ইরানের বিরোধী গোষ্ঠীকে কালো তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সন্ত্রাসী কালো তালিকা থেকে ইরানের বিরোধী গোষ্ঠী মুজাহিদিন-ই-খালাককে (এমইকে) বাদ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গত শুক্রবার এ ব্যাপারে কংগ্রেসে মতামত পেশ করেছেন। মার্কিন আইনপ্রণেতারা এ কথা জানিয়েছেন।


তবে কংগ্রেসকে কী সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন হিলারি, তা জানা না গেলেও ইতিবাচক সিদ্ধান্তই আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগে ক্ষুব্ধ হবে ইরান।
মার্কিন একটি আপিল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে এমইকে-কে কালো তালিকাভুক্ত রাখা না-রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর বাধ্যবাধ্যকতা ছিল হিলারির। গত জুনে আদালত এ আদেশ দেন। ইরান থেকে বিতাড়িত প্যারিসভিত্তিক এ গোষ্ঠীটি পিপলস মুজাহিদিন অর্গানাইজেশন অব ইরান (পিএমওআই) নামেও পরিচিত। ১৯৯৭ সালে এদের 'বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর' তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাম ঘরানার এ গোষ্ঠীটি কালো তালিকা থেকে নিজেদের নাম মুছতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড শুক্রবার হিলারির মতামত জানানোর ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। কংগ্রেসের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্য টেড পো এমইকের পক্ষে নিজের সমর্থনের কথা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন, 'হিলারির সিদ্ধান্ত গোষ্ঠীকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে হবে।' রিপাবলিকান এই আইনপ্রণেতা বলেন, 'এমইকে সহিংসতার পথ ছেড়ে দিয়েছে অনেক আগে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা ইরানের অভ্যন্তরীণ তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন গোয়েন্দাদের সঙ্গে কাজ করছে।' গত শতকের ষাটের দশকে আত্মপ্রকাশ করা এমইকে ইরানের তৎকালীন শাহ শাসনের বিরোধিতা করে। পরে ১৯৯৭ সালে ইসলামিক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও গোষ্ঠীটি তা মেনে নিতে পারেনি। ধর্মগুরুদের নতুন এ শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেয় তারা। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, সত্তরের দশক থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এমইকের সদস্যরা সাধারণ ইরানিদের পাশাপাশি মার্কিন সেনাদেরও হত্যা করেছে।
২০০৮ সালের জুনে এমইকে-কে নিজেদের কালো তালিকা থেকে বাদ দেয় ব্রিটেন। পরের বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই পদক্ষেপ নেয়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.