মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর নিয়োগ-বরখাস্তে এসইসির অনুমতি লাগবে

পুঁজিবাজারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ ও বরখাস্ত করতে এখন থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অনুমোদন লাগবে।
একই সঙ্গে এমডি ও সিইওর ক্ষমতার কী হবে, তা-ও এসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ঠিক করতে হবে। গতকাল বুধবার কমিশন সভায় এ-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে তা এখনো গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়নি।
একই সভায় মিউচুয়াল ফান্ড-সংক্রান্ত দুটি আবেদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফান্ড দুটি হলো এল আর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ড-১ এবং এবি ব্যাংক প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে গতকালের সভায় কমিশন এল আর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রসপেক্টাস এবং এবি ব্যাংক প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের আকার পুনর্নির্ধারণের অনুমোদন দেয়।
সভা শেষে কমিশনের মুখপাত্র ও এসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এসইসির মুখপাত্র জানান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) মার্চেন্ট ব্যাংক ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার বিধিমালা ১৯৯৬-এর কিছু সংশোধনী কমিশন সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিকে কমিশনের অনুমোদন পাওয়া প্রসপেক্টাস অনুযায়ী, ১০ বছর মেয়াদি এল আর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড-১-এর আকার হবে ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রি-আইপিও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা, আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। বাকি ৫০ কোটি টাকার জোগান দেবে ফান্ডটির উদ্যোক্তারা। ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।
গতকালের সভার অনুমোদনের ফলে বর্তমানে এবি ব্যাংক প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের পরিবর্তিত আকার দাঁড়াবে ১৫০ কোটি টাকা। এর আগে ফান্ডটির আকার ছিল ৩০০ কোটি টাকা। পরিবর্তিত আকার অনুযায়ী, প্রি-আইপিও প্লেসমেন্টের জন্য ৪৫ কোটি টাকা এবং আইপিওর জন্য বরাদ্দ থাকবে ৭৫ কোটি টাকা। বাকি ৩০ কোটি টাকা ফান্ডটির উদ্যোক্তারা দেবে।

পাঠকের মন্তব্য

No comments

Powered by Blogger.