জলবায়ু সম্মেলনে গতি সঞ্চার

পেরুর রাজধানীতে চলমান ১২ দিনের জলবায়ু সম্মেলন নবম দিনে এসে গতি পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের বৈঠকের ফলেই এই গতির সঞ্চার হয়। উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কে কতটা ছাড় দেবে, এই নিয়ে তপ্ত রাজনৈতিক আলোচনা হওয়ার কথা। খবর এএফপির। লিমায় জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন চলবে আর চার দিন। এ পর্যায়ে এসেও অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি কাটেনি। বিভক্তির মূলে আছে আগামী বছরে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে হতে যাওয়া চুক্তির খসড়া। ইতিমধ্যে ওই চুক্তির একটি খসড়া উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে জোর রাজনৈতিক আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক চলবে। মন্ত্রীরা কেউ কেউ বান কি মুনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনাতেও বসবেন। সম্মেলনে ইতালীয় দলের প্রতিনিধি ফ্রান্সেসকো কামেরা বলেন, ‘চুক্তির বিষয়ে নতুন কী হলো, সেটি দেখার জন্য আমরা মন্ত্রীদের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছি। প্যারিস সম্মেলনের আর মাত্র ১২ মাস আছে। সম্মেলনে যে কটি দিন আছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ এখনো অনেক মতানৈক্য: লিমা সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি টোড স্টার্ন গত সোমবার বলেন,
বিভিন্ন দেশের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়ে এখনো ব্যাপক মতানৈক্য রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো চায়, বেশি কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশগুলো নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিক। এ ক্ষেত্রে এসব দেশকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কম কার্বন নিঃসরণকারী জ্বালানির দিকে যেতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মতো ধনী দেশগুলো বলছে, চীন ও ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোই জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর বেশি নির্ভর করে। গরিব ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো চায়, জলবায়ু অর্থায়ন এবং অভিযোজন খাতে লিখিত নিশ্চয়তা দিক ধনী দেশগুলো। আবার অন্যতম শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী অঞ্চলের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাইছে, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হোক ক্ষয়ক্ষতি প্রশমন। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম গত সোমবার বলেছে, এই সপ্তাহে মন্ত্রীদের অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসতে হবে, যাতে আগামী বছরের প্যারিস সম্মেলন সফল করা যায়।

No comments

Powered by Blogger.