'ইরান ও ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র তাক করেছে সৌদি'

ইরান ও ইসরায়েলের দিকে দূরপাল্লার শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র তাক করে রেখেছে সৌদি আরব। স্যাটেলাইট থেকে তোলা নতুন কিছু ছবি বিশ্লেষণ করে এ দাবি করেছে আইএইচএস জেনস ইন্টেলিজেনস রিভিউ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মাসিক এ সাময়িকীতে সামরিক খাতের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আইএইচএস জেনসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে সৌদির ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে দুটি উৎক্ষেপণ মঞ্চের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। রাজধানী রিয়াদ থেকে ১২৫ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে মরুভূমিতে আল-ওয়াতান নামের জায়গায় স্থাপিত মঞ্চ দুটি ডিএফ-৩ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার জন্য উপযুক্ত। ভূমি থেকে ভূমিতে ক্ষেপণযোগ্য দূরপাল্লার এই ডিএফ-৩ ক্ষেপণাস্ত্র দেড় থেকে আড়াই হাজার মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এসব ক্ষেপণাস্ত্র দুই টন ওজনের বোমা বহন করতে পারে।
আইএইচএস জেনসের এই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে ব্রিটিশ পত্রিকা টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরা টেলিগ্রাফকে জানান, ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থান বিশ্লেষণ করলে এর একটির সম্ভাব্য লক্ষ্যস্থল ইসরায়েল এবং অন্যটি ইরান বলে প্রতীয়মান হয়। আইএইচএস জেনসের উপসম্পাদক রবার্ট মাংকস বলেন, 'তেলআবিব ও তেহরানের দিকে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষেপণাস্ত্র তাক করা আছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে দেশ দুটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে আঘাত হানা সম্ভব।' সৌদির ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিটি আংশিক বা পূর্ণ মাত্রায় সচল বলেও বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস। এ ব্যাপারে লন্ডনে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি। ইসরায়েলি দূতাবাস বলেছে, 'এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।'
ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তারা আড়ালে তেলআবিবের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। এ দুই দেশেরই শত্রু ইরান।
আইএইচএস জেনসের বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, সৌদি আরব সরকার সম্প্রতি তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত শতকের আশির দশকে চীনের তৈরি ডিএফ-৩ ক্ষেপণাস্ত্র দূর থেকে (রিমোট) নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

No comments

Powered by Blogger.