ফরাশগঞ্জে ধাক্কা মুক্তিযোদ্ধার

মুক্তিযোদ্ধা ১: ১ ফরাশগঞ্জ
আরামবাগ ৪: ০ চট্ট. আবাহনী

ম্যাচ শেষ। মাথা নিচু করে ড্রেসিংরুমের পথ ধরলেন খেলোয়াড়েরা। মুক্তিযোদ্ধার কোচ মারুফুল হক তখনো ডাগ-আউটের পাশে, গালে হাত দিয়ে একা দাঁড়িয়ে। চেহারার দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। কালকের সন্ধ্যার আষাঢ়ে মেঘের মতোই অন্ধকার চেহারা। ফরাশগঞ্জের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে শিরোপা স্বপ্ন যে ফিকে হয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধার।
লিগ টেবিলে সবার ওপরে থাকা শেখ জামালের পয়েন্ট ৪৭। বাকি দুই ম্যাচ। এই দুই ম্যাচ শেখ জামাল জিতলে তারাই চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু শেখ জামাল হারলে সুযোগ থেকে যায় মুক্তিযোদ্ধার। কিন্তু প্রথম শর্ত ছিল, প্রতি ম্যাচে জয় তুলে নেওয়া। স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন ফরাশগঞ্জের সঙ্গে ড্রটা এ কারণেই এমন পরাজয়ের সমান মনে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার কাছে। এই ড্রয়ে মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট ২০ ম্যাচে ৪৪। ফরাশগঞ্জের পয়েন্ট হলো ১৯।
কাল মুক্তিযোদ্ধার খেলোয়াড়দের মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। উল্টো ফরাশগঞ্জকে দেখে মনে হচ্ছিল, যেন স্বাধীনতা কাপের সেই দল। খেলার ধারার বিপরীতে প্রথম গোল করে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাই। ৩৫ মিনিটে গোলটি করেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার বুকোলা (১-০)। ৪৫ মিনিটে কঙ্গোনিয়ার স্ট্রাইকার জুনাপিওর গোলে সমতায় ফরাশগঞ্জ (১-১)।
দ্বিতীয়ার্ধে অলআউট খেলেছে মুক্তিযোদ্ধা। জয়সূচক গোল করার দারুণ সুযোগও পেয়েছে। বক্সের ভেতরে আমাদি মোজেসের হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৬টি) মগা বল তুলে দেন আকাশে। অন্তিমলগ্নে হঠাৎ করে বিপ্লব উঠে আসেন মাঝমাঠে, সেই সুযোগে মোজেস গোলে শট করলেও সেটা বাইরে যায়। দুর্ভাগ্যও সঙ্গী ছিল মুক্তিযোদ্ধার, নইলে ঠিক মিনিট খানেক পরই মিঠুনের হেড ক্রসবারে লাগবে কেন?
ড্র করে দারুণ খুশি ফরাশগঞ্জ কোচ কামাল বাবু, ‘ছেলেরা ভালো খেলেছে। আশা ছিল পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ব, সেটা করতে পেরে খুশি।’ মারুফুল হকের কথা, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের। ছেলেরা বেশি স্নায়ুচাপে ভুগছিল। পরিকল্পনামতো খেলতে পারেনি।’
আরামবাগের জয়: কমলাপুর স্টেডিয়ামে লাইবেরিয়ান কুপারের হ্যাটট্রিকে ৪-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে আরামবাগ। অন্য গোলটি গিনির ইসমাইল বাঙ্গুরার। ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আরামবাগ, সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট তলানিতে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনীর।

No comments

Powered by Blogger.