দুর্নীতির মামলায় ফের ফেঁসে যেতে পারেন জারদারি -চ্যালেঞ্জের মুখে ‘সাধারণক্ষমা’র বৈধতা

প্রয়াত স্ত্রী বেনজির ভুট্টোর রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি শত শত কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সে দেশের দুর্নীতি দমনবিরোধী কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) সে দেশের সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত দলিল জমা দেয়। এর ফলে ‘সাধারণক্ষমা’য় দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেও ফের ফেঁসে যেতে পারেন জারদারি।
এনএবির এসব দলিল থেকে জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে বেনজির ভুট্টো দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জারদারি অন্তত দেড় শ কোটি ডলার হাতিয়ে নেন। দেশটির সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফ দুই বছর আগে ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অর্ডিনেন্স (এনআরও) জারি করে ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করেন। জারদারি তখন তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রক্ষা পান। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অনুমোদন না পাওয়ায় গত ২৮ নভেম্বর এনআরওর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।
পারভেজ মোশাররফের ঘোষিত ‘সাধারণ ক্ষমার’ বৈধতাবিরোধী একটি মামলার শুনানি গতকাল সে দেশের সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৭ জন বিচারকের একটি বেঞ্চের কাছে এনএবি গত মঙ্গলবার জারদারির দুর্নীতিসংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট দলিল উপস্থাপন করে। সুপ্রিম কোর্টকে এনএবি জানায়, জারদারি নব্বইয়ের দশকে তাঁর স্ত্রী বেনজির ভুট্টোর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জাহাজ কোম্পানি, স্বর্ণ আমদানি ও ট্রাক্টর কেনার সরকারি প্রকল্প থেকে শত শত কোটি ডলার আত্মসাত্ করেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, পারভেজ মোশাররফের ওই ক্ষমা ঘোষণা অবৈধ প্রমাণিত হলে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির শাসনের বৈধতাও হুমকির মুখে পড়বে। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমন কোনো ব্যক্তি দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
জারদারি তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.