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের নাম। খবরটা শুনে মন খারাপ হলো।' এই 'মন খারাপ'-এর পরিপ্রেক্ষিতে আতাউস সামাদ তাঁর লেখার শেষ দিকে প্রস্তাব উপস্থাপন করতে চেয়ে লিখেছেন : 'সেই তাঁরা (তাঁর ভাষায়_যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে সুতা টানেন) যদি ইচ্ছুক হন, তাহলে প্রথমেই যা করতে পারেন, তা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নামধারীদের দাঙ্গা বন্ধ করা।' এরপর আর কোনো প্রস্তাব না দিয়েই আতাউস সামাদ হঠাৎ লেখার ইতি টেনেছেন। বোঝাই যাচ্ছে, ভাষা ও চিন্তার সমন্বয় নেই এ লেখায়। তা না হলে 'প্রথমেই যা করতে পারেন', লেখার পর দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনো বক্তব্য লেখকের থাকার কথা। আসলে এ লেখায় লেখকের পিতা, তাঁর সহোদর ভাই, 'আপন ভাতিজা', নিজের মেয়ে, ভাগ্নে, নিজে, এমনকি নিজের স্ত্রী_কে কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এ ফিরিস্তি যতটা বিস্তৃত, সে তুলনায় কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেরার তালিকায় নেই, এর কারণ অনুসন্ধান একেবারেই নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সমিতি' গড়ে তুলতে চায় যে পরিবার, সেই পরিবারের সদস্য হিসেবে এবং একজন দায়িত্বশীল প্রথিতযশা সাংবাদিক হিসেবে আতাউস সামাদ যদি কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করতেন এবং সেটা তাঁর লেখায় প্রকাশ পেত, তাহলে উপকার হতো সবার।
আমি আতাউস সামাদের লেখা পড়ে অনুসন্ধান করতে চেষ্টা করেছি, কেন সেরাদের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। কোন বিদেশি সংস্থা কী খবর দিল, এর প্রেক্ষাপট না জেনে বা না জানিয়ে সেটা প্রচার করল আরটিভি। আরটিভি একটি খবর বলল, সেটাই 'সত্য' বিবেচনা করে একটি উপসম্পাদকীয় লিখে ফেললেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকদের একজন; এবং আমরা সবাই বিশ্বাস করতে আরম্ভ করলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেরাদের কোনো তালিকায় স্থান পাওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান নয়। এভাবে গড্ডালিকা প্রবাহে আমরা কি সত্যিই গা ভাসিয়ে দেব? এ প্রসঙ্গে আমার অনুসন্ধান এবং ধারণার মাত্র সামান্য উল্লেখ করি : ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন 'সত্য' বা 'মিথ্যা' মানুষের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল যেন। গোয়েবলসের সময় ইন্টারনেট থাকলে তিনি নিশ্চয়ই হিটলারকে ইন্টারনেটে প্রোপাগান্ডা চালানোরও পরামর্শ দিতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং বা প্রথম, দ্বিতীয় করার ব্যাপারটিও বোধ হয় তেমনি প্রোপাগান্ডার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আতাউস সামাদ যে তালিকার কথা বলেছেন, আমি দেখলাম, সত্যিই 'র‌্যাংকিং ওয়েব অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি' জানুয়ারি ২০১১-তে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তালিকা করেছে, তাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। সেরা ১০০টির মধ্যে বাংলাদেশের মাত্র আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আছে। এগুলো হচ্ছে : বুয়েট (দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ২৬তম, বিশ্বের মধ্যে ২৬৬৮তম), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ৩৭তম, বিশ্বের মধ্যে ৩২০৫তম), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ৭১তম, বিশ্বের মধ্যে ৪৬৬৯তম), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ৮৩তম, বিশ্বের মধ্যে ৫১৮০তম), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ৮৮তম, বিশ্বের মধ্যে ৫৩৬৩তম), ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি (দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ৯২তম, বিশ্বের মধ্যে ৫৫৫১তম), ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি (দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ৯৮তম, বিশ্বের মধ্যে ৫৬৮২তম), নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি (দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ৯৯তম, বিশ্বের মধ্যে ৫৭২৪তম)।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খবরাখবর যাঁরা রাখেন, এই র‌্যাংকিংয়ের খবর শুনে তাঁদের চমকে ওঠার কথা। তাঁরা ভাবেন, সত্যিই আমাদের পরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গোল্লায় গেছে! কিন্তু নেপথ্য-সত্য হলো, এই তালিকা করা হয়েছে 'ওয়েব পাবলিকেশন্স'-এর ওপর ভিত্তি করে। তালিকাকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তাঁদের ১০০ নম্বরের মধ্যে 'ইমপ্যাক্ট অব লিংক ভিজিবিলিটি'র ওপরই ৫০% নম্বর ছিল। আর 'কোয়ালিটি অব এডুকেশন'-এর ওপর ছিল মাত্র ১০% নম্বর। এই মানদণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ১০০ বা ২০০-এর মধ্যে নেই। এরপর আমি ভিজিট করলাম 'র‌্যাংকিং : ইউনিভার্সিটি' ওয়েব। 'র‌্যাংকিং' সাব-হেডিংয়ে গিয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং-তালিকা দেখলাম। এক তালিকায় দেখলাম জগাখিচুড়ি_আইবিএ এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখিয়ে একটি তালিকা করা হয়েছে যথাক্রমে এভাবে : ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, আইবিএ, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ইত্যাদি। পাশাপাশি আরেকটি তালিকায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং যথাক্রমে এ রকম : বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি। কোনটিকে বিশ্বাস করব? কিভাবে বিশ্বাস করব? আমাকে কি মেনে নিতে হবে, আইবিএ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব আলাদা কিংবা ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া বা গবেষণা নিম্নমানের? আমি নিজ দেশের তুলনাটি আনছি সর্বজনের বোঝার সুবিধার্থে। ইন্টারনেটে পাওয়া গেল বলেই তা 'বেদ বাক্য' বলে ধরে নেওয়ার যৌক্তিকতা কতটুকু? দায়িত্বশীল মানুষ কোনো তথ্য-উপাত্ত গ্রহণ এবং ব্যবহার করলে তা নিজের মতো করে যাচাই করে ব্যবহার করবেন, এমনটাই আশা করা হয়। অবশ্য আমাদের দেশে দায়িত্বশীলদের হার যে কমছে, এ কথাও তো সত্য! র‌্যাংকিংই হোক বা কোনো তালিকাই হোক, যাঁরা এগুলো করেন, তাঁদের নির্দিষ্ট 'টার্গেট পয়েন্ট' থাকে। আর 'টার্গেট পয়েন্ট'-এর ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নের মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়। বিজ্ঞজনদের এ কথা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে আগ্রহী হয়, আজও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সে রকম চিত্র দেখা যায় না।
বাংলাদেশে এখন ৫৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আরো কিছু বিশ্ববিদ্যালয় খুব শিগগিরই অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগই সারা বছর ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞাপন দেয়। চার মাসের সেমিস্টারের নামে বিজ্ঞাপন প্রচার করেও তারা কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক ছাত্র এখনো পাচ্ছে না। ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কারো কারো বিরুদ্ধে প্রায় একযোগে ছাত্রীদের 'যৌন হয়রানি' করার অভিযোগ ওঠে। প্রতিটি ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় এমনভাবে সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে যে সাধারণ অভিভাবকদের মনে এই বিশ্বাস জন্মে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ নয়। সেই সময় মেয়েদের নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক অভিভাবক তাঁদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আরেকটি প্রলোভন ছিল তাঁদের সামনে (এখনো আছে); এবং তা হলো, নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন শেষ করার। কিন্তু নিশ্চয়তা ছিল না শিক্ষার মানের, বরং ছিল ব্যাপক শিক্ষাব্যয়ের অনিবার্যতা, অর্থাৎ প্রচুর টাকা খরচের। সেই সময় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হঠাৎ ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ মাস তিনেকের মধ্যে হঠাৎই থেমে যায়। হঠাৎ থেমে গেলেও সাধারণ অভিভাবকদের মনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়, তা কাটতে সময় লাগে। আর এরই সুবাদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরবর্তী কয়েক বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি করতে পারে। সেই সময় দোষ হয়তো কেউ না কেউ করেছিলেন, কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে গণহারে অভিযোগ!_অনেকের মনে সন্দেহও জাগে। এ সূত্র ধরেই কয়েক বছর পরে এ সম্পর্কে যে খবরটি বেরিয়েছিল, তাতে কিন্তু ছাত্র না পাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেই আঙুল ওঠে; এবং বলা হয়, এর অনেক কিছুই তাদের আয়োজন করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা দেশ এবং বিদেশ_দুই জায়গা থেকেই হতে পারে। আমি ইন্টারনেট থেকে যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করলাম, সেই নিরিখে যদি বলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান খাটো করে দেখানোর এ এক হীন চেষ্টা, তাহলে মোটেই বাড়িয়ে বলা হবে না। কারণ, বাংলাদেশিদের মধ্যে সচেতন যে কেউ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকেই বলবেন, ইন্টারনেটে প্রদত্ত তালিকায় এমন কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আছে, যেগুলো কোনোভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে না। অতএব, কারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা করছেন, কেন সেই তালিকা করছেন, কিভাবে করছেন, কোন নিরিখে সেরা হিসেবে অভিহিত করছেন, সবার আগে এ প্রশ্নগুলোর সদুত্তর পাওয়া জরুরি।
লেখক : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
scpcdu@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.