আমির খাঁ স্মরণে ‘শতবর্ষের অর্ঘ্য’

উচ্চাঙ্গসংগীতের আয়োজনগুলোয় এখন শ্রোতার সংখ্যা যথেষ্টই। গত সপ্তাহে বেঙ্গল-আইটিসি এসআরএ আয়োজিত চার দিনের উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতা রাতভর অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে। গতকাল শুক্রবারও দেখা গেল জাতীয় জাদুঘর অনুষ্ঠান শুরুর আগেই শ্রোতায় ভরা।
উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রখ্যাত ওস্তাদ আমির খাঁর জন্মশতবার্ষিকী পূরণ হলো এ বছর। এ উপলক্ষেই গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ছিল আলোচনা ও উচ্চাঙ্গসংগীতানুষ্ঠান। ‘শতবর্ষের অর্ঘ্য’ নামের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওস্তাদ আমির খাঁ জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিসচিব সুরাইয়া বেগম। স্বাগত বক্তৃতা করেন পরিষদের আহ্বায়ক সঞ্জীব দে।
ওস্তাদ আমির খাঁর জন্ম ১৯১২ সালে, মধ্যভারতের ইন্দোরে এক সংগীত পরিবারে। খেয়ালে তিনি অনন্যসাধারণ গায়কির জন্য বিপুল খ্যাতি লাভ করেন। ধ্রুপদ ও খেয়ালের সমন্বয়ে ইন্দোর ঘরানার প্রবর্তন করেছিলেন। আলোচনায় তাঁর গায়কি ও উচ্চাঙ্গসংগীতে অবদান তুলে ধরা হয়।
গানের পর্ব শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের শিল্পী অসিত দের গাওয়া ইমন রাগের খেয়াল দিয়ে। এরপর ছিল ভারতের শিল্পীদের পরিবেশনা। তবলা লহরা পরিবেশন করেন শিল্পী রিম্পা শিব। সেতার বাদন করেন অসীম চৌধুরী এবং খেয়াল পরিবেশন করেন মহেন্দ্র টোকে।

No comments

Powered by Blogger.