এরশাদের সিদ্ধান্ত বদলের নেপথ্যে
তিন কারণে নির্বাচন বর্জন করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একটি বিশেষ পক্ষের নির্দেশনা, শক্তিধর একটি দেশের সর্বশেষ বার্তা এবং ১৮ দলীয় জোটের প্রতিরোধের ভয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। যদিও গতকাল জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেছেন, জাতির কাছে আমি তিনটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এককভাবে নির্বাচন করবো, কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না এবং সব দল অংশ না নিলে নির্বাচনে যাবো না। আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। তবে, এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক ভবন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটি বিশেষ পক্ষের প্রতিনিধিরা এরশাদের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। তারা এরশাদকে বলেন, বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। গতকাল সকালে আঞ্চলিক শক্তিধর একটি দেশের পক্ষ থেকে বিশেষ বার্তা পান এরশাদ। তার এক সপ্তাহ আগে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ভারত সফর করেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে কাদের সিদ্দিকীও একটি বার্তা পেয়েছেন- যা দূত মারফত এরশাদ অবহিত হন। এ ছাড়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা প্রতিরোধের মুখে পড়েন। বিভিন্ন স্থানে হামলা ও আক্রমণের মুখে পড়েন। এতে এরশাদ তার প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও বিচলিত হয়ে পড়েন। এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বদলে যায় দৃশ্যপট। আর সোমবার রাত থেকে একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে এরশাদের পক্ষ থেকে একটি বড় ধরনের ঘোষণা আসতে পারে। অবশ্য এর দু’দিন আগেই মানসিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন এরশাদ। প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ওয়েট ফর মাই সিগন্যাল। তাই বিষয়টি দলের অন্য কোন নেতার সঙ্গে শেয়ার করেননি জাপা চেয়ারম্যান। এ কারণে এরশাদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনেও গতকাল দেখা যায়নি কোন নেতাকে।
No comments