মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা-মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হবে না?

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পান্তাপাড়া এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটেছে নির্মাণাধীন সেতুর পাশে গড়ে তোলা বিকল্প পথে চলার সময়। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই বরিশালগামী বাসটির চালক ত্রুটিপূর্ণ বিকল্প রাস্তায় ধীরগতিতে গাড়িটি চালালে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের ডোবায় হয়তো পড়ে যেত


না। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল এবং ছাদেও তাদের বহন করা হয়। নিহতদের বেশিরভাগই ছাদে ছিল বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা গাড়ির নিচে চাপা পড়েন। দূরপাল্লার বাসে এভাবে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার দায়দায়িত্ব অবশ্যই চিহ্নিত হতে হবে এবং শাস্তিও নিশ্চিত করা চাই। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। বলা হয়, সবচেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ দেশের তালিকার ওপরের দিকে বাংলাদেশের অবস্থান। কিন্তু এ অপরাধের জন্য শাস্তি হয়েছে, এমনটি শোনা যায় কম ক্ষেত্রেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রাস্তা সংস্কার না হওয়া, বেপরোয়া গাড়ি চালনা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা এবং ত্রুটিপূর্ণ যান দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মহল একটু সতর্ক হলেই এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে। দক্ষ চালকের হাতেই গাড়ির স্টিয়ারিং দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো মহলের চাপের কাছে নতিস্বীকার করা মানেই দুর্ঘটনা চালিয়ে যাওয়ার লাইসেন্স প্রদান। একইসঙ্গে সড়ক পথ থেকে লক্কড়মার্কা গাড়িগুলোকে চিরকালের জন্য বিদায় করার ব্যবস্থা করা চাই। মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারালেন তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষাই যথেষ্ট নয়। আমরা স্বজনহারাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়াও জরুরি এবং সরকার ও সংশ্লিষ্ট পরিবহন কোম্পানি ভাগাভাগি করে এর ব্যয় বহন করতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.