বিরোধীরা নির্বাচনে দাঁড়ালে পদত্যাগ করব না: সালেহ

ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ বলেছেন, যদি বিরোধীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি অঙ্গীকার অনুযায়ী পদত্যাগ করবেন না।
টাইম ও ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে দেশে গৃহযুদ্ধের ব্যাপারেও সতর্ক করে দেন প্রেসিডেন্ট সালেহ। সৌদি আরবে চিকিৎসার পর গত সপ্তাহে দেশে ফিরেছেন তিনি।
দেশে সালেহর বিরুদ্ধে ব্যাপক গণবিক্ষোভ চলছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর কয়েকটি স্বপক্ষত্যাগী ইউনিট ও উপজাতীয় যোদ্ধাদের বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট সালেহকে।
উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যস্থতায় একটি ক্ষমতা হস্তান্তর চুক্তিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সালেহ। চুক্তি অনুযায়ী, বিচার থেকে দায়মুক্তির বিনিময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদরাবুহ মনসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন প্রেসিডেন্ট সালেহ।
গত মার্চে প্রথম এই সমঝোতা চুক্তির বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। প্রেসিডেন্ট সালেহ প্রথমে এ চুক্তি মেনে নেবেন বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু তিনি এখনো ওই চুক্তিতে সই করেননি।
ইয়েমেনে ফেরার পর দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট সালেহ বলেন, ‘আমরা যদি ক্ষমতা হস্তান্তর করি আর তাঁরা যদি নিজ অবস্থানে থেকে যান এবং তাঁরা যদি তখনো নীতিনির্ধারক থাকেন, তাহলে তা হবে খুবই বিপজ্জনক, যা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।’
প্রেসিডেন্ট সালেহর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে রয়েছেন জেনারেল আলী মোহসিন আল-আহমার। যিনি গত মার্চে বিক্ষোভ-আন্দোলনের প্রতি তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া রয়েছে প্রভাবশালী আহমার পরিবার।
গত জুনে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলায় গুরুতর আহত হন প্রেসিডেন্ট সালেহ। এরপর চিকিৎসার জন্য তিনি তিন মাস সৌদি আরবে ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট সালেহ বলেন, ‘তাঁরা বিক্ষোভকারীদের পেছন থেকে হত্যা করেছেন, যাতে তাঁরা রাষ্ট্রের ওপর দায়ভার চাপাতে পারেন।’
সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট সালেহ বলেন, গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত চুক্তির প্রতি তিনি এখনো অঙ্গীকারবদ্ধ। চুক্তি স্বাক্ষরে বিলম্বের জন্য তিনি বিরোধীদের দায়ী করেন।

No comments

Powered by Blogger.