৩৫ বছরের পুরনো ব্যাংকটি সরাবেন না by মোঃ আবদুর রউফ

রংপুর জেলার সদর উপজেলাধীন ৯নং সদ্যপুস্করণী ইউনিয়ন অতিপ্রাচীনকাল থেকেই একটি সমৃদ্ধ জনপদ। পালিচড়াহাট এই ইউনিয়নের কেন্দ্রে সাতটি সড়কের মিলনস্থলে অবস্থিত। অবস্থানগত কারণে এই হাটের গুরুত্ব বেড়েছে।


এখানে স্থাপিত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, ডাকঘর, গ্রামীণ ব্যাংকের শাখাসহ সরকারি-বেসরকারি ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখন পালিচড়াহাটে স্থাপিত হয়েছে আশা, রেসকিউ, এসকেএস, এসোড, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন এনজিও অফিস। প্রগতি ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিও অফিস খুলেছে। হাটের নিকটবর্তী স্থানে স্থাপিত হয়েছে সরকারি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, মহিলা মহাবিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, পাবলিক স্কুল, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ দুটি কোল্ডস্টোরেজ, তিনটি ইটভাটা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস। বর্তমানে এখানে গ্রামীণফোনের একটি টাওয়ার স্থাপনের কাজ চলছে। শিক্ষা-দীক্ষার অগ্রগতির কারণে এ অঞ্চলের প্রচুর মানুষ দেশ-বিদেশে কর্মরত আছে। এক কথায় পালিচড়াহাট এ এলাকার অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। প্রায় ৩৫ বছর আগে এলাকাবাসীর ঐকান্তিক চেষ্টায় স্থাপিত হয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সদ্যপুস্করণী শাখা। সবার ব্যাংকিং লেনদেনে কৃষি ব্যাংকের শাখাটিই একমাত্র ভরসা। অবস্থানগত কারণে ইউনিয়নের কেন্দ্রে অবস্থিত কৃষি ব্যাংকের সুবিধা এলাকাবাসী ভোগ করে আসছেন। ব্যাংকটি এখন পূর্বের একতলা ভবন থেকে বাজারের পাশে ইউনিয়ন পরিষদের নিরাপদ দ্বিতল ভবনে স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে ব্যাংকটি ইউনিয়নের এক প্রান্তে ভুরঘাটে স্থানান্তরের পরিকল্পনা চলছে। ভুরঘাট এ ইউনিয়নের সব গ্রাম থেকে দূরে, সে অঞ্চলে জনবসতি ঘন নয় বলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যাও রয়েছে। কিন্তু অজানা কারণে কৃষি ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা ব্যাংক স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। আমরা মনে করি, পালিচড়াহাট থেকে ব্যাংকটি সরানো কোনোভাবেই উচিত হবে না। এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ৎ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ৯নং সদ্যপুস্করণী ইউনিয়ন পরিষদ, সদর, রংপুর
 

No comments

Powered by Blogger.