উ.কোরিয়া সফরে দক্ষিণের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হং জুন-পিয়ো গতকাল শুক্রবার উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন। দেশে ফেরার সময় তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তিনি কাজ করবেন।
হং দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল গ্রান্ড ন্যাশনাল পার্টির (জিএনপি) চেয়ারম্যান। তাঁর এই সফর দুই দেশের মধ্যে একটি দুর্লভ রাজনৈতিক সফর।
কায়েসং এলাকায় দুই দেশের একটি যৌথ বাণিজ্যিক এলাকা পরিদর্শন শেষে উত্তর কোরিয়ায় ঢোকার আগে হং বলেন, ‘এটা একটা কাজের সফর। কিন্তু দুই কোরিয়ার সম্পর্কের অচলাবস্থা ভাঙাটাও একজন রাজনীতিকের দায়িত্ব।’
পরিদর্শন শেষে দেশে ফিরে হং জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার কারখানামালিকদের সঙ্গে তাঁদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়নি।
হং বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দক্ষিণ কোরিয়ার নীতিকে নতুন দিকে মোড় নেওয়ানোর ক্ষেত্রে তাঁর এই সফরের রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে।
২০১০ সালের মার্চে দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করে, উত্তর কোরিয়া তাঁদের একটি ডুবোজাহাজে হামলা চালিয়ে এটি ডুবিয়ে দেয়। এতে ৪৬ জন নিহত হয়। কিন্তু উত্তর কোরিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করে আসছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরুর আগে তাদের ওই ঘটনার দায় মেনে নিতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় দক্ষিণ কোরিয়া তাদের অবস্থান কিছুটা শিথিল করেছে।
কায়েসং বাণিজ্যিক এলাকাটি এখন দুই দেশের সহযোগিতার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত। সম্পর্কের টানাপোড়েন সত্ত্বেও দুই পক্ষই এলাকাটি কখনো বন্ধ করতে চায়নি। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার মালিকানাধীন ১২৩টি কারখানায় কাজ করে প্রায় ৪৬ হাজার ৩০০ উত্তর কোরীয় নাগরিক। একের পর এক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি এখান থেকে অনেক অর্থ পেয়ে থাকে।

No comments

Powered by Blogger.