নিরাপত্তা-'আমেরিকার বন্ধুর দ্বিতীয় শত্রুর প্রয়োজন নেই' by এমএম আকাশ

এশীয় শতাব্দীর স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে এই সেতুবন্ধকে ধ্বংস করে দিতে চাইবে, সেটা স্বাভাবিক। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের রয়েছে সমুদ্রে বিপুল যোগাযোগ। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে সহজেই এখান থেকে যোগাযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।


তা ছাড়া বঙ্গোপসাগরের যে অংশ বাংলাদেশ সরকার সম্প্র্রতি মামলা করে দখলে এনেছে সে অংশে সম্ভবত রয়েছে জ্বালানিসহ খনিজসম্পদের ভাণ্ডার

অর্ধশত বছরেরও আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ছিলেন নগো দিন দিয়েম। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বলা যায় দহরম-মহরম সম্পর্ক। কিন্তু একসময় দু'পক্ষে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় এবং দিয়েমকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রই ছিল চক্রান্তের মূলে, এমন বদ্ধমূল ধারণা থেকে মাদাম দিয়েম প্রকাশ্যে একটি মন্তব্য করেন, যা পরে বারবার উদ্ধৃত হচ্ছে_ 'আমেরিকার বন্ধুর দ্বিতীয় শত্রুর প্রয়োজন নেই।' ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, এ উক্তি বিশ্বের অনেক দেশে বিভিন্ন সময় সত্য প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পাকিস্তানের আর কে বড় বন্ধু ছিল? এখন দেখুন, বহুল পরিহিত ছেঁড়া জামার মতো পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আর পাকিস্তানের 'চিরশত্রু' ভারতের সঙ্গে গড়ে তুলেছে স্ট্র্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিংপং কূটনীতির সুবাদে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক ধরনের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। এখন চীনই হচ্ছে বিশ্বের উদীয়মান এক নম্বর অর্থনীতির দেশ। বিখ্যাত ইকোনমিস্ট পত্রিকার ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, চলতি শতাব্দী হবে এশিয়ার এবং এর নেতৃত্ব দেবে চীন ও ভারত।
স্বভাবতই যুক্তরাষ্ট্র্রের চোখে ঘুম নেই। ঠাণ্ডা যুদ্ধ-পরবর্তীকালে বিশ্বে একাধিপত্যের যে স্বপ্ন তারা লালন করছে, তা যাতে কিছুতেই হারিয়ে না যায় এ জন্য অর্থনৈতিক শক্তিতে পরাজিত হলেও প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য কি বারাক ওবামা, কি জর্জ বুশ জুনিয়র_ দু'জনেই একমত এবং সক্রিয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, তখন তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়ন পেনেট্টা জানিয়ে দিলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় তারা নতুন করে তৎপর হবেন। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় নিজ শিবিরভুক্ত ক্লায়েন্ট দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র্র সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছিল। পরবর্তীকালে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, ঘাঁটি করলে সেটা নিয়ে ক্লায়েন্ট দেশগুলোতে নানা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। সুতরাং আন্তর্জাতিক জলপথে যদি ভাসমান নৌঘাঁটি স্থাপন করা যায়, তাহলে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বজায় থাকবে এবং তাকে ভিত্তি করে সামরিক শক্তির উপস্থি্থতি ও নিয়ন্ত্রণও নিশ্চিত হবে। এ জন্য বিমানবাহী রণতরী বহর তারা গড়ে তোলে। বাংলাদেশের জনগণ যুক্তরাষ্ট্র্রের সপ্তম নৌবহরের সঙ্গে পরিচিত। এই সপ্তম নৌবহরকেই সেন্ট্রাল প্যাসিফিক ওসেন (জাস্ট ওয়েস্ট অব হাওয়াই) থেকে ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান ওসেন (ইস্ট কোস্ট অব আফ্রিকা) পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় দুই মহাসমুদ্র চওড়া এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই সপ্তম নৌবহরে রয়েছে ক্যারিয়ার স্ট্র্রাইক গ্রুপ-১। এর অধীনে রয়েছে অনেক বোমারু বিমান ওঠানামার সুবিধাসহ দুটি গাইডেড মিসাইল ত্রুক্রজ, ৫টি ডেস্ট্রয়ার এবং সম্ভবত সমুদ্রের তলে এদের রক্ষার জন্য রয়েছে অ্যাটমিক সাবমেরিন। এ বহরে প্রায় ৬০ হাজার নৌ ও মেরিন সৈন্যও রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটেই যুক্তরাষ্ট্র্রের নতুন স্টেনগান_ ঘাঁটি নয়, চাই সামরিক উপস্থিতি এবং বর্ধিত নিয়ন্ত্রণ পরিধি। এ ধরনের ব্যবস্থা যে কোনো সংকটকালে যে কোনো জায়গায় যুদ্ধের সময় খুব সহজেই কাজে লাগানো যায়। ইরাক যুদ্ধের সময় তাই দেখি সপ্তম নৌবহর খুব সহজেই চলে গেল পারস্য উপসাগরে। অর্থাৎ ঘাঁটি নয়, চলন্ত ঘাঁটিই এখনকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সময়োপযোগী প্রতিরক্ষা কৌশল। অতএব যখনই পেনেট্টা বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র নৌশক্তির ৬০ শতাংশ (এখন রয়েছে ৫০ শতাংশ) মোতায়েন করব, তখন আশপাশের সব দেশকে এই নতুন অশনিসংকেতে জেগে ওঠার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের তো বটেই।
এর কারণ অনেক। আমাদের রয়েছে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত। সম্প্র্রতি ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি হয়েছে। মিয়ানমারও দীর্ঘদিন চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের ঐতিহ্যের পর সম্প্রতি কিছুটা সংস্কারের পথ ধরেছে। তাদের রয়েছে চীনের সঙ্গে সীমান্ত। মিয়ানমারের ভেতর দিয়ে চীনের কুনমিং এলাকা থেকে চট্টগ্রামে আসা খুবই সহজ। এশীয় হাইওয়ে সে ব্যবস্থা অচিরেই করে দেবে। আর সোনাদিয়ায় যদি চীনের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করতে পারে তাহলে চীনের সঙ্গে আমাদের দেশের ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভ্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং ভূরাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেতুবন্ধ।
এশীয় শতাব্দীর স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে এই সেতুবন্ধকে ধ্বংস করে দিতে চাইবে, সেটা স্বাভাবিক। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের রয়েছে সমুদ্রে বিপুল যোগাযোগ। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে সহজেই এখান থেকে যোগাযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। তা ছাড়া বঙ্গোপসাগরের যে অংশ বাংলাদেশ সরকার সম্প্র্রতি মামলা করে দখলে এনেছে সে অংশে সম্ভবত রয়েছে জ্বালানিসহ খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কনোকো ফিলিপস এ অঞ্চলে দুটি ব্লকের অনুসন্ধান ও উত্তোলনকাজ পেয়েছে। আরও ব্লক হস্তগত করার জন্য নানা রকম কূটনৈতিক তৎপরতা ও চাপ প্রয়োগও করা হচ্ছে প্রকাশ্যেই। পুরো বঙ্গোপসাগরের সম্পদভাণ্ডারের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে নিজের পক্ষপুটে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার সক্রিয় রয়েছে। অতি সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনেক দিন ধরে একটি 'দৃঢ় ও অগ্রসরমান' প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিদ্যমান। এর অধীনে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা রক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র্র। পাশাপাশি মজিনা এটাও বলেছেন, 'নিরীহ' প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাও তাদের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের সঙ্গে নানা গোপন চুক্তি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র্রের_ এমন অভিযোগ সুধী মহল করছে। যেসব চুক্তির কথা শোনা যায়_ সোফা, হানা, টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তি, টিফা, টিকফা ইত্যাদি। এসব চুক্তির কোনো কোনোটি ইতিমধ্যে সম্পাদিত হয়েছে এবং কোনোটি প্রক্রিয়াধীন। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, 'বিদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে এবং রাষ্ট্র্রপতি তাহা সংসদে পেশ করিবেন', তথাপি আজ পর্যন্ত এসব চুক্তির সব ধারা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি, এমনকি সংসদেও নয়।
বাংলাদেশের সামনে এখন সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন_ চীনকে দমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূরাজনৈতিক কৌশলে বাংলাদেশ কি মিত্র হিসেবে অংশ নেবে? আর যদিও যুক্তরাষ্ট্র্র ভারতের সঙ্গে নানা স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্বের চুক্তি করেছে, এরপরও বিভিন্ন সূত্রে দেখা যায় চীনের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান। বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের মোট জনসংখ্যা আড়াইশ' কোটিরও বেশি। অর্থাৎ এ অঞ্চল একটি সুবিশাল বাজার। এ বাজারে যারা ব্যবসা করবে তারা যদি শান্তিপূর্ণ সহযোগিতার নীতি গ্রহণ করে তাহলে এ শতাব্দী হবে তাদের শতাব্দী। এমনকি পশ্চিমাদের কট্টর রক্ষণশীল পত্রিকা ইকোনমিস্টের মতে, আগামী শতাব্দী হবে অর্থনৈতিকভাবে চীন ও ভারতের। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তথা পশ্চিমা অর্থনৈতিক শক্তি ক্রমহ্রাসমান। পক্ষান্তরে চীন, ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল_ এসব দেশের অর্থনৈতিক শক্তি ক্রম-অগ্রসরমান। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্র্রের অর্থনৈতিক আধিপত্যই শুধু বিপন্ন হবে না, সামরিক আধিপত্যও কাজে আসবে না। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রয়োজন মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়ার তেল-গ্যাসসম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ। এ জন্য আফগানিস্তান ও ইরাকে আগ্রাসী সামরিক অভিযান পরিচালনাসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে নানাভাবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টির পরিকল্পনা তারা গ্রহণ করেছে। কিন্তু এরপরও তেল ও গ্যাসসম্পদের অধিকারীদের চীন-ভারত বা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে বাধা দিতে সক্ষম হচ্ছে না তারা। বিশেষত ইরান এবং লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার অনেক দেশের সঙ্গে চীনের জ্বালানিসম্পদ আহরণ ও বাণিজ্যের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
চীন বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল ব্যবহারকারী এবং তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক। চীনের তেল আমদানির বেশিরভাগই (কারও কারও মতে ৮০ শতাংশ) হয় ভারত মহাসাগরের জলপথে। আফ্রিকার বন্দর সুদান থেকে শুরু করে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত যে জলপথে এই তেল আমদানি হয় তাতে অনেক রণনীতিগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রয়েছে। যেমন_ মান্ডাব প্রণালি, মালাক্কা প্রণালি, হরমুজ প্রণালি এবং লমবক প্রণালি। এ পথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পাকিস্তান, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ এবং সোমালিয়ার ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্র্রের কাছে অপরিসীম। চীন স্বাভাবিকভাবেই এসব দেশে তার প্রভাব ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে যে কৌশল নিয়েছে তা হচ্ছে বন্দর নির্মাণে অর্থায়ন। ইতিমধ্যে পাকিস্তানে গোয়ারদার বন্দর তারা নির্মাণ করেছে। শ্রীলংকায় নির্মাণ করেছে হামবানটোটা বন্দর। বাংলাদেশের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে সহায়তার প্রস্তাবের কথা আগেই উল্লেখ করেছি।
যুক্তরাষ্ট্র এসব পদক্ষেপ ভালো চোখে দেখছে না। আমরা ২০০৫ সালের ১৭ জানুয়ারি ওয়াশিংটন টাইমস কর্তৃক প্রকাশিত তদানীন্তন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রামসফেল্ডের একটি গোপন দলিলের কথা বলতে পারি।
'এনার্জি ফিউচারস ইন এশিয়া' শীর্ষক এ দলিলে প্রথম দাবি করা হয়, ‘China is building strategic relations along the sea from the middle east to the South China sea in ways that suggests not only defensive and offensive positioning to protect China’s energy interest, but also to serve broad security objectives.’

এ দলিলেই চীনের এই সমুদ্রপথের আকৃতিকে স্ট্রিং অব পার্লস বা মুক্তার মালা হিসেবে নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশ এই মুক্তার মালার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। তাই মুক্তার হারকে ছিন্নভিন্ন করতে হলে যুক্তরাষ্ট্র্রকে বাংলাদেশের সহযোগিতা আদায় করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশকে অবশ্যই জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র্রের স্বার্থে আরেকটি পাকিস্তানে পরিণত হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

ড. এমএম আকাশ : রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
 

No comments

Powered by Blogger.