গণতন্ত্র বিকাশের প্রশ্নে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বলতা by মোহাম্মদ মতিন উদ্দিন

সরকারের একটি কাজে একধাপ অগ্রগতি হয়েছে। ক্রসফায়ার থেকে গুপ্তহত্যার পথে তারা এগিয়েছে—এটাকে একধাপ অগ্রগতি বললে মনে হয় ভুল কিছু বলা হবে না। ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৯ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশে এখন ক্রসফায়ার বন্ধ রয়েছে। কিন্তু চালু হয়েছে ‘গুপ্তহত্যা’।

এখন প্রায়ই দেশের বিভিন্ন এলাকায় রহস্যজনক গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের পরিবারের অভিযোগ, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুঁজি করেও আত্মীয়স্বজন তাদের কোনো খোঁজ পায় না। এ অবস্থায় কয়েকদিন পর তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ কখনও রাস্তার ধারে, কখনও ঝোপের পাশে কিংবা ডোবায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। কারও কারও লাশ অজ্ঞাত হিসেবেও উদ্ধার হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা ক্রসফায়ারের নতুন স্টাইল। সম্প্রতি সাতক্ষীরার কৃষক নেতা সাইফুল্লাহ লস্কর গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর কৃষক সংগ্রাম পরিষদের নেতারা যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ক্রসফায়ারের বিকল্প হিসেবে সরকার গুপ্তহত্যা চালু করেছে (সূত্র : ‘আমার দেশ’ ২৮ ডিসেম্বর, ২০০৯)।
গুপ্তহত্যার শিকার যারা হয়েছেন তাদের মধ্যে গত ২৩ ডিসেম্বর খুলনার মংলায় হোটেল পারিজাতের পার্শ্ববর্তী কাশবনের ভেতর থেকে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধের আঞ্চলিক প্রধান শহীদুল ইসলাম শহীদের (৩৮) গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তার বুকে ৩টি বুলেট বিদ্ধ ছিল। কয়েক দিন আগে সাদা পোশাকের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়।
৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার কৃষক আন্দোলনের নেতা সাইফুল্লাহ লস্করের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালায়। এরপরই তার লাশ পাওয়া যায় বাড়ির পাশে। তার গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল।
২০ নভেম্বর মিরপুরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থার সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ রাজুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের পেছনে একটি স্কুলের পাশের খালি জমিতে ঝোপের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার মাথায় গুলির চিহ্ন ছিল।
১০ অক্টোবর, ২০০৯ মতিঝিল ব্রাদার্স ক্লাব মাঠ থেকে মোসলেহ উদ্দিন ওরফে শাহীন চৌধুরী নামে এক ফিলিং স্টেশন ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। র্যাব, থানা, ডিবি অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও কোনো খোঁজ না পেয়ে শাহীনের স্ত্রী প্রিয়া মতিঝিল থানায় জিডি করেন। জিডিতে বলা হয়, তার স্বামী শাহীন চৌধুরী গত ১০ অক্টোবর বিকালে জগিং করার জন্য মতিঝিলের ব্রাদার্স ক্লাব মাঠে যান। সেখানে একটি মাইক্রোবাসযোগে কে বা কারা তাকে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ব্রাদার্স ক্লাবে গেলে উপস্থিত লোকজন জানায়, র্যাব পরিচয়ে একটি সাদা মাইক্রোবাসে ৬-৭ জন সশস্ত্র যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। শাহীন চৌধুরীকে আটকের বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা স্বীকার করেনি। পরে গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি মাঠ থেকে মোসলেহউদ্দিন ওরফে শাহীন চৌধুরীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের ত্রাস হিসেবে পরিচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফাজ্জল বাহিনীর প্রধান তোফাজ্জলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয় ২৩ অক্টোবর। তার আত্মীয়স্বজন অভিযোগ করেছেন, ২১ অক্টোবর ঢাকার তাঁতীবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সাদা পোশাকের ব্যক্তিরা তাকে আটক করে। এরপরই নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এলাকা থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তোফাজ্জলের আত্মীয়দের অভিযোগ, তাকে ক্রসফায়ারের মতোই ‘গুপ্তহত্যা’ করা হয়েছে।
ঘটনাক্রমে দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক কর্মী, ব্যবসায়ী, পরিচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অনেকেই এ গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছেন। গুপ্তহত্যার এ বিষয়টি নিয়ে এখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো কথা বলেননি, তবে তিনি বলেছেন, দেশে কোনো ক্রসফায়ার হচ্ছে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে কোনো ক্রসফায়ারই হয়নি। অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলার কয়েকদিন পরই র্যাবের মহাপরিচালক হাসান মাহমুদ খন্দকার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, গত এক বছরে র্যাবের ক্রসফায়ারে ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। লুত্ফর খালাসি ও খায়রুল খালাসিকে ক্রসফায়ারে দেয়ার পর ঘটনার পর দিনই আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে সুয়োমোটো রুল জারি করেন এবং সরকার ও র্যাবের কাছে জানতে চান লুত্ফর খালাসি ও খায়রুল খালাসির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন আইন বহির্ভূত হত্যা ঘোষণা করা হবে না।
সম্ভবত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারকে কেন্দ্র করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা ক্রসফায়ারে হত্যার বিষয়টিকে অস্বীকার করার প্রয়াস পাচ্ছেন। কেননা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা নামক অধ্যায়ের ৫.২-এ বলা হয়েছে, ‘বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হবে।’ নির্বাচনী এই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে নেয়া কষ্টকর। কিন্তু র্যাবের মহাপরিচালকের পক্ষে সেটা কষ্টকর নয়, কারণ এসব হত্যাকাণ্ড র্যাব সরকারি ইঙ্গিত ছাড়া সংঘটিত করেনি। র্যাব যদি স্বাধীনভাবে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকে তবে বলতে হবে, ‘এদেশে বিচার বিভাগের কোনো প্রয়োজন নাই।’ শুধু তাই নয়, একথাও বলতে হবে সামাজিক শৃংখলা রক্ষার জন্য সরকারি নির্দেশও এদেশে অপ্রয়োজনীয়, বিচারের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেবে র্যাব এবং পুলিশরা। এটা কি সম্ভব? বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে অস্বীকার করেন তাতে করে তার মন্ত্রিত্বের অস্তিত্বের বিষয়টিকেই তিনি যে অস্বীকার করে চলেছেন এটা মনে হয় তিনি এখনও বুঝে উঠতে সক্ষম হননি।
এখন ক্রসফায়ারের পরিবর্তে ‘গুপ্তহত্যার’ পথটি বেছে নেয়ায় বলতে হয় এটাই হচ্ছে এক ধরনের (বিগত এক বছরে) মহাজোট সরকারের অগ্রগতি। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ক্রসফায়ার, গুপ্তহত্যা এসব কার্যকলাপ গণতন্ত্র সম্মত নয়। অথচ যাদের নির্দেশে এসব সংঘটিত হচ্ছে তাদের মুখে সব সময় গণতন্ত্রের খৈ ফুটে। আমাদের সমাজে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের এ স্ববিরোধী অবস্থান কেন এবং কীভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের এই গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা যায় সেটাই হওয়া উচিত আলোচনার মুখ্য বিষয়।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে এক কথায় বলা যায় জনজীবনে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের অক্ষমতার প্রকাশ। মানুষের জীবনের বৈষয়িক আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করেই মানুষ সমাজে সক্রিয় হয়। এ আকাঙ্ক্ষা পরিপূরণের তাগিদ মানুষের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য। যে পরিবেশে সে বাস করে সেই পরিবেশের মধ্য থেকেই সে তার জীবন-জীবিকার পথ অন্বেষণ করে। সুস্থ-স্বাভাবিক পথে বেঁচে থাকার রাস্তার প্রাচুর্য বিদ্যমান থাকলে মানুষ অসুস্থ-অস্বাভাবিক পথে সাধারণত পা বাড়াই না। যখন এর ঘাটতি সৃষ্টি হয় তখন মানুষ ভিন্ন পথ অবলম্বন করে, যা সমাজের অনেকের কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। সমাজে যারা প্রতিষ্ঠিত তারা এ অস্বাভাবিক পথ অবলম্বনকারীদের নানা অভিধায় অভিহিত করে। কোনো শিশুই জন্মসূত্রে ক্রিমিনাল হয়ে জন্মায় না। শিশু যত বড় হতে থাকে সমাজকে সে তার মতো করে চিনতে শেখে এবং এই চিনতে শেখার প্রক্রিয়ায় সে তার জীবন-জীবিকার জন্য পছন্দমত পথ অবলম্বন করে অথবা কোনো সময় সমাজ প্রতিভূদের চাপে পড়ে সে ভিন্নপথে অগ্রসর হতে বাধ্য হয়। এভাবেই তার জীবন চলার পথে সে সক্রিয় হয়। গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের এ ক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে সমাজে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা যে পরিবেশ মানুষকে সুস্থ-স্বাভাবিক পথে বেঁচে থাকার বা জীবন-জীবিকা নির্বাহের বিষয়টিকে সহজসাধ্য করে তুলতে সক্ষম হয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধররা এ কাজটি করতে সক্ষম হলে তথাকথিত অস্বাভাবিক জীবন বেছে নেয়ার পথে মানুষ সাধারণ অর্থে অগ্রসর হবে না—এটাই স্বাভাবিক।
স্বাভাবিকভাবেই আমরা যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করি তাদের অবশ্যই দেশে গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা কাজ করে তার বিপক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করাটাই হয়ে যায় এক নম্বর কর্তব্য। কেননা, এ দুটি কাজের মধ্যে সমধর্মী সম্পর্ক বিদ্যমান। দেশে গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান তার সপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে যারা শুধু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করে, সময়ের ব্যবধানে এদের নীতিগত অবস্থানও পরিবর্তিত হয়ে যায়। যেমনটি হয়েছে বর্তমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের ক্ষেত্রে। এ কারণেই তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি তারা রক্ষা করতে পারছে না। সত্য ঘটনাকে গলার জোরে বা নানারকম কুযুক্তির মোড়কে অস্বীকার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে তারা আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করছে। শুরু থেকেই যাদের চরিত্রে গণবিরোধী মানসিকতা বিদ্যমান তাদের পক্ষেই এরকম ঘটনা ঘটানো সম্ভব।
আমাদের দেশে যেসব ব্যক্তি, কলামিস্ট, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করেন, মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কোণঠাসা করার বিরোধিতা করেন তাদের অবশ্যই দেশে গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা কাজ করছে তাকে সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করে তার অবসানের লক্ষ্যে জনমতকে সংগঠিত করতে হবে। আমরা এ কাজটি করার ব্যাপারে বুদ্ধিবৃত্তির দুর্বলতা লক্ষ্য করি। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান যদি হয় গণতন্ত্রের লক্ষ্য তাহলে এ প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের সরাসরি জনগণের কাছে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে যা করণীয় সেই প্রশ্নে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। শুধু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার হাতবদলের জন্য সোচ্চার হওয়া এক্ষেত্রে মোটেই কার্যকরী কোনো বিষয় নয়। বিগত ৩৯ বছরের হিসাব-নিকাশ করলেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বা গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে তা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। যারা এ বিষয়টিকে অস্বীকার করবেন সময়ের ব্যবধানে এদের নীতিগত অবস্থানও পরিবর্তিত হয়ে যেতে বাধ্য। গণতন্ত্রের প্রশ্নে সোচ্চার বুদ্ধিবৃত্তির সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে এ বিষয়টি যথাযথভাবে অনুধাবন করার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে দুর্বলতা বিদ্যমান। বুদ্ধিবৃত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের প্রশ্নে এ দুর্বলতা যদি আমরা কাটিয়ে উঠতে না পারি তবে আগামী দিনগুলো আমাদের সবার জন্যই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। জীবন-জীবিকা, ছেলেমেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষাসহ জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি এক করুণ অবস্থার মধ্যে নিপতিত হবে। বুদ্ধিবৃত্তির প্রশ্নে বিজাতীয় স্বার্থের তল্পিবাহক হয়ে নিজস্ব জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সন্ধান করলে গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপকে প্রতিরোধ করা যাবে না। বাংলাদেশের অস্তিত্ব তথা এদেশে গণতন্ত্র বিকাশের প্রশ্নে বুদ্ধিবৃত্তির দুর্বলতা পরিহার করে দৃঢ়চিত্তে দাঁড়ানোর সময় এখনই। এ উপলব্ধি যদি আমাদের মধ্যে এখনও না আসে তবে সামনে সমূহবিপদ, যে বিপদ থেকে ব্যক্তিজীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সন্ধানীরাও রেহাই পাবেন বলে আমার মনে হয় না। তাই বছরের শুরুতেই আহ্বান জানাই, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের প্রশ্নে বুদ্ধিবৃত্তির ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করে বিজাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে। এ কাজ বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিষয়টিকে শঙ্কামুক্ত করবে। আমরা এগিয়ে যাব।
লেখক : হড়গ্রাম বাজার, রাজশাহী কোর্ট, রাজশাহী

No comments

Powered by Blogger.