আমরা জনগণ বোকা, কিছুই বুঝি না?
অনলাইনে প্রথম আলো (prothom-alo.com) নিয়মিত পড়া হয় ১৯০টি দেশ থেকে। পড়ার পাশাপাশি পাঠকেরা প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন। তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
বিএনপি ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাইদ মন্তব্য করেছেন: বাসে আগুন দিয়ে যারা মানুষ পোড়াচ্ছে, পুলিশ বা গোয়েন্দারা কেন তাদের ধরতে পারছে না? আমি বিশ্বাস করি, পুলিশ চাইলেই ওদের ধরতে পারে। কিন্তু তার পরও দুর্বৃত্তদের ধরা হবে না। কেন, ধরলে কি থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে? সরকার চাইলে বিএনপির সব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে কি, সরকার নিজে বাসে আগুন দিয়ে মানুষকে অবরোধের বিরুদ্ধে খেপিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে? প্রবাল: খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়েছেন। কারণ তিনি ভালো করেই জানেন, এবার ক্ষমতায় যেতে না পারলে মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরের ঘাতকদের বাঁচাতে পারবেন না। মামুন খান: দোহাই লাগে, আপনারা দুজন ক্ষান্ত দেন। দেশের মানুষকে একটু শান্তিতে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বাঁচতে দিন। আউয়াল: খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মাদ, আপনি ক্ষমতায় চিরকাল থাকার জন্য পাগল। আর আমরা জনগণ বোকা, কিছুই বুঝি না? মনজুর: এসব বলে আর লাভ নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনার দল বিএনপি থেকে আলাদা কিছু নয়। নিরীহ জনগণের মৃত্যুর জন্য আপনাদের সবার অপরিণামদর্শী রাজনীতিই দায়ী। রাজনীতিবিদেরা যদি সত্যিই জনগণের মঙ্গলের কথা ভাবতেন, তবে তাঁদের এভাবে জিম্মি করে রাজনীতি করতেন না। শামীম ওসমানের মতো চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে দলের মনোনয়ন দিতেন না।
আদালতে রিজভী, রিমান্ড চাইবে পুলিশ
গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মতামত জানিয়ে রাইসুল ইসলাম খান লিখেছেন: সরকার ইচ্ছা করে দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে বিরোধী দল যা করছে, তাও কি মেনে নেওয়া যায়? এদের কর্মকাণ্ডের জন্য আজ পর্যন্ত যেসব সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাল, তাদের কী হবে? আনোয়ার: সরকারের এ কর্মকাণ্ডে স্বৈরাচারী মনোভাব আরও একবার প্রতিফলিত হলো। হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার করে আওয়ামী লীগ নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছে। ইশতিয়াক: আটক-মামলা এসব দিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা যত দিন না আসে, তত দিন দেশে অস্থিরতা কমবে না। আশা করি, এসব দমন-পীড়ন বন্ধ হবে এবং সব দল মিলে নির্বাচন করে নতুন সরকার গড়বে। ফজলুল হক: আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিচ্ছি না। ভবিষ্যতের কথা ভাবছি না। তাই দেশের এ অবস্থা। সরোয়ার: এ দেশে নাকি গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা হচ্ছে! এ তার হালচিত্র! রাস্তাঘাটে মানুষ মরছে-পুড়ছে তাতে কোনো দলের খবর নেই। সরকার তার সিংহাসন আঁকড়ে আছে। অগ্নিদগ্ধ-পিষ্টে মানুষদের দায় কোনো দলই নেয় না। সরকার বলে, এ দায়ভার বিরোধী দলের। বিরোধী দল বলে, সরকারি দলের। মাঝে পড়ে জনগণ বাধ্য হচ্ছে সবকিছুর দায়ভার নিতে।
আমরা এই রাজনীতির তীব্র নিন্দা জানাই
দেশের গোলযোগপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের অনূদিত মন্তব্য প্রতিবেদন পড়ে শাহনেওয়াজ রহমানি লিখেছেন: আমরা এ রাজনীতির নিন্দা জানাই। তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা ও চরম বিরক্তি প্রকাশ করছি। আমরা রাজনীতির নামে সহিংসতা ও উন্মত্ততার অবসান চাই। এ অনৈতিক, কুরুচিপূর্ণ, নৃশংস, স্বার্থান্বেষী ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির প্রতি আমাদের ধৈর্য এখন শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। আমরা এর মূলনীতির প্রতি চরম বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছি। এটা গণতন্ত্র হতে পারে না। সাইফুল আলম: শান্তি চাই, কিন্তু তার আগে মনে হয় একটা যুদ্ধে অংশ নিতে হতে পারে। এম এ হাসনাত: আমার ভাই তাঁর অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পিকেটারের ইটের আঘাতে তিনিই এখন হাসপাতালে। তাঁর সামান্য আয়ে সংসার চলে। এখন কী হবে পরিবারটির? মনে হচ্ছে দেশে চেঙ্গিস খান, হালাকু খানের সময় ফিরে এসেছে। খায়রুল ইসলাম: বলা উচিত, ‘খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার হাতে রক্ত লেগে আছে’, যদিও আমি তাতে একমত নই। লেখকের বর্ণনা হূদয়বিদারক। কিন্তু আমরাও লক্ষ্যহীন। সমস্যার মূলে আঘাত করতে না পারার ব্যর্থতাই নৈরাজ্যকে যৌক্তিক শক্তি জুগিয়েছে। আমরা কেউই রোগের কারণ ধরতে চাই না বা মরে যাওয়ার ভয়ে রোগ নিয়ে চিন্তা করতে চাই না। আসলে উপসর্গগুলো নিয়ে অযথাই অনেক কথা বলি। এম আলী: এ দেশে গণতন্ত্র নেই। পরিষ্কার বোঝা যায়, এটা দুই পরিবারের রাজতন্ত্র। নতুন চমক (তারেক ও জয়) আসছেন, তাই সামনের দিনে এটা স্বৈরতান্ত্রিক রাজতন্ত্রও হয়ে যেতে পারে। হয়তো ইংরেজ বা পাকিস্তান আমলের ঔপনিবেশিক শাসন এর চেয়ে ভালো ছিল।
শাহবাগে বাসে আগুন, সাংবাদিক-আইনজীবীসহ দগ্ধ ১৮
শাহবাগে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইমরান হোসেন লিখেছেন: এই রাজনীতিকদের দেখে শয়তানও মুচকি হাসবে। এরা ইবলিশের চেয়ে কম যায় না। মারুফ: সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার, আহত ১৭ জনের অনেকেই দু-এক দিন পর মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়বেন। দোয়া করি, যেন এমনটা না হয়। দেশের নেতা-বুদ্ধিজীবীরা মন্তব্য লিখছেন, চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন, টক শোতে হম্বিতম্বি করছেন, বিবৃতি দিচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্য স্থায়ী কোনো সমাধানের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা বলছেন না। সবাই জনগণকে ব্যবহার করছেন। বিপুল: আজ বাজারে দেখলাম, কয়েকজন আলাপ করছে—মানুষ মেরে খালেদা কি ক্ষমতায় যেতে পারবেন? একজন বললেন, ক্ষমতায় যদি যানও, খালেদা কি দেশের মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন? কেউ একজন বললেন, ওটা হলে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে। আমারও এমনটা মনে হচ্ছে। রাসেল মাহমুদ: সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তা কমানোর জন্য সুপরিকল্পিতভাবে এসব নাশকতা চালাচ্ছে না তো? আজাদ মাতুব্বর: দেশের রাজনীতিবিদেরা মানুষকে কি মানুষ ভাবেন না? এটা কেমন রাজনীতি? সাধারণ মানুষকে এভাবে পুড়িয়ে মারার অধিকার তাঁদের কে দিয়েছে? দেশের সামরিক বাহিনীর উচিত জনগণের জানমাল রক্ষা করা। তাহলে দেশের ও মানুষের কিছু উপকার হয়।
বিএনপি ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাইদ মন্তব্য করেছেন: বাসে আগুন দিয়ে যারা মানুষ পোড়াচ্ছে, পুলিশ বা গোয়েন্দারা কেন তাদের ধরতে পারছে না? আমি বিশ্বাস করি, পুলিশ চাইলেই ওদের ধরতে পারে। কিন্তু তার পরও দুর্বৃত্তদের ধরা হবে না। কেন, ধরলে কি থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে? সরকার চাইলে বিএনপির সব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে কি, সরকার নিজে বাসে আগুন দিয়ে মানুষকে অবরোধের বিরুদ্ধে খেপিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে? প্রবাল: খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়েছেন। কারণ তিনি ভালো করেই জানেন, এবার ক্ষমতায় যেতে না পারলে মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরের ঘাতকদের বাঁচাতে পারবেন না। মামুন খান: দোহাই লাগে, আপনারা দুজন ক্ষান্ত দেন। দেশের মানুষকে একটু শান্তিতে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বাঁচতে দিন। আউয়াল: খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উন্মাদ, আপনি ক্ষমতায় চিরকাল থাকার জন্য পাগল। আর আমরা জনগণ বোকা, কিছুই বুঝি না? মনজুর: এসব বলে আর লাভ নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনার দল বিএনপি থেকে আলাদা কিছু নয়। নিরীহ জনগণের মৃত্যুর জন্য আপনাদের সবার অপরিণামদর্শী রাজনীতিই দায়ী। রাজনীতিবিদেরা যদি সত্যিই জনগণের মঙ্গলের কথা ভাবতেন, তবে তাঁদের এভাবে জিম্মি করে রাজনীতি করতেন না। শামীম ওসমানের মতো চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে দলের মনোনয়ন দিতেন না।
আদালতে রিজভী, রিমান্ড চাইবে পুলিশ
গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মতামত জানিয়ে রাইসুল ইসলাম খান লিখেছেন: সরকার ইচ্ছা করে দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে বিরোধী দল যা করছে, তাও কি মেনে নেওয়া যায়? এদের কর্মকাণ্ডের জন্য আজ পর্যন্ত যেসব সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাল, তাদের কী হবে? আনোয়ার: সরকারের এ কর্মকাণ্ডে স্বৈরাচারী মনোভাব আরও একবার প্রতিফলিত হলো। হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার করে আওয়ামী লীগ নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছে। ইশতিয়াক: আটক-মামলা এসব দিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা যত দিন না আসে, তত দিন দেশে অস্থিরতা কমবে না। আশা করি, এসব দমন-পীড়ন বন্ধ হবে এবং সব দল মিলে নির্বাচন করে নতুন সরকার গড়বে। ফজলুল হক: আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিচ্ছি না। ভবিষ্যতের কথা ভাবছি না। তাই দেশের এ অবস্থা। সরোয়ার: এ দেশে নাকি গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা হচ্ছে! এ তার হালচিত্র! রাস্তাঘাটে মানুষ মরছে-পুড়ছে তাতে কোনো দলের খবর নেই। সরকার তার সিংহাসন আঁকড়ে আছে। অগ্নিদগ্ধ-পিষ্টে মানুষদের দায় কোনো দলই নেয় না। সরকার বলে, এ দায়ভার বিরোধী দলের। বিরোধী দল বলে, সরকারি দলের। মাঝে পড়ে জনগণ বাধ্য হচ্ছে সবকিছুর দায়ভার নিতে।
আমরা এই রাজনীতির তীব্র নিন্দা জানাই
দেশের গোলযোগপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের অনূদিত মন্তব্য প্রতিবেদন পড়ে শাহনেওয়াজ রহমানি লিখেছেন: আমরা এ রাজনীতির নিন্দা জানাই। তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা ও চরম বিরক্তি প্রকাশ করছি। আমরা রাজনীতির নামে সহিংসতা ও উন্মত্ততার অবসান চাই। এ অনৈতিক, কুরুচিপূর্ণ, নৃশংস, স্বার্থান্বেষী ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির প্রতি আমাদের ধৈর্য এখন শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। আমরা এর মূলনীতির প্রতি চরম বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছি। এটা গণতন্ত্র হতে পারে না। সাইফুল আলম: শান্তি চাই, কিন্তু তার আগে মনে হয় একটা যুদ্ধে অংশ নিতে হতে পারে। এম এ হাসনাত: আমার ভাই তাঁর অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পিকেটারের ইটের আঘাতে তিনিই এখন হাসপাতালে। তাঁর সামান্য আয়ে সংসার চলে। এখন কী হবে পরিবারটির? মনে হচ্ছে দেশে চেঙ্গিস খান, হালাকু খানের সময় ফিরে এসেছে। খায়রুল ইসলাম: বলা উচিত, ‘খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার হাতে রক্ত লেগে আছে’, যদিও আমি তাতে একমত নই। লেখকের বর্ণনা হূদয়বিদারক। কিন্তু আমরাও লক্ষ্যহীন। সমস্যার মূলে আঘাত করতে না পারার ব্যর্থতাই নৈরাজ্যকে যৌক্তিক শক্তি জুগিয়েছে। আমরা কেউই রোগের কারণ ধরতে চাই না বা মরে যাওয়ার ভয়ে রোগ নিয়ে চিন্তা করতে চাই না। আসলে উপসর্গগুলো নিয়ে অযথাই অনেক কথা বলি। এম আলী: এ দেশে গণতন্ত্র নেই। পরিষ্কার বোঝা যায়, এটা দুই পরিবারের রাজতন্ত্র। নতুন চমক (তারেক ও জয়) আসছেন, তাই সামনের দিনে এটা স্বৈরতান্ত্রিক রাজতন্ত্রও হয়ে যেতে পারে। হয়তো ইংরেজ বা পাকিস্তান আমলের ঔপনিবেশিক শাসন এর চেয়ে ভালো ছিল।
শাহবাগে বাসে আগুন, সাংবাদিক-আইনজীবীসহ দগ্ধ ১৮
শাহবাগে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইমরান হোসেন লিখেছেন: এই রাজনীতিকদের দেখে শয়তানও মুচকি হাসবে। এরা ইবলিশের চেয়ে কম যায় না। মারুফ: সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার, আহত ১৭ জনের অনেকেই দু-এক দিন পর মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়বেন। দোয়া করি, যেন এমনটা না হয়। দেশের নেতা-বুদ্ধিজীবীরা মন্তব্য লিখছেন, চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন, টক শোতে হম্বিতম্বি করছেন, বিবৃতি দিচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্য স্থায়ী কোনো সমাধানের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা বলছেন না। সবাই জনগণকে ব্যবহার করছেন। বিপুল: আজ বাজারে দেখলাম, কয়েকজন আলাপ করছে—মানুষ মেরে খালেদা কি ক্ষমতায় যেতে পারবেন? একজন বললেন, ক্ষমতায় যদি যানও, খালেদা কি দেশের মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন? কেউ একজন বললেন, ওটা হলে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে। আমারও এমনটা মনে হচ্ছে। রাসেল মাহমুদ: সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তা কমানোর জন্য সুপরিকল্পিতভাবে এসব নাশকতা চালাচ্ছে না তো? আজাদ মাতুব্বর: দেশের রাজনীতিবিদেরা মানুষকে কি মানুষ ভাবেন না? এটা কেমন রাজনীতি? সাধারণ মানুষকে এভাবে পুড়িয়ে মারার অধিকার তাঁদের কে দিয়েছে? দেশের সামরিক বাহিনীর উচিত জনগণের জানমাল রক্ষা করা। তাহলে দেশের ও মানুষের কিছু উপকার হয়।
No comments