ব্যানানা রিপাবলিক by শওকত মাহমুদ

অকার্যকর এবং অসভ্য সরকার প্রসঙ্গে ইংরেজি ভাষায় ‘ব্যানানা রিপাবলিক’ (Banana Republic) বলে একটি বিদ্রূপাত্মক প্রবচন আছে। ও’ হেনরি এই শিরোনামে একটি গল্প লিখেছিলেন, যা তার ‘ক্যাবেজেস অ্যান্ড কিংস’ (১৯০৬) বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়।
ওই গল্পে দক্ষিণ আমেরিকায় চারদিক সমুদ্র দিয়ে ঘেরা একটি দ্বীপরাষ্ট্রের আজব সংবিধানের কথা উঠে এসেছে। চারদিকে অথৈ পানি, কিন্তু সরকার সংবিধানে উল্লেখই করেনি যে, দ্বীপরাষ্ট্রটি রক্ষায় নৌবাহিনী থাকতে হবে।

এরপর থেকে ‘ব্যানানা রিপাবলিক’ বা ‘কলা প্রজাতন্ত্র’ অভিধাটি অকর্মণ্য, জনগণের সাংবিধানিক অধিকারে অবিশ্বাসী, দুর্নীতিবাজ এবং সাদা পোশাকের পুলিশের বর্বরতার ওপর নির্ভরশীল সরকারগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ক্রমেই বিশ্বব্যাপী। যে কারণে ইংরেজি ভাষায়, ‘Safire’s Political Dictionary’ মতে, ‘কলা’ বা ‘কদলি’ শব্দটির ব্যবহারে ব্যাঙ্গাত্মক ধারণাই প্রধান হয়ে ওঠে। যে নৌকা অতি ধীরে চলে, তাকে ‘ব্যানানা-বোট’, স্তাবকতাকে ‘ব্যানানা অয়েল’, মতিগতিহীন অসভ্য তত্পরতায় ধাবমানতাকে ‘টু গো ব্যানানাস’, যে মন্ত্রী বা রাজনীতিক হরদম ফালতু কথা বলে তাকে ‘Top banana’ সর্বোপরি লুটপাটের কারণে মন্দায় আক্রান্ত অর্থনীতিকে Banana economy বলা হয়।

প্রয়াত ক্রিস্টোফার হিচেন্সের মতো ডাকসাইটে কলামিস্ট ও নিবন্ধকার যুক্তরাষ্ট্রকেও ব্যানানা রিপাবলিক গাল দিতে ছাড়েননি। ২০০৮-এর ৯ অক্টোবর ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ পত্রিকার অনলাইন সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বাড়ি বন্ধকী ও শেয়ারবাজার ব্যবসায় ধসে পড়া ব্যাংকগুলো উদ্ধারে জনগণের করের অর্থ জোগানের সমালোচনা করে বলেছিলেন, মুনাফাকে ব্যক্তিগত আর লোকসানকে সবার ভাগে ফেলার যে ব্যবস্থা, তার অপর নাম হলো—  ব্যানানা রিপাবলিক।

কলা-প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য কী? ক্রিস্টোফার হিচেন্সের মতে, Kleptomaniac government অর্থাৎ চুরিপ্রবণ সরকার; যে সরকারের আমলে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটতে থাকে, নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার বলে কিছু থাকে না, করিত্কর্মা সাদা পোশাকের পুলিশ মানুষকে বেধড়ক নির্যাতন করে, সরকার দুর্নীতিবাজ ও বড় চোরদের প্রটেকশন দেয়, আইন প্রণয়ন বিভাগের সদস্যরা বিক্রি হওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে এবং সরকারের কার্যক্রমের রাবার স্ট্যাম্প অনুমোদনের দায়িত্ব পালন করে মাত্র।

বাংলাদেশ কলা-প্রজাতন্ত্র বনে গেছে, এমন উপসংহারের জন্য ওইসব সংজ্ঞার অবতারণা নয়। কিন্তু হালের ঘটনাগুলোতে আমরা উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না—  পশ্চিমারা এই গাল দিল বলে। ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণে আমরা পাই যে, বর্তমান বাংলাদেশের মান-সম্মান বিশ্বের বিভিন্ন রাজধানীতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণচুক্তি বাতিল করেছে বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংক স্পষ্ট জানিয়েছে এবং কতগুলো নাম দিয়েছে সরকারকে। মানহানিকর হবে—  এ যুক্তিতে সরকার নামগুলো প্রকাশ করছে না। বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বললেও সরকার এবং দুদকের প্রতিক্রিয়ায় তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ ২০০৭ সালে জাতিসংঘের দুর্নীতি দমন বিরোধী সনদে (ইউএনসিএসি) অনুস্বাক্ষর করেছে। এর অর্থ হচ্ছে, ওই সনদ বাংলাদেশ মানতে বাধ্য এবং এদেশের যে কোনো আইনের মতোই ওই সনদের শক্তি। সনদে আছে, দুর্নীতির আন্তর্জাতিক তদন্তে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র সহযোগিতা করতে বাধ্য এবং এর পদ্ধতিও তাতে বর্ণিত। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতির সংজ্ঞায় বলা আছে, ঘুষের প্রস্তাব দেয়াও ফৌজদারি অপরাধ।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এবং কোনো কোনো top Banana বলছেন যে, ‘টাকাই এখনও খরচ হলো না, দুর্নীতি হলো কোথায়? কানাডার আইনে (Corruption of foreign public officials act) ঘুষ প্রস্তাব আমলযোগ্য অপরাধ, বাংলাদেশের আইনে নয়।’ এ প্রসঙ্গে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক রাষ্ট্রীয় সচেতনতায় তীব্র প্রবীণ সাংবাদিক আতাউস সামাদ (ঘুষ দেয়ার চক্রান্ত করাও দণ্ডনীয় দুর্নীতি : আমার দেশ, ২৬ জুন) জানিয়েছেন, বাংলাদেশের দণ্ডবিধি আইনে অপরাধের সংজ্ঞায় ঘুষের প্রস্তব দেয়া-নেয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। অর্থাত্ ঘুষের আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া বা প্রস্তুতিও অপরাধ।

আমরা মাঝে-মধ্যে পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দেখি, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কয়েকজন গ্রেফতার। ডাকাতির প্রস্তুতির জন্য গায়ে তেল মাখা, বুক ডন দিয়ে ফিটনেস বাড়ানোর (চাকু ধারের কথা বাদই দিলাম) প্রক্রিয়াকালে পুলিশের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় তারা অপরাধ সংঘটনের জন্য এমন করেছে, তাহলে তারা অপরাধী। আমার কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বচন যদি সত্য হয়, অর্থাত্ ঘুষ খাওয়া-খাইয়ি না ঘটে থাকে, তবে ঘুষের প্রস্তাবক ও প্রস্তাবপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশে বাধা কোথায়?

স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে দু-একটি নাম বলার পরদিন কেন জানি দুদকের দরজা সাংবাদিকদের জন্য বন্ধ করা হলো। এটা কিন্তু জাতিসংঘের দুর্নীতি দমনবিরোধী সনদের Public reporting শীর্ষক উপ-অনুচ্ছেদকে আঁচড় দিয়ে গেছে। অথচ প্রধান তথ্য কমিশনার এবং টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক সে পথে গেলেন না। উল্টো, অভিযুক্ত সরকারের সহগামী হয়ে বিশ্বব্যাংককে এক হাত নিলেন।

দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অগ্র-অবস্থান নিয়ে টিআইবি’র যখনই প্রতিবেদন জারি হয়, তখন বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উল্লাস আমাদের রাজনীতির স্বীকৃত অংশ হয়ে গেছে। তবে বিএনপির শাসনামলে ১৯৯১ সালে বিদেশি দাতাদের কাছে সাহায্য বন্ধের চিঠি দিয়ে ওই সময়ের বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা যে কাণ্ড করেছিলেন, তার নজির বোধ হয় আর নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর কেন মরহুম শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদকে টিআইবি ছাড়তে হয়েছিল তা আজও রহস্যাবৃত।

বিএনপি আমলে যমুনা সেতু হয়েছে, দাতাদের বা ঠিকাদারদের কোনো অভিযোগ শুনিনি। বিশ্বব্যাংকের অপমানজনক সিদ্ধান্তের পর নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা বলা আবার বিশ্বব্যাংকের পুনঃদয়ার জন্য আকুতি স্ববিরোধিতাই মাত্র। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিস্তা বাঁধ আমাদের নিজস্ব সম্পদে করার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং তা বাস্তবায়িতও হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্টারকানেক্টর প্রকল্পেও তো দুর্নীতির কথা শুনিনি। পারলে বর্তমান সরকার ওই প্রত্যয় অনুসরণ করুক।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াকে অনুসরণ না করে, অন্তত মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী থেকে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা নিতে পারেন। সদ্য প্রকাশিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য রাজনৈতিক জীবনের যেটুকু উঠে এসেছে, তাতে তার সম্পর্কে অনেক ধারণা পাল্টে যেতে পারে। বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্র অর্জনের জন্য তার সুতীব্র শ্রম এবং মুসলিম লীগের অভিজাত নেতৃবর্গের কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের গণতন্ত্রের নির্বীর্য হয়ে যাওয়ার ইতিহাস চিন্তার খোরাক বটে। বইটির ১০৫-৭ পৃষ্ঠায় শেখ মুজিব বলছেন, “এই সময় আরেকটা অত্যাচার মহামারীর মতো শুরু হয়েছিল। ‘জিন্নাহ ফান্ড’ নামে সরকার একটা ফান্ড খোলে। যে যা পারে তাই দান করবে এই হলো হুকুম।”

অর্থাৎ আজকের পদ্মা সেতু ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থে হবে এবং এজন্য চাঁদার উদাত্ত আহ্বানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা বেধড়ক চাঁদাবাজির পর বখরা নিয়ে সংঘর্ষে একজন ‘চাঁদা শহীদ’(?) হয়ে গেছেন।

শেখ মুজিব ‘জিন্নাহ ফান্ড’ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন এভাবে-“আমার মহকুমায় এটা ভীষণ রূপ ধারণ করেছিল। খাজা সাহেব গোপালগঞ্জে আসবে ঠিক হয়েছে। তখনকার মহকুমা হাকিম সভা করে এক অভ্যর্থনা কমিটি করেছেন। যেখানে ঠিক করেছে যে মহকুমায় প্রায় ছয় লক্ষ লোকের বাস, মাথাপ্রতি এক টাকা করে দিতে হবে, তাতে ছয় লক্ষ টাকা উঠবে। আর যাদের বন্দুক আছে, তাদের আলাদাভাবে দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের তো কথাই নাই। বড় নৌকাপ্রতিও প্রত্যেককে দিতে হবে। তিনি সমস্ত ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টদের হুকুম দিয়েছেন, যে না দিবে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। চারদিকে জোরজুলুম শুরু হয়েছে। চৌকিদার, দফাদার নেমে পড়েছে। কারও গরু, কারও বদনা, থালা-ঘটিবাটি কেড়ে আনা হচ্ছে।” শেখ মুজিবুর রহমান এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন, আন্দোলন গড়ে তুললেন এবং জয়ীও হলেন। সে সময়ের গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিন এমন চাঁদাবাজির সুযোগ দিয়ে নিন্দিত হয়েছিলেন।

তেমনি করে ইতালিতে ফ্যাসিবাদের জনক মুসোলিনিও একটা রাষ্ট্রীয় চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। ইথিওপিয়ায় আগ্রাসন চালিয়ে মুসোলিনির ইতালি পড়েছিল বেকায়দায়। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী দেশটির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণা করল। সরকারের কোষাগারের ত্রাহি অবস্থা। ফ্যাসিবাদী মুসোলিনি দেশবাসীর কাছে চাঁদা চাইলেন। তার দলের লোকেরা বেধড়ক চাঁদাবাজি শুরু করল। শুধু রোমের আড়াই লাখ মহিলা তাদের স্বর্ণালঙ্কার দিলেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে কেলেঙ্কারি এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে, দেশও ওই চাঁদায় রক্ষা হলো না, আর মানুষ চাঁদা ফেরত চাইতে শুরু করল।

এখন প্রশ্ন হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার জীবনসংগ্রাম থেকে শিক্ষা না নিয়ে ফ্যাসিবাদের জনক মুসোলিনির পথ ধরলেন কেন? নৈতিক সততা ও চারিত্রিক দৃঢ়তা না থাকলে দেশীয় সম্পদে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প করা যায় না।

গুম-খুন, মানবাধিকারের যথেচ্ছ লঙ্ঘন নিয়ে আমেরিকান কংগ্রেসসহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ, সাংবাদিক পীড়ন ও সাগর-রুনির হত্যা তদন্তে উচ্চ আদালতের কাছে গোয়েন্দা পুলিশের আনুষ্ঠানিক অপারগতা প্রকাশ, বিদেশের মিডিয়ায় বাংলাদেশের লুটপাটের শেয়ারবাজারকে বিশ্বের নিকৃষ্টতম শেয়ারবাজার হিসেবে উল্লেখ করা এবং ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-এ ‘ হ্যালো দিল্লি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্য দিল্লি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করা, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক রিপোর্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ, সর্বোপরি কুড়িগ্রামের এক এমপি, ডিসি, ব্যাবের সদস্যকে বিএসএফের গ্রেফতার এবং সরকারের প্রতিবাদহীনতা, বিরোধী রাজনৈতিক দল নেতাদের প্রতি নজিরবিহীন নিপীড়ন, ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা এবং সুশীল সমাজকে নানা কায়দায় কোণঠাসা করার ঘটনাগুলো বাইরের দুনিয়ার কাছে যথেষ্ট আভাস দিতে পারে যে, বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে।

ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করতে বলেছিলেন। হয়নি। বিশ্বব্যাংক বলেছিল, পদ্মা সেতু প্রকল্প এবং দুদকের মধ্যে সমান্তরাল পর্যবেক্ষণ দল গঠনের জন্য। সরকার রাজি হয়নি। সাধারণ মানুষ এ উপসংহারে আসতে পারেন, ওইসব তদন্ত দল গঠনের ক্ষেত্রে সরকার যে জন্য রাজি নয়, শেয়ারবাজারে লুটপাটের বিষয়ে দায়ীদের ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার যে জন্য নীরব, অধিকন্তু সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে যেখানে তদন্ত আটকে আছে-সবগুলোই হয়তো এক মানসিকতায় বাঁধা। ওই যে ক্রিস্টোফার হিচেন্স বলেছেন—“Another feature of a banana republic is the tendency for tribal and cultish elements to flourish at the expense of reason and good order.” (কলা-প্রজাতন্ত্রের আরেকটি লক্ষণ হলো, তা যুক্তি এবং শৃঙ্খলাকে দাবিয়ে রেখে ব্যক্তিপূজায় বিশ্বাসী স্ব-সম্প্রদায়ভুক্তদের বিকাশ ঘটাতে চায়)।

শওকত মাহমুদ: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।

No comments

Powered by Blogger.