কালের পুরাণ-আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমঝোতা কি সম্ভব? by সোহরাব হাসান

রাজনীতি নিয়ে আলোচনা এলেই যে প্রশ্নটি বড় হয়ে ওঠে, তা হলো: রাজনীতিতে কি সুস্থধারায় ফিরে আসবে না? সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে এই অসুস্থ লড়াই কি চলতেই থাকবে? মত ও পথের পার্থক্য সত্ত্বেও দেশের দুটি প্রধান দলের মধ্যে ন্যূনতম কর্মসম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে না? নেতা-নেত্রীরা কি একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়াতে থাকবেন? তাঁরা কি নতুন প্রজন্মের কাছে এর চেয়ে ভালো কোনো দৃষ্টান্ত রেখে যাবেন না?


রাজনীতিতে আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন চলমান, সেগুলো হলো: আগামী নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হবে কি না? না হলে কী হবে? হলেও কীভাবে হবে? সেই নির্বাচনের সময় কোন ধরনের সরকার ক্ষমতায় থাকবে? আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার, নাকি বিরোধী দলের দাবি অনুযায়ী নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার? আবার কেউ কেউ তৃতীয় বিকল্পের কথাও বলছেন। সম্প্রতি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথম অলোয় একটি লেখায় গণভোট করা কিংবা সরকার ও বিরোধী দলের সাংসদদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আগেও কেউ কেউ অনুরূপ প্রস্তাব দিয়েছেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসার ওপর জোর দিয়েছেন। আমাদের রাজনীতিতে বৈরিতা ও সংঘাত যত বাড়তে থাকবে, তত বিদেশি বন্ধুদের পরামর্শও জোরালো হতে থাকবে।
সরকার আদালতের যে রায়ের আলোকে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিল, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক সেই রায় লেখার কাজটি শেষ করেছেন বলে পত্রিকায় খবর বের হয়েছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা হলেই যে সমস্যার সমাধান হবে, তা নয়। রায় যার বিপক্ষে যাবে, তিনি মানবেন না। খায়রুল হক সম্পর্কে বিএনপি তো সাফ কথা জানিয়েই দিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক হলেও তাঁকে মানবে না। আদালতের রায়ের আদেশ অংশে বলা হয়েছিল, ‘অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানের মূল নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অতএব এটি অবৈধ। তবে বাস্তব অবস্থার কারণে দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা চালু রাখা যেতে পারে। ক্ষমতাসীনেরা রায়টি তাঁদের মতো করেই গ্রহণ করেছেন। দুই মেয়াদের সাময়িক ব্যবস্থা আর রাখেননি।
সমস্যাটি যতটা না সাংবিধানিক, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। আস্থা-অনাস্থার। একদা যে আস্থার সংকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অনিবার্য করেছিল, সেই আস্থার সংকটই আবার এটিকে বিতর্কিত করেছে। আমাদের রাজনীতিকেরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করছেন না; এমনকি নিজের দলের লোককেও যে তাঁরা বিশ্বাস করেন না, তার প্রমাণ ১/১১-এর পরের ঘটনা। যেখানে সর্বত্র অবিশ্বাসের রাজনীতি চলছে, সেখানে গণতন্ত্র চলতে পারে না। সংসদও কার্যকর হতে পারে না।
দেশের রাজনীতি এখন দুটি ধারায় বিভক্ত—এক দিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল, যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে; অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট, যারা নিজেদের জাতীয়তাবাদী ও ইসলামি মূল্যবোধের শক্তি বলে দাবি করে। এই দুই পক্ষের মধ্যে যেমন ক্ষমতার লড়াই আছে, তেমনি ক্ষীণধারায় হলেও একটি আদর্শগত দ্বন্দ্ব আছে। আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে দলীয় নীতি হিসেবে নিয়েছে, বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম বহাল রেখেই। বিএনপি বিশ্বাস করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ (কারও কারও মতে, এটি জাতীয়তাবাদের ছদ্মাবরণে সাম্প্রদায়িকতা) ও ইসলামি মূল্যবোধে। তবে আওয়ামী লীগের প্রধান মিত্র জাতীয় পার্টিও একই নীতিতে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের বামপন্থী মিত্ররা নিজেদের স্বাতন্ত্র্য যেখানে প্রায় মুছে ফেলছে, বিএনপির ডানপন্থী মিত্ররা দলটির ওপর তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে। দুটোই মহাবিপজ্জনক।
রাজনীতির কুশীলবেরা নিজেদের স্বার্থরক্ষায় বরাবর আদর্শের নামাবলি পরলেও তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন না। যে কারণে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আমরা দলবদল ও জোটবদলের মহড়া লক্ষ করি। যে কারণে একদা খাঁটি মুসলিম লীগ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান (যেমন বিচারপতি নূরুল ইসলাম), আবার আওয়ামী লীগের লক্ষ্যচ্যুত নেতা বিএনপির মহাসচিব পদে বরিত হন (যেমন ওবায়দুর রহমান)।
স্বাধীনতার অব্যবহিত পর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসে একটি অংশ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে গঠন করেছিল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। এই দলের প্রথম সারির নেতাদের প্রায় সবাই ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক ভাবশিষ্য। কেন সেদিন জাসদ গঠিত হয়েছিল, কেন তারা বিপ্লবের নামে শেখ মুজিব সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা চালিয়েছিল, তার ব্যাখ্যা নেই। ব্যাখ্যা নেই স্বাধীনতার পর ক্ষমতাসীন দলটির অসহিষ্ণু ও অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের। ব্যাখ্যা নেই স্বাধীনতার অব্যবহিত পর হঠাৎ গোপন রাজনৈতিক দলগুলোর আকস্মিক উত্থানেরও। ফলে দেশজুড়ে তৈরি হয় অস্থির ও অনিশ্চিত পরিস্থিতি, যার সুযোগে প্রতিবিপ্লবী শক্তি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে, জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করে। আমরা একাত্তরে জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য পাকিস্তানিদের অভিযুক্ত করি, কিন্তু স্বাধীনতার পর যে ক্ষমতার লড়াইয়ে দুজন রাষ্ট্রপতি, চার জাতীয় নেতা ও চার সেক্টর কমান্ডারকে হত্যা করলাম, এর কৈফিয়ত কী?
যে প্রতিবিপ্লবী শক্তি ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তারা ক্ষমতা স্থায়ী করতে না পারলেও তাদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি গণবিরোধী নীতি ও আদর্শকেও সাদরে গ্রহণ করেছেন পরবর্তী শাসকেরা। এ ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। বিদেশি দূতাবাসে খুনিদের চাকরি দেওয়া কিংবা সসম্মানে দেশে এনে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করার কাজটি করেছেন দুই সেনাশাসকই; যদিও এরশাদ এখন আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অংশীদার। দুই সেনাশাসকই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নানা অপকৌশল নিয়েছিলেন, বিরোধী দলের নেতাদের ভাগিয়ে আনতে গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর খুনি সৈয়দ ফারুক রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করার সাহস দেখিয়েছিলেন এরশাদ, জিয়া নন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পঁচাত্তরের খুনিদের পুনর্বাসনের জন্য জিয়া ও খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করলেও এরশাদকে জোটে রেখেছেন। এই স্ববিরোধিতা আমাদের রাজনীতির বড় সংকট।
মানুষ আশা করেছিল, নব্বইয়ের স্বৈরাচারের পতনের পর রাজনীতিতে সুস্থধারা ফিরে আসবে, হিংসা ও বিদ্বেষের অবসান হবে। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় ফিরে আসায় সেই সুযোগটি আরও বেড়েছিল। কেননা, খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনার অতীতের দায়ভার ছিল না। তাঁরা রাজনীতিতে এসেছেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তাঁদের ঐক্যই নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানকে সফল করেছিল। একানব্বইয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে পঁচাত্তর-পরবর্তী ও পঁচাত্তর-পূর্ববর্তী বিভাজনটি রাজনীতির প্রধান দ্বন্দ্ব হয়ে থাকত। কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষমতারোহণ সেই দ্বন্দ্বকে কিছুটা পেছনে ফেলে দিয়েছিল। শেখ হাসিনা সেই নির্বাচন সম্পর্কে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ আনলেও সংসদ কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিলেন। দুই প্রধান দল একযোগেই দ্বাদশ সংশোধনী পাস করেছিল, যার মূলকথা ছিল কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান। প্রথম দুই-আড়াই বছর সেই সংসদ প্রাণবন্ত ছিল সরকার ও বিরোধী দলের সাংসদদের আনাগোনায়। কিন্তু সবকিছু ওলটপালট করে দেয় মাগুরার উপনির্বাচন এবং একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান। পরবর্তী ১৫-১৬ বছর গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা থাকলেও দুই দলই রাজপথে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে জাতীয় সংসদকে পেছনে ফেলে। ক্ষমতাসীনেরা যেমন সবকিছু নিজেদের দখলে রাখতে চেয়েছেন, এখনো চাইছেন। বিরোধীরা সবকিছুতে সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এখনো নিচ্ছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে বৈরিতা ও বিদ্বেষ চলছে, তার প্রথম উৎস পঁচাত্তরের বিয়োগান্তক ঘটনা হলেও দ্বিতীয় উৎস বিগত ও বর্তমান সরকারের বিরোধী দলের প্রতি বৈরী ও হিংসাশ্রয়ী আচরণ। বিশেষ করে, ২০০১ সালে নির্বাচনের জয়ী দলটি যেভাবে সংখ্যালঘু ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তার নজির কোনো গণতান্ত্রিক দেশে নেই। তারও আগে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে ফ্রাংকেনস্টাইন রাজনীতি চালু করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় এসে তার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটিয়ে সারা দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দিয়েছিল। জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে বিএনপির কোনো কোনো প্রভাবশালী নেতার সংস্রব ও সহযোগিতার বিষয়টি এখন আর গোপন নয়। তৎকালীন সরকার এই জঙ্গিবাদ তথা জেএমবির সন্ত্রাসী তৎপরতাকে নানাভাবে উসকে দিয়েছে। ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা, কিবরিয়া কিংবা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার সঙ্গে বিএনপি ও চারদলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকাই প্রমাণ করে তাঁরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে চেয়েছিল। বিএনপির সরকার এই হত্যার বিচার না করে মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে। তবে এ কথাও ঠিক, বিএনপির সব নেতা-কর্মী এই ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি থাকতে পারেন না। এখন বিএনপিরই উচিত সে সময়ে এসব সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে দলের যেসব নেতা-কর্মী জড়িত ছিলেন, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা। প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার কুশীলবদের সঙ্গে, জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সব ধরনের সংস্রব ত্যাগ করা। সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে একটি ন্যূনতম কর্মসম্পর্ক বা সমঝোতা গড়ে উঠতে পারে।
একটি রাজনৈতিক দল কখন সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে হাত মেলায়—যখন জনসমর্থন কমে যায়, যখন জনগণের প্রতি তারা আস্থা হারিয়ে ফেলে। আর তখনই অস্ত্রের ওপর আস্থা রাখে। বাংলাদেশে যাঁরা ইতিপূর্বে ক্ষমতায় এসেছেন, যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের সবার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, মাস্তানি ও দলবাজির প্রমাণ আছে। কিন্তু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করে দেওয়ার ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটেনি। বিএনপি নেতৃত্বকে বুঝতে হবে, ২১ আগস্টের হোতা কিংবা তাদের রক্ষাকারীদের দলে রেখে কিংবা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে সমঝোতা হবে না। গণতন্ত্র এগোবে না। সমঝোতা হবে না যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিলেও।
আর আওয়ামী লীগের উচিত হবে দলের শাসন কায়েম না করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। রাষ্ট্র পরিচালনার বিরোধী দলের যেটুকু ভূমিকা তা পালন করতে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, তারাও একসময় বিরোধী দলে ছিল। তারা তখন সরকারের কাছে যে ধরনের আচরণ আশা করত, এখন তাদের কাছে বিরোধী দল সেই ধরনের আচরণই আশা করে। এ কথার অর্থ এই নয় যে অতীতের অপরাধের বিচার হবে না। বিচার অবশ্যই হবে।
৪০ বছর পেরিয়ে এসেও বাংলাদেশের রাজনীতি গণতান্ত্রিক ধারায় স্থিত হতে পারেনি। কেন পারেনি, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে নেতা-নেত্রীদেরই। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সুস্থ পথে নিয়ে আসতে হলে অতীতের বৃত্ত থেকে দুটি দলকেই বেরিয়ে আসতে হবে।
বিদ্বেষ নয়, ঘৃণা নয়, সহিষ্ণুতা ও সমঝোতাই গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। আর প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশকে ঠেলে দেবে মহা সংঘাতের দিকে, ডেকে আনবে মহা মানবিক বিপর্যয়।
জনগণ সেই বিপর্যয় চায় না। আপনারা কী চান?
 সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net

No comments

Powered by Blogger.