সিসির প্রেসিডেন্ট পথ সুগম
মিসরের সেনাসমর্থিত সরকারের সংবিধান সংশোধনী কমিটি নতুন সংবিধানের খসড়া অনুমোদন করেছে। এতে দেশটির গণহত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সুগম করেছে। খবর রয়টার্স’র। রোববার রাতে সংবিধানের খসড়া অনুমোদন করা হয়। এতে আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে নাকি সংসদ নির্বাচন, সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। অথচ মিসরের ইতিহাসে প্রথম অবাধ নির্বাচন জয়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ৩ জুলাই উৎখাত করার পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তরের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল তাতে বলা হয়েছিল, আগে সংসদ এবং পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। সংশোধিত সংবিধানে বিষয়টি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আদলি মানসুরের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে যাকে সিসিই মনোনীত করেছেন। খসড়া সংবিধানে বলা হয়েছে, সংবিধান গণভোটে অনুমোদিত হওয়ার পর ছয়মাসের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
এর মানে হচ্ছে আগামী ছয়মাস অনির্বাচিত সরকার দিয়েই চলবে আরব দুনিয়ার সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটি। খসড়া সংবিধান কমিটির প্রধান আরব লীগের সাবেক প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট মুরসির সঙ্গে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আমর মুসা বলেছেন, মঙ্গলবার (আজ) সংশোধিত সংবিধান অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টর কাছে পেশ করা হবে। খসড়া সংবিধানে মিসরের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করার সুস্পষ্ট বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া সংশোধিত সংবিধানে বলা হয়েছে দেশটির পরবর্তী দুটি মেয়াদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মন্ত্রী নিয়োগ দেবে সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল। এর মানে হচ্ছে সিসি কোনো কারণে প্রেসিডেন্ট হতে ব্যর্থ হলে তিনি হবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করার কোনো বিধান রাখা হয়নি সংবিধানে। সূত্র জানায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিসিকে জয়ী করার জন্য আগে থেকেই ক্ষেত্র প্রস্তুত শুরু হয়েছে। শত শত নিরস্ত্র নাগরিককে হত্যার জন্য সিসি দায়ী হলেও মিসরের সরকারি প্রচারযন্ত্র তাকে সিংহপুরুষ হিসেবে চিত্রিত করছে। একই অবস্থা বামপন্থী গণমাধ্যমের।
No comments