সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর তুরস্কের গোলাবর্ষণ

সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত আফরিন অঞ্চলে সরকারপন্থি বাহিনীর ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে তুরস্কের যুদ্ধবিমান। এতে কমপক্ষে ৩৬ জন সিরিয়ান সেনা নিহত হয়েছেন। পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাতে এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। খবরে বলা হয়, কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী ওয়াইপিজি’র সহায়তায় গত সপ্তাহে আফরিনে প্রবেশ করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী। জানুয়ারি থেকে কুর্দি ওয়াইপিজি বাহিনীর ওপর অভিযান শুরু করেছিল তুরস্ক ও দেশটির মিত্র সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী।
তুরস্কের চালানো বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল কাফর জিনা এলাকার একটি শিবির। এ নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিন বার তুরস্কের বিমানবাহিনী সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে।
কুর্দি-নেতৃত্বাধীন ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়ার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হামলা চলার কথাও বলা হয় ওই বিবৃতিতে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, তার দেশের বাহিনী জঙ্গিদের হাত থেকে রাজো শহর দখলে নিয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, ওই শহরের ৭০ শতাংশ এখন তুরস্কের সেনাবাহিনীর দখলে। রাজো শহরের অবস্থান আফরিন থেকে ১৬ মাইল উত্তর-পশ্চিমে। সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস-এর বিবৃতিতে বলা হয়, তুর্কি ও মিত্র সিরিয়ান বিদ্রোহীদের একটি গ্রুপ রাজো শহরে অনুপ্রবেশ করেছে। সেখানে সংঘাত অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, তুরস্ক এই ওয়াইপিজি বাহিনীকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির অংশ বলে মনে করে। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি তুরস্কের বিরুদ্ধে তিন দশক ধরে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও তুরস্ক এই বাহিনীকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। তবে ওয়াইপিজি বাহিনীকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির অংশ মনে করে না যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে লড়েছে ওয়াইপিজি।

No comments

Powered by Blogger.